হয় তো বা এটা আমার অস্তমিত সূর্য নয় সকালে উঠবে সন্ধায় ডুবে যাবে;
এটা খুব অচেনা পথ, স্পর্শতার নোনাজল বর্ষার মত করে হেটে চলছে!
অযত্নে পড়ে থাকা কিছু ঘাসফুল, আর দ্বিধান্বিত প্রশ্ন বুকের উপর;
আচ্ছাদিত কিছু নেশার দ্রবণ লেপ্টে ছিল আমার ভেজা চুল, হাত, মুখ
গন্ধের মাদকতায় যেন ছুঁয়ে যেত চৈত্রের খরতাপ!
তখনো নির্জলা দখিনা বাতাসে শাশ্বত স্বপ্নেরা উড়ে চলছে সারা শহরে
অজানা সুর, নিবন্ধিত আপন কিছু শব্দ জানালা খোলে দিয়েছিল দূর্বার পথ,
দ্রোহের অভিসার আর মাতাল সমীরণ মাখামাখি করছে অনুচ্ছেদের পাতায়;
এলোমেলো আকাশচুম্বীতে আমি ক্লান্ত হইনি কোনভাবে,
গভীর রাতের দীর্ঘশ্বাস, কিছু পুঁজিবাদী হাসিও বিধ্বস্ত করতে পারিনি আমায়!
অতঃপর অবসর পেয়েছিলাম অশ্রুজলে, বয়ে চলা নদীর আর্তনাদ ঠিক পৌছে গেছে আমার শব্দের গাঁথুনিতে;
বৈরী হাওয়া আর উন্মাদ মেঘবালীকার হিমশীতল শহরে আমি ভিজতে চলে যেতাম
আহা! কি নির্বোধ আমি!!