দেশ স্বাধীনের আগে পাকিস্তান আমলে অভাবের তাড়নায় প্রত্যন্ত গ্রাম ছেড়ে বন্দরে এসেছিল বদর আলী।
তারপর সব ইতিহাস।
একসময় দেশ স্বাধীন হলো, বন্দরে কাজ কাম করে আস্তে আস্তে বিরাট ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে বদর আলী। তার নাম, যশ খ্যাতি, আয়-উন্নতি, সহায়-সম্পত্তি সবকিছুই হয়েছে নিজের পরিশ্রমে অল্প সময়ের মধ্যে ।
বদর আলীর একবার মনে খায়েশ হয়েছিলো আরেকটা বিবাহ করার। করেও ছিলো। তারপর দুই সংসারে ঘরভর্তি ছেলে মেয়ে হয়েছে। বাচ্চা-কাচ্চা যখন একটু বড় হতে লাগলো তখন দিনকে দিন দুই বউয়ের ঝগড়া বেড়েই চলতে লাগলো। বনিবনা আর হচ্ছে না।
বদর আলী ভাবলেন এভাবে আর দুই সংসার পাশাপাশি রাখা যাবে না। তিনি দুই বউকে দুইটা বাড়ি করে দিলেন। তাতেও বদর আলীর তেমন কোন লাভ হলো না। সমস্যা দিনকে দিন গভীর থেকে গভীর হচ্ছে। দুই সংসারের ছেলে-মেয়রা কেউই ঠিকমত লেখাপড়া করছে না। মোটামুটি বখাটে হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বন্দরের অবস্থাও খারাপ হতে লাগলো। সাথে সাথে বদর আলীর ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়তে লাগলো। বদর আলী এখন দুই বউয়ের চাপে একদম চ্যাপ্টা হয়ে পরান যায়-যায় অবস্থা। হঠাৎ একদিন বদর আলীর বড় বউটা স্ট্রোক করে মরে গেল।
এখন বদর আলীর জীবনটা আবার সেই দেশ স্বাধীনের আগের পাকিস্তান আমলের মতো হয়ে গেছে। সম্পত্তি ভাগের জন্য দুই পক্ষের ছেলে-মেয়েরা প্রতিদিন প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছে।
এখন বদর আলী প্রান ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে রাত কাটায় লালমিয়া কালামিয়ার বাড়িতে.........।
১২ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭