somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ। গ্রেফতার কারি পুলিশের অপসারন চাই। আমার ভাই যা খুশি তাই করবে। তারা বন্দুক দিয়ে খেলছিল মাত্র।

১৮ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : গুলিসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার : ঢাকা কলেজের ৫৭ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী জেলহাজতে, অস্ত্র আইনে মামলা
(কপি - পেস্ট)

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ। গ্রেফতার কারি পুলিশের অপসারন চাই। আমার ভাই যা খুশি তাই করবে। তারা বন্দুক দিয়ে খেলছিল মাত্র। নেতাদের দেওয়া টাকা পুলিশ অন্যায় ভাবে কেড়ে নিয়েছে। যৌবনের তারনা মেটাতে তো টাকা লাগবেই। কারন এখন যৌবন যার ফুর্তি করার তার আসল সময়। দেশকে বহিশত্রুর হাত থেকে কিভাবে গেরিলা স্টাইলে রক্ষা করা যায় তারই মহরা দিচ্ছিল তারা। আমি আমার সোনার ভাইদের অবিলম্বে নিঃশ্বর্ত মুক্তি দাবি করছি। আর সেই সাথে অবুঝ ও বেরসিক পুলিশদের বান্দরবান বদলির দাবি করছি। ছবিতে আমার ভাইয়েরা লজ্জায় মুখ ঢাকছিল। কি দুঃখের কথা। আমার বুক ফেটে কান্না আসতাছে।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি ও ৫টি রামদাসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ছাত্রলীগের ৭১ ক্যাডারকে আটক করে। পরে যাচাই-বাছাই করে ৫৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আটক ছাত্রলীগ ক্যাডার গালিবের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
আবাসিক হলের সিট দখল ও অনার্স প্রথমবর্ষে ভর্তি বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার সংঘর্ষ চলে। শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময়, বোমা বিস্ফোরণ ও হামলা-পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র আহত হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষ থামলে পুলিশ সবক’টি আবাসিক হল, ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সগির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম টুটুলের দুটি গু্রপ রয়েছে। চাঁদা ও টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্যের টাকা ভাগবাটোয়ারা ও হল দখলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনেক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল তাদের মধ্যে। এই ক্ষোভে দক্ষিণায়ন হলের দখল নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে দশটার দিকে সভাপতি গু্রপের শিহাব, রনি ও নাসির এবং সাধারণ সম্পাদক গু্রপের টিটু, তারেক ও মানিকের সমর্থকদের মধ্যে দক্ষিণায়ন হল থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি, রামদা, হকিস্টিক, রড, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ব্যবহার করে। সংঘর্ষ একপর্যায়ে দক্ষিণ হল, উত্তর হলসহ সব হলে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসের বিদ্যুত্ লাইন বন্ধ করে দিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোতি হয়। এ সময় ১৫/২০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানা গেছে। বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে অভি, সেলিম রেজা, সবুজ, মোস্তাফিজ, আরিফ (বাংলা দ্বিতীয়বর্ষ, দক্ষিণায়ন হল), আসিফ (দ্বিতীয়বর্ষ, ইন্টারন্যাশনাল হল), কবির, সজিব, আলমগীর (৪০২ দক্ষিণায়ন হল), আশরাফ (দক্ষিণায়ন হল), অনিক (সমাজবিজ্ঞান, তৃতীয়বর্ষ), মনিরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রমনা জোনের ডিসি কৃঞ্চপদ রায়, এডিসি নুরুল ইসলাম ও নিউমার্কেট থানার ওসি কামরুল ইসলামসহ দেড় শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে প্রচুর গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার কারণে পুলিশ রাত ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি। রাত ১২টার দিকে পুলিশ মাইকে ঘোষণা করে সংঘর্ষ না থামালে তারা কঠোর অ্যাকশনে যাবে। এরপর সংঘর্ষের মাত্রা কমে এলে পুলিশ পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলে এবং কলেজের দক্ষিণায়ন, দক্ষিণ, নর্থ, ইলিয়াস, মাস্টার্স, পশ্চিম ও ইন্টারন্যাশনাল হলে তল্লাশি শুরু করে।
৫৭ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতারের পর কারাগারে : গ্রেফতারকৃত ৫৭ ছাত্রলীগ কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এছাড়া বিপুল অস্ত্রসহ আটক ছাত্রলীগ ক্যাডার গালিবের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির করলে আদালত গ্রেফতারকৃত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত হলসহ ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত, বহিরাগত ও সন্দেহভাজন ৭১ জনকে আটক করে। এরপর আটককৃতদের থানায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৭ জনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়। গ্রেফতারকৃত বাকি ১৪ জনকে হলের বৈধ ছাত্র ও কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ছেড়ে দেয়া হয়।
কারাগারে যাদের পাঠানো হলো—হাসান আলী, মিসকাতুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, সাজেদুর রহমান, মেহেদী হাসান, হাবিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, উত্পল শীল, সাগর, ফয়সাল আহমেদ, মেহেদী হাসান বাপ্পী, আবদুল্লা মাহমুদ, ওসমান গণি, নাসেম জামিল, রেজাউল করিম, দিদার হোসেন, আরিফ হোসেন, এরফান, জহিরুল ইসলাম, এবি শামসুল হক, ইয়াসিন খান, আবু সাঈদ, শাহেদ কামাল, গোলাম মোস্তফা, রিজভী ফারুক, রকি, হাসান, আবু সুফিয়ান, ইমরান, এসএম তুষার, মেহেদী হাসান, মনজুরুল ইসলাম, কাওছার ইসলাম, মজিবুর রহমান, আজিজুল শেখ, আরিফুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, শাহেনেওয়াজ, আবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মোদাব্বির হাসান, জুয়েল, ইফতেখার চৌধুরী, আসাদুজ্জামান, বাবলু রহমান, আসাদুজ্জামান, কাশেম, নজরুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, শহিদুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, এমদাদুল হক ও নুরুজ্জামান।
বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার : রাত ১২টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে তল্লাশি অভিযানের সময় ভোরে ক্যাম্পাস থেকে আবদুল বাসেত গালিব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্যান্টের পকেট থেকে ৫২ রাউন্ড গুলি ও ৩২ হাজার একশ’ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সব হলে তল্লাশি করে ৫টি রামদা, ১০টি জিআই পাইপসহ বেশ কিছু লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মীদের আটক করার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি নাইন এমএম পিস্তল দেখলেও পুলিশ এ বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। নিউমার্কেট থানার ওসিও পিস্তল উদ্ধারের বিষয়টি পরে অস্বীকার করেন।
কে এই গালিব : পুরো নাম আবদুল বাসেত গালিব। ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। উত্তর হলের ২০৭ নম্বর কক্ষের অবৈধ ছাত্র। গ্রামের বাড়ি পাবনায়। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গালিব ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের পিএস হিসেবে পরিচিত। সব সময় গালিব রিপনের সঙ্গে থাকতেন এবং এক মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়াতেন। গতকাল সংঘর্ষের সময় পুলিশ উত্তর হলে তল্লাশি করলে হলের বারান্দার সামনে থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিসহ তাকে আটক করে। সূত্র জানায়, সংঘর্ষের সময় গালিব ছাত্রলীগ ক্যাডারদের অস্ত্র সরবরাহ করছিল। পুলিশ জানায়, গালিবকে আটক করার সময় তার কাছে ৫২ রাউন্ড গুলি ছাড়াও ৩১ হাজার একশ’ টাকা পাওয়া গেছে। রাতে তার কাছে এতো টাকা কেন তা নিয়েও পুলিশ সন্দেহ করছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইডেন কলেজের ছাত্রী কেলেঙ্কারির ঘটনা থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্র্রবাহিত করতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এজন্য রিপন গালিবকে টাকা-পয়সা ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
থানার সামনে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ : আটক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য করার জন্য নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তাদের ছেড়ে দিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবির করতে দেখা গেছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ করে শত শত কর্মী। সাংবাদিকরা গ্রেফতারকৃতদের ছবি তুলতে গেলে তাদের গালাগাল করা হয়। থানার গেট ভেঙে থানা দখল ও আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর পৌনে একটার দিকে পুলিশ মৃদু অ্যাকশনে যায়। সূত্র জানায়, গালিবকে ছেড়ে দিতে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না করতে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তদবিরকারীরা। অস্ত্র আইনে যাতে মামলা না হয় সেজন্য কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি পুলিশকে সুপারিশ করে।
ছাত্রলীগের বক্তব্য : এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছগির আহমেদ বলেন, কমিটি ভেঙে দেয়ার পর আমি আর সভাপতি নেই। ফলে আমার কোনো ভূমিকাও নেই। তবে সমর্থক ও উত্তরসূরি রয়েছে। তারাই সবকিছু দেখাশোনা করে। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল বলেন, বিরোধী দলে থাকার সময় আমরা ছিলাম নেতা। এখন সবাই নেতা। আমি অনেক আগেই ক্যাম্পাস ছেড়েছি। এখন ক্যাম্পাস আমার নিয়ন্ত্রণে নাই। তার গ্রুপের টিটু বলেন, আমি অসুস্থ। সংঘর্ষের সময় আমার আত্মীয়র বাসায় ছিলাম। ক্যাম্পাসে ছিলাম না।
কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট হলগুলোতে যেসব কক্ষ তালাবদ্ধ ছিল তা খুলে দেয়া হয়েছে। ছাত্রদের পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাল (বৃহস্পতিবার) হল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনারের বিজ্ঞপ্তি : গতকাল রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা কলেজে মঙ্গলবার রাত ১১টায় আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে মারামারি, গোলাগুলি ও বোমাবাজি হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে পুলিশ তল্লাশি করে ৭১ জনকে আটক করে। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৭ জনকে পুলিশ ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে। তল্লাশির সময় বিভিন্ন হল থেকে ৫টি রামদা, ১০টি লোহার রড, প্রচুর লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়। নর্থ হলের ১০৭ নম্বর কক্ষের বোর্ডার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান শেষবর্ষের ছাত্র মোঃ আবদুল বাসেত গালিবকে (২৭) আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে ২২ বোরের ৫০ রাউন্ড ও ৩২ বোরের ২ রাউন্ড এবং নগদ ৩২ হাজার একশ’ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কেন এই সংঘর্ষ : মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপই ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের আশপাশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য করে আসছে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারায় অন্তর্কোন্দল ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে একাধিকবার। এসব সংঘর্ষের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গ্রেফতারের ঘটনা। সমপ্রতি ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন সগির আহমেদ। আর সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টুটুল। টুটুল কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন গ্রুপের রাজনীতি করেন। আর সগির আহমেদ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন গু্রপের রাজনীতি করেন। এ দু’গু্রপের নেতাকর্মীদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলেছে, সরকারি ইডেন কলেজের ছাত্রী কেলেঙ্কারির ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করতেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ঢাকা কলেজ শাখার বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টুটুলকে দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটান। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর অনার্সে ভর্তি বাণিজ্যের টাকা, নবনির্মিত হলের দখল ও আশপাশের এলাকার চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এ সংঘর্ষ হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×