বিশ্বনবী [সা] ই প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে একমাত্র প্রকৃত শিক্ষা ও জ্ঞান সাধনার মাধ্যমেই সমাজ থেকে সব ধরনের অজ্ঞতা ও অপসংস্কার দূর করা সম্ভব, যার ফলে মানবতার কল্যাণ আসতে পারে।
আল্লাহর প্রথম বাণী -“তোমার স্রষ্টার নামে পাঠ আরম্ভ কর।” এজন্য রাসূলে পাকের সকল আদর্শে জ্ঞানাহরণের উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে।
রাসূল [সা] শিক্ষা আন্দোলনের কর্মসূচী হাতে নিয়েই মানবতার কল্যাণ সাধনে সবচেয়ে বেশী কাজ করেছেন। কুরআনে বলা হয়েছেঃ “যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কখনও সমান হতে পারে?”
আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ “যাকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দেয়া হয়েছে!” রাসূল [সা] নিজেই বলেছেনঃ ‘আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’
৫। নারীর অধিকার আদায়ঃ
মহানবী [সা]-এর আবির্ভাব পূর্বকালীন সময়ে সমাজে নারী জাতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। সমকালীন ইতিহাসে উল্লেখিত যে কোন দেশের তুলনায় আরবের নারীর অবস্থান ছিল দুঃখজনক। তাদের কোন সামাজিক অধিকার বা মর্যাদা ছিল না। কন্যা সন্তান জন্মের কথা শুনলেই পিতার মুখ ক্ষোভে দুঃখে বিবর্ণ হয়ে যেত।
মহান আল্লাহ বলেনঃ “তারা [তোমাদের স্ত্রীগণ] তোমাদের অঙ্গাবরণ এবং তোমরা তাদের অঙ্গাবরণ।” তিনি সন্তানদেরকে বললেন, “আল্লাহ ও রাসূলের পরই মাতা হলেন সবচাইতে ইজ্জত ও সদ্ব্যবহার পাবার অধিকারী।”
বলা হয়েছে “মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশ্ত।”
মহান আল্লাহ বলেছেন “নারীদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে।”
রাসূলুল্লাহ [সা] বলেনঃ “তোমাদের মাঝে তারাই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যারা আপন স্ত্রীদের কাছে শ্রেষ্ঠ।” তিনি আরো বলেন “নারীরা হলো পুরুষের একান্ত সাথী।”
তিনি পরিবার কাঠামোর প্রয়োজনীয় রদবদল করেন। রাসূল [সা] এরশাদ করেছেনঃ “দুনিয়ার নিয়ামতসমূহের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট নিয়ামত হচ্ছে উত্তম স্বভাবের স্ত্রী।”
(চলবে)
৩য় পর্ব ২য় পর্ব শুরু পর্ব