রুপগঞ্জের পাশেই নয়া গ্রাম। খুব সুন্দর মনোরম ছায়াঘেরা শীতল গ্রাম । যেন সৌন্দর্যের খন্ডছায়া । যদিও বাংলার গ্রাম বলতেই সুন্দরের লীলাভূমি । নয়াগ্রামের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা একটা মৃত নদী । নদীর দুইপাশে সারিসারি মানুষের ঘর আর সারিসারি ঝাউ গাছ। গ্রীষ্মকালে নদীর বুকে ধুলির ঝড় হয় । শরৎ এর শেষে সবুজে ছেয়ে যায় মৃত নদীটি । বসন্তে ফুটে ঘাসফুল । ছোট্র একটা নদী, কত তার রুপ । নদীর বহুরুপী স্বভাবে অভিভূত হয় উদাসী মন। মাঝেমাঝে মনে হয় মৃত নদীই তো ভাল । স্রোতধারার আকূলতার কি দরকার ! মৃত নদীর কত রুপ ! এত রুপতো জীবিত নদী গুলো দিতে পারে না । সুন্দর্য্যের খন্ডচিত্রে নয়াগ্রামের এই অদ্ভুত নদীটিই শেষ নয় । এই গ্রামের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে একটি আগুনের মূর্তি আছে । অদ্ভুত রকমের সুন্দর এই আগুনের মূর্তিটি । নিরবে একা একা কথা বলে সে । সবাই শুনে অবাক হয় "মূর্তি আবার কথা বলে কিভাবে"? তবে এটাই সত্য । আমি শুনেছি তার কথা । কত রকমের কথা বলে সে । বাঁচার কথা , মরার কথা , কান্নার কথা, আরো কত রকমের কথা বলে ! তবে আমি কোনদিন তার মুখ থেকে হাসির কথা শুনিনি । আর হাসির কথা বলবেই বা কেন? সেতো আগুনের মূর্তি , তার তো হাসানোর জন্য জন্ম হয়নি , তার জন্মতো ধ্বংস করার জন্য ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪২