চাঁদের হাসিতে বুক ভরা মায়া নিয়ে,
ঈদ এসেছে সবার ঘরে।
কোলাহল- হাসি ভরা সবার মনে,
ঈদ এলো ঘরের দুয়ারে.....
রাস্তার পাশে ঐ ছেলেটি বসে আছে
নদীর সেই তীরঘেঁষে।
কাঁদছে অনবরত,মায়ের কথা ভেবে।
ঈদ হেসেছিল কোন একদিন তার ঘরে,
বাটি ভর্তি পায়েস নিয়ে মা বসে ছিল পাশে।
কত না মায়া আর আদর সোহাগ
করে খাইয়ে দিয়েছিল পায়েস ছোট্ট
ছেলেটিকে কোলে তুলে..
একটা বেলুন আর দুটো চকলেট বাবা নিয়ে এসেছিল
নামাজ শেষে...
ছোটন সোনার মিষ্টি হাসিতে, বাবা হেসেছিল
প্রানটি ভরে...
পর সমাচার এলো বলে,
বাবা-মা তার পৃথিবী ছাড়লো...
কোন এক রোড এক্সিডেন্টে,
বিশালতা নেমে এল ছোটন সোনার জীবনে।
হাহাকার তার বুকের মাঝে।
নীল আকাশে অঢেল মেঘের ভিড়ে,
চাঁদটি এখনো তারাদের পাশে অনবরত হেসে যাচ্ছে।
এক জোড়া চোখ পৃথিবী থেকে,
খুঁজে বেড়াচ্ছে মা-বাবাকে,
আসবে কি মা আবার??
ছোটন সোনাকে পায়েস খাওয়াতে।
নীলাভ আকাশের নীড়ের তরে,
মায়া ভরা দু জোড়া চোখ এখনো তাকিয়ে ছোটন
সোনার পানে....
ছোটন যেন চন্দ্রবিন্দু।
ছোটন যেন চাঁদ।
ঈদের খুশি ছড়িয়ে যাক,
সবার কষ্টের ইতি হোক।
লিখাঃপ্রান্তিক চৌধুরী