চারিদিকে অন্ধকার, নিস্তব্ধ সময়..
মাঝে মাঝে শো... করে চলা গাড়ির শব্দ খানিকক্ষণ পর পর।
ব্যস্ত রাস্তা টাও যেনো নীরব.
দুই একটা গাড়ি খানিকক্ষণ পর পর এমন দ্রুত পালায় যেনো বাড়ি ফেরার তাড়া অনেক....
আলোকসজ্জায় প্রজ্বলিত দালানগুলোও যেনো অন্ধকার কবরের ন্যায়...
দুই একটা বাতি দেখা যাচ্ছে অনেক দূরে দূরে,
যেনো নদীর মাঝে পথহারা মাঝিদের গতিপথ দেখানোর চেষ্টা।
দূরে বড় রাস্তার মাঝে সারিবদ্ধ ভাবে সোডিয়াম লাইটগুলোও খুব ছোটো আকারে চোখে বাধছে,
যেনো পৃথিবীর বড় মানচিত্রের মাঝে দুটি দেশের সীমানার দাগকাটা।
আকাশটাও যেনো নীরব শূন্য একা আমারই মতো।
বারান্দায় বসে চারিদিকে তাকাচ্ছি বারেবার যেনো কোনোকিছুই এই চোখের অগোচরে পালাতে পারছেনা।
এক গভীর মগ্নতায় ডুবে আমি..
হঠাৎ হাসনাহেনা আর বেলীর তীব্র ঘ্রাণে আমার মগ্নতার সাঙ্গ ভঙ্গ করিয়ে মনে করিয়ে দিলো এখন অনেক রাত।
অন্ধকারে দেয়াল ঘড়িটার রেডিয়েন্ট লাইটটা দেখে বুঝলাম এখন রাত সাড়ে তিনটা।
____প্রান্তিক চৌধুরী