আজ "যুব কর্ম" বিষয়টি নিয়ে কিছু লিখবো।
প্রথমেই যুব কর্ম বিষয়টি কি সে বিষয়ে কিছু বলি-
যুবদের মনোদৈহিক বিকাশ ওসুপ্ত প্রতিভার যথাযথ ব্যাবহারের মাধ্যমে ব্যাক্তি ,পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রের স্হিতিশীল আর্থসামাজিক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞকেই আমরা যুবকর্ম বলতে পারি।
১৮ হতে৩৫ বছর বয়ষ্ক জনগোষ্ঠির শারিরিক সামর্থ,মানসিক কর্মদক্ষতা ও আবেগকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন ও কাজে লাগিয়ে তাদের দ্বারা ও তাদের জন্য সার্বিক উন্নয়ন পরিকস্পনা গ্রহন এবং প্রাপ্ত ফলাফল জাতীয় উন্নয়নের স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করাই "যুবকর্ম"।
সহজ কথায় বলতে গেলে সবচেয়ে কর্মঠ ওসুন্দর মনের অধিকারী এবং ত্যাগী মানুষগুলিকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকেই "যুবকর্ম" বলা যায়।
বাংলাদেশ এখন জনসংখাগত একটি সুবিধাজনক সুবর্ন সময় অতিবাহিত করছে। প্রায় একযুগ আগে এ সময়টি শুরু হয়েছে এবং সম্ভবত ১৯৩২ সাল পর্যন্ত এ অবস্হা চলমান থাকবে। এটিকে বলা হচ্ছে Demographic dividend বা জনমিতিক লভ্যাংশ।অনেক অর্থনীতিবিদ এ সময়টাকে" Windows of Opportunities" ও বলছেন।
বিষয়টি খুবই সহজ।এ সময়টাতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ১৫ হতে ৫৯বছর তাদের সংখা বেশি থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এ বয়সের জনসমষ্ঠি শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি।
এদের মধ্যে যুবদের সংখাই বেশি।এ যুব জনসংখাকে যদি প্রয়োজনীয় Hard Skill ও Soft skill সমৃদ্ধ করে উৎপাদনশীল উপযুক্ত কাজে লাগানোর সূযোগ সৃষ্টি করা যায় তবে সত্যিকার অর্থেই এ দেশটিকে বংগবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তর করা সম্ভব।
এ কাজেসফল হওয়ার অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে যুবকর্ম বিষয়টিকে যথার্থ মুল্যায়ন ও অনুশীলন।
সুন্দর স্বল্প ও দীরঘ মেয়াদী পরিকল্পনা,যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহন ও
সকল পর্যায়ের নীতিনির্ধারক এবং রাষ্ট্রিয় নেতৃত্বের অংগীকারই পারে যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের চেহারা পাল্টে দিতে।
আজ এ পর্যন্তই।
ভাল থাকুন-নিরাপদ থাকুন-সূখে থাকুন-
দেশের স্বার্থে যুবদের ভালবাসুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩