রহিম সাহেব সরকারি চাকুরি করেছেন প্রায় ত্রিশ বছরের মত। মোটামোটি ভালো অবস্থানেই ছিলেন।অবসর নেয়ার সময় মোটামোটি উচ্চ মধ্যম স্তরে আসতে পেরছেন। শিক্ষকের সন্তান ছিলেন বলে আদর্শিক কারনে জেনেশুনে কখনো অসততায় জড়ান নি। তবে উচু পর্যায়ে অসততা দেখলে নিজে আস্তে করে সরে আসতেন। জোড় করে প্রতিবাদ করে বিরোধে জড়াতেন না, শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হেরে যাবেন বলে।
পিআর এল এর প্রথম দিনে অনেক কলিগরা তাকে সান্তনা দিতে এসেছিলেন । কেউ তাকে শরীর সাস্থ্য ইত্যাদির বিষয়েও অনেক উপদেশ দিলেন।এসব রহিম সাহেবের খুব একটা ভাল লাগছিলোনা। এগুলু শুনে মনে হচ্ছল তিনি কি মরে যাচ্ছেন?
তিনি অন্যান্য দিনের মতই বিদায় নেয়ার জন্য বসের রুমে ঢুকে বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন।বস আজ আগামীকলের কাজের ফিরিস্তি আর ধমকের সুরে কথা না বলে চা খেতে অনুরোধ করলেন।বিদায়ের সময়ে উঠে দাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলেন যা তার চাকুরি জীবনে বিরাট ব্যাতিক্রম।
বাসায় ফেরার জন্য রহিম সাহেব আজ অফিসের গাড়ি বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিলেন।রহিম সাহেব আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলেন তার মানুষ হিসাবে স্বাধীনতার প্রথম দিনে তিনি হাটবেন,ঢাকার জ্যামকে দারুন ভাবে উপভোগ করবেন।হেটে হেটে রমনা পার্কে যাবেন-শিশু উদ্যানে যাবন-শিশুর হুল্লুড় দেখবেন প্রানভরে-গাছের সবুজ দেখবেন প্রান ভরে।সুযোগ হলে পাখিও দেখবেন। নিজের জন্য পান্জাবী আর বউয়ের জন্য তার প্রিয় রংয়ের শাড়ি কিনে বাসায় ফিরবেন । বিয়ের প্রথম দিকে মনের মতো গিফ্ট পেলে বউয়ের সুন্দর মুখটা যে আরো রাঙ্গা হয়ে তাকে জড়িয়ে মুখ ঘসতেন-আাজ তা তিনি আবার দেখবেনই দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬