শুধু Sympathy নয়,Empathy নিয়ে এগিয়ে আসো ......।
আমার নাতি নাতনিরা আমার জানের জান।ওদের জন্য আমি আর আমার জন্য ওরা। ওরাও আমকে ওদের মতো শিশু মনে করে।আমিও ওদের বয়সে অবলীলায় ফিরে যাই। কি যে ভাল লাগে-প্রকাশে আমি ভাষা খুজে পাইনা।
যাই হোক-একদিন আমরা স্কুল স্কুল খেলছি,এমন সময় ছোট্ট করোনাও আমাদের সাথে খেলার বায়না ধরলো। শিশু হলেই আমাদের ভুবনে স্বাগত। এখানে কে সাদা আর কে কালো-বা কার বাবার অনেক টাকা আর কার টাকা নেই এসব আমরা মোটেই ভাবতে শিখিনি-শিখতে চাইওনা। করোনা বল্লো এসব কারনেই নাকি আমাদেরকে ওর খুব ভালো লাগে। শিশুদের নাকি করোনা অনেক ভালবাসে।শিশুদের নেই কোন লোভ-নেই কোন হিংসা। এজন্য ও পারতে শিশুদের তেমন কোন ক্ষতি করেনা। ও আমাকে নানাভাই বলেই ডাকতে শুরু করে বায়না ধরলো সেও আমাদের সাথে খেলবে। ও হবে আমার টিচার আর আমি হবো তার ষ্টুডেন্ট। তথাস্তু।
আমার নাতি নাতনীদের মতোই আমার কোলে উঠে আমাকে বললো-তুমিতো একজন বড় মাষ্টার ছিলে-বলোতো নানাভাই-Sympathy কি-আর Empathy কি? আমি কতক্ষন উত্তর দেয়ার চেষ্টার ভাব ধরে বললাম-নাহ নানাভাই পারছিনা। ও বিজ্ঞের মতো আমার নাতি নাতনীদের মতো বললো-নানাভাই-তুমি আসলেই বোকা।তুমি এতবড় মাষ্টার কেমনে হলা? আমি বললাম-এবার তুমি শিখিয়ে দাও।
ও বললো-তোমাদের অনেক বড় লোক নাকি নেতা-যারা নিজের ঘরে বসে বড় টিভিতে আমার জন্য মানুষের কষট নিয়ে কথা বলে এটাকে বলে Sympathy--আর Empathy হলো তোমার ছাত্ররা এবং যুবরা যা করছে-যে কাজে তাদের নিজেদের কোন স্বার্থ নেই,-এমনকি কোন স্বীকৃতিও নেই।অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়ার তৃপ্তিটাই যাদের একমাত্র তৃপ্তি। গরিবের প্রানের দোয়ার চেয়ে বেশি যাদের চাওয়া নেই-এদের কাজটা হলো Empathy.
বললো-" আজ আসি নানা ভাই। তোমরা খুব লাকি। তোমাদের যুবরা অনেক ভালো।"
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৮