অন্ধকার ভেদ করে এসো
আলোকধারায় করি স্নান...
-এই স্বপ্নময় বাক্যটি বুকে নিয়ে শুরু হয়েছিলো আমাদের পথচলা। তারপর সেই স্বপ্নাতুর চোখে আমাদের বুকের সবটুকু ভালোবাসা জমাট বেঁধে তৈরি হলো একটি পাঠশালা। আমাদের স্বপ্নবাড়ি। তখন থেকেই শুরু সেই অন্ধকার বাড়িটার দরজা-জানালা খুলবার আমাদের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা। সেইসঙ্গে তৃষ্ণার্ত চাতকদেরকে স্নেহার্দ্র নিমন্ত্রণ। তারপর স্বপ্ন- আকাশছোঁয়া ইচ্ছা, আশা-নিরাশা; নিরাশাই; কেননা, আমরা তো জানিই, যে জানালা খোলা থাকে তাতে ধুলো-বালি, খড়কুটো, ঢিল এগুলো আসবেই। আমরা এও জানি, ভিতরে বিষের বালি নিয়ে ঝিনুক মুখ বুজে কিভাবে মুক্তো ফলায়। এই তিন বছরে আমদের সাফল্যও কম কীসে! কী গণিত অলিম্পিয়াড, কী ভাষা প্রতিযোগ কিংবা একাডেমিক পাঠ্যকর্মে আমরাও তো কম প্রতিনিধিত্ব করিনি! বালির পাথারে মুখ ডুবিয়ে আমরাও কি মুক্তো ফলাইনি একটুও? এইসব সাফল্যের হৈচৈ না হয় নাই থাকলো, বাচ্চাদের নাচ-গান, আঁকিউকি, হৈ-হুল্লোর এমনকি বই(পাঠ্যবইয়ের বাইরে)পড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ আমাদের এইটুকু প্রাপ্তিই বা কম কী? যেহেতু আমরা অনেক আগেই জেনে গেছি, স্কুল-কলেজের গৎবাধা পড়াশোনা কখনও কখনও মানুষের শিক্ষার পথকে ব্যাহত করতে পারে (বই পড়া, প্রমথ চৌধুরী), সেকারণেই আমাদের স্কুলে একটি সমৃদ্ধশীল লাইব্রেরী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু আমাদের যে সাধ আছে, সাধ্য নেই। তাই আমরা সবার সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি। তবে অর্থ দিয়ে নয়, একটি...দুটি.... তিনটি.......বই পাঠিয়ে। আমরা কিন্তু সহযোগিতা পাওয়ার হাত বাড়িয়েই রাখলাম...
বই পাঠানোর ঠিকানা:
লাইব্রেরীয়ান
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।