somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩৫৬টি চিঠি এবং একটি ওড়নার গল্প

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন পর নীলাকে দেখল রিফাত . সালওয়ার কামিজ পরা , রেস্টুরেন্টের এক কোনায় বসে আছে , সঙ্গে দুটো পরীর মত বাচ্চা মেয়ে . পাছে সিন ক্রিয়েট হয়ে যায় এই ভয়ে রিফাত লাঞ্চ টা কোনরকমে শেষ করে তরিঘরি করে বের হয়ে আসছিল . হঠাত পিছু ডাকলো এক কিন্নরী কন্ঠ , "এই যে শুনছেন ?" পেছনে ফিরতে বাধ্য হলো রিফাত , এই কন্ঠস্বরকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই তার . হ্যা , এত বছর পরেও সেই কন্ঠস্বর চিনতে ভুল হয়নি তার , নীলাই ডাকছে . পেছনে ফিরে রিফাত বলল
- জ্বী বলুন
: আচ্ছা আপনি কি রিফাত নেওয়াজ ?
- সে কি ! ১০ বছরে কি এতটাই বদলে গেছি যে এবার প্লে গ্রুপের বাচ্চাদের মত নামের সাথে মানুষের মিলকরণ খেলছেন ম্যাডাম নীলা ?
:না , তা নয় , ভেরিফাই করছিলাম আর কি .. চোখও তো কখনো কখনো ধোকা দেয় তাই না ?
- মনটাই যখন ধোকা দিল তখন আর চোখের দোষ কি বলো !
: তোমাকে এভাবে দেখব ভাবিনি
- তবে কিভাবে দেখবে ভেবেছিলে ? মদের বোতল হাতে তোমার শ্বশুরবাড়ির সামনে মাতাল অবস্থায় ?
: সত্যি ! তোমার হেয়ালিপনা গেল না !
- কি করব ? রং বদলাতে পারলাম না যে ! কত মানুষ চোখের সামনে বদলে গেল , মিস থেকে মিসেস হলো , টিপ চুড়ি শাড়ি থেকে ডাইরেক্ট সালওয়ার কামিজে চলে গেল , আমি সেই এক ই রয়ে গেছি ...
: বদলে যাওয়াটাই কিন্তু জীবনের ধর্ম . এই পৃথিবীটাকেই দেখো না ! সৃষ্টিলগ্নে যেমন ছিল , এখন কি তেমন আছে ?
- তোমার স্বামী তো বিজনেসম্যান , তাই না ?
: হ্যা , কেন ?
- দারুন কথা শিখেছ আজকাল . তোমার পতি পরমেশ্বর বুঝি তোমার সাহিত্যের ক্লাস নেন ? তিনি তো তবে দারুন শিক্ষক ! ফান্ডামেন্টালিজমের ক্লাস করে তোমায় যান্ত্রিক বানিয়েছেন , ম্যানার্স এর ক্লাস করে একটা চঞ্চল বর্ণিল প্রজাপতিকে সোনার খাচার পাখি বানিয়েছেন .. এবার সাহিত্য পড়িয়ে মুক্তচিন্তাকে বাক্সবন্দী করবেন ....
: এসব দু-একটা কথা বলার জন্যে সাহিত্য লাগে না . বুকের ভিতরে জমে থাকা ব্যথা চীন চীন করে উঠলেই মুখ থেকে আপনা আপনি এসব কথা বেরোয় ..
- সে কি ! আপনার বুকের ভেতরেও ব্যথা আছে তবে !
: এতদিন পর দেখা হলো , ব্যথা বেদনার কথা আজ থাক না হয় ....
- হুমম , ব্যথা বেদনা বুঝতে গেলে সমব্যথী হতে হয় আর সে জন্য বুকের ভেতর মানুষটার জন্য অফুরন্ত ভালবাসা থাকা চাই . তা সেই ভালবাসা - মন্দবাসার পাট যখন চুকেই গেছে , তখন ব্যথা বেদনা ভাগাভাগিটাও আলমারির ওপরেই তোলা থাক .. তো কেমন আছ ?
: ওই তো শ্বাস চলছে আর কি !
- তা সঙ্গের দুজন কি ...
: আমার মেয়ে . বড়জন ভিকারুন্নিসাতে ক্লাস থ্রিতে পড়ে , নাম রিনকা . আর ছোটজন রিনী, সবে চার বছর হলো তার .. ও কি ! হাসছ কেন ?
- না মানে যতদুর মনে পড়ে বাচ্চাদের বাবার নাম ফারুক . তা সত্ত্বেও 'র' আদ্যক্ষর দিয়ে নাম রেখেছ ! ধন্যি মেয়ে তুমি !
: প্রশংসা করলে নাকি তিরস্কার ?
- যা ভাবো তাই ..
: রিনী নামটার একটা তাত্পর্য আছে , বলো তো কি ?
- এটা আমার দেওয়া নাম . তুমি তো জানি , আমার আবার মেয়ের বড় শখ .. ভেবেছিলাম একটা মেয়ে হলে এই নামটা রাখব . রিফাত আর নীলা - দুয়ে মিলে রিনী ... তা সে সব তো হলো না , ছোট মেয়েটার তবে এই নাম রাখলে কেন ?
: ও যখন জন্মালো , তখন মনে হলো মেয়েটা বোধ হয় তোমারই .. একই রং , একই চুল , একই চাহুনি ..
- বাব্বাহ !! বকাবকি আর ঝগড়ার অন্তরালে এত কিছু খেয়াল করলে কখন ?
: না গো . আজকাল দেখছি সে সত্যিই তোমার মতই হেয়ালি করে কথা বলে ..
- আহ , নীলা চুপ কর তো ! লোকে শুনলে তোমার এই সতী সাবিত্রী ইমেজে দাগ লেগে যাবে ! .... আচ্ছা মনে আছে তোমার , সেই যে চিঠি লিখতাম আমি ?
: হুমম , রিনী নামটাও তো চিঠিতেই লিখেছিলে ..
- জানো প্রথম যেই চিঠিটা দিয়েছিলাম তোমায় , সেটা প্রিটেস্ট এর খাতার কাগজে লিখেছিলাম . অংক পরীক্ষার হলে বসে ..
: হ্যা জানি , রাতের অন্ধকারে যখন বারান্দায় ডেকে চিঠিটা দিয়েছিলে হাতে তখন কাচুমাচু গলায় বলেছিলে ' প্লীজ চিঠিটা সিরিয়াসলি নিও . আমি আজকে পরীক্ষা না দিয়ে তোমার জন্যে চিঠি লিখেছি !'
- আমি শুরু থেকে শেষ অব্দি তোমাকে মোট ৩৫৬ টা চিঠি লিখেছি .. সেগুলোর কয়েকটাও কি আছে তোমার কাছে ?
: কেন ? নতুন প্রেমিকা জুটেছে বুঝি ? তাকে আবার নতুন করে চিঠি লিখতে পারবে না , তাই জন্যে পুরনো চিঠি চাইছ ?
- আগে বলো না কটা চিঠি আছে তোমার কাছে ?
: একটাও নেই ... বিয়ের দিনই পুড়িয়ে দিয়েছি ... কি দরকার নতুন জীবনে পুরনো আবর্জনা টেনে আনার !
- আবর্জনা ! ভালই বলেছ !
: তা এবার তোমার খবর বলো ...
- খবর ! ...মমম.. ভালই আছি .. ইউএস আর্মির চাকরি , মাস শেষে মোটা মাইনে , উপরওয়ালার সুনজর সবই পেয়েছি . এখন তো কোনো বার কিংবা পাবে গেলে চাকরি শুনলে মেয়েরা হামলে পড়ে ...
: আচ্ছা আমার সেই নীল ওরনাটা কিন্তু তুমি দিলে না !
- সরি , কোন ওরনা ?
: সেই যে একবার শাড়ি পরতে বলেছিলে কিন্তু আমি সালওয়ার কামিজ পড়ে এসেছিলাম সেই জন্য রাগ করে যে ওরনা টা রেখে দিয়েছিলে ?
- ও .. আ'ম সরি .. জানো তো , হারিয়ে ফেলেছি ... তোমার বিয়ের কদিন আগেই ... বোঝোই তো , আর্মির লাগেজ , জায়গা কোথায় অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর !!!
: বাহ ভালই আঘাত করে কথা বলা শিখেছ ..
- তোমার কাছ থেকেই তো শেখা ...
এমন সময় পেছন থেকে মা বলে দুটি কচিকন্ঠ ভেসে এলো . কিন্তু মায়ের সাথে একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষকে দেখে থমকে দাড়ালো ওরা . বিষয়টা রিফাতের চোখ এড়ালো না . আদর করে বাচ্চাদুটোর গাল টেনে দিল সে . পকেটে দুটো বড় বড় ক্যাডবেরি ছিল , ধরিয়ে দিল বাচ্চাগুলোর হাতে . তারপর এটা সেটা , ছড়া শোনা , গান শোনা . সব শেষে চলে আসার আগে দুজনকে জড়িয়ে ধরে বলল ' বাহ তোমরা দুজনই যে মায়ের রূপ পেয়েছ গো কন্যেদ্বয় ! তবে .. কখনো কাউকে কষ্ট দিও না , কারোর অশ্রুর কারণ হয়েওনা তোমরা .. ' তারপর নীলার দিকে তাকিয়ে বলল ' পারলে শাড়ি পরো কখনো সখনো .. ভালো লাগে তোমাকে ওভাবে ..' বাস এইটুকু বলে আর দাড়ালো না সেখানে . পার্কিং এ গিয়ে প্রিয় স্করপিওন গাড়িটা স্টার্ট দিল ও .. দুরন্ত বেগে গাড়িটা ছুটে চলল ঢাকার রাস্তায় . শুধু রেস্টুরেন্টে নির্বাক চলচ্চিত্রের মত ঠায় দাড়িয়ে রইলো নীলা ..
পর সমাচার ১
সন্ধ্যা ৭ টা . সবে বাংলাদেশ আর্মি কোয়ার্টার এ ফিরেছে রিফাত . একটা সিক্রেট মিশনে ইউএস আর্মি থেকে দেশে এসেছে সে . খুব তারাতারি কাজ শেষ করে ইউএস এ ফিরতে হবে ওকে . আজ সারাদিন তাই কাজের মধ্ধেই ছিল , হয়ত রাতেও তাই করতে হবে . বিছানায় বসে ব্যাগ থেকে একটা ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেট বের করলো সে . সেই ছোট্ট প্যাকেটে সযত্নে রাখা নীলার নীল ওরনা . ওরনাটা বের করে তার গন্ধ নিল রিফাত . ইশশশ , এত্ত বছর পরেও ওড়নায় নীলার শরীরের মিষ্টি ঘ্রাণ পাওয়া যায় ! প্রত্যেকদিনই সে এভাবে এই ওড়নার ঘ্রাণ নিয়ে আসছে , যখন নীলা ছিল তখন , নীলা চলে যাবার পর ও .. তবুও আজ নীলা কে মিথ্যে বলল কেন সে ? " থাক না , সব সত্যি কথা জানিয়ে লাভ কি ! আমাকে ভুলে ও যখন সুখে আছে , তখন এসব জানিয়ে ওর জীবনে বিঘ্ন ঘটানোর কোনো মানেই হয়না !" ভাবলো রিফাত . হঠাত ফোন এলো , আজ রাতে জরুরি অপারেশন এর ডাক পড়েছে . শেষবারের মত ওড়নার গন্ধ নিয়ে আবার আগের মত করে গুছিয়ে রাখল সেটা . তারপর চটপট তৈরী হয়ে বেরিয়ে গেল সে . হেলিপ্যাড এ হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে . হেলিকপ্টারে ওঠার আগ মুহুর্তে পকেট থেকে ওয়ালেটটা বের করলো . সেখানে সযত্নে রাখা নীলার ছবিতে আবেগী চুম্বনের পর আবেগী আলিঙ্গন . তারপর উঠে পড়ল হেলিকপ্টারে . হেলিকপ্টার টা যখন মধ্য আকাশে উড়ছে প্রবল শব্দে , তখন নিচে হেলিপ্যাডে অধ:স্তন এক আর্মি অন্য এক আর্মি কে নিচু গলায় বলল " রিফাত স্যার বলেন অনার সব সক্তি সাহস নাকি ওই ওয়ালেটে বন্দী . কিন্তু বিষয়টা আজ বুঝলাম না !"
পর সমাচার ২
রাত ১১ টা . দুই কন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে নীলা সবে একটু সুস্থির হয়ে বসেছে . স্বামী ফেরেনি এখনো . আলমারি খুলে একটা কারুকার্য খচিত কাঠের বাক্স বের করলো নীলা . এই বাক্স বোঝাই রিফাতের আবেগ ভরা ৩৫৬ টা চিঠিতে . সেই প্রথম টা থেকে শেষ অব্দি . একদম প্রথম চিঠিত থেকে পরা শুরু করলো ও . রোজই পরে . তবুও আজ মিথ্যে বলল রিফাতকে . " রিফাতের কন্ঠ থেকে আমার জন্যে শুধু ঘৃনা আর শ্লেষ ঝরে পড়েছে আজকে . তাতে কি ! আমাকে ঘৃনা করে যদি ও সুখী হয় তবে তাই সই ! চিঠির কথা বলে আর মায়া বাড়ানোর দরকার কি ! ওকে তো সুখী করতে পারলাম না এই জীবনে , এভাবে না হয় একটু সুখ পাক ছেলেটা ! " একটা একটা করে যখন রিফাতের বিদায়ী চিঠিটা পড়ল নীলা , তখন নিজের অজান্তেই বুক চিরে বেরিয়ে গেল একটা দীর্ঘ শ্বাস . ঝড়ো বাতাস বইছে এখন বাইরে . অমনি আলমারিতে বাক্সখানা তুলে রেখে একটা শাড়ি বের করলো সে .. আজ শাড়ি পরবে ও , আজই তো রিফাত বলেছে এই কথা !! তারপর .. ভিজবে বৃষ্টিতে , যেভাবে রিফাতের সাথে ভিজতো ...
ঠিক একই সময়ে ঝোপের আড়ালে বসে শত্রুর অপেক্ষা করতে করতে রিফাতের চোখেও সেই একসাথে বৃষ্টি তে ভেজার স্মৃতির ফ্ল্যাশব্যাক .
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×