somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিদিয়ের দ্রগবাঃ একজন শান্তিদূত

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



“I have won many trophies in my time, but nothing will ever top helping win the battle for peace in my country. I am so proud because today in the Ivory Coast we do not need a piece of silverware to celebrate.” – Didier Drogba

দিনটি ছিলো ২০০৭ সালের ৩রা জুন। আইভরি কোষ্ট আফ্রিকা নেশনস কাপের বাছাই পর্বের খেলায় মাদাগাস্কারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় পায়। এই খেলাটি আইভরি কোষ্টের ফুটবল লিজেন্ড দিদিয়ের দ্রগবার হস্তক্ষেপে দেশটির উত্তরে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বোয়াকেতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০২ সাল থেকে আইভরি কোষ্টে চলছিলো গৃহযুদ্ধ। দেশটির উত্তরে মুসলিম অধ্যষিত এলাকায় মুসলিম বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে সে দেশের দক্ষিণের খ্রিষ্টান অনুগত সরকারের সাথে যুদ্ধ চলছিলো। ফলে ৫ বছর যাবত দেশটিতে রক্তাক্ত ও তিক্ত গৃহযুদ্ধ চলছিলো। সেদিন ম্যাচটি দেখতে জাতিগত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সবাই দেখতে আসে।

এভাবেই সেদিন একটি ফুটবল দল দেশের জাতিগত উত্তেজনা, রক্তাক্ত ও তিক্ত গৃহযুদ্ধের একটি শান্তিপুর্ন সমাধানে সাহায্যে করেছিলো।

১৯৭৮ সালে মার্চ মাসের ১১ তারিখে আইভরি কোষ্টের দক্ষিণের রাজধানীতে দিদিয়ের দ্রগবা জন্মগ্রহন করেন। তার যখন বয়স পাঁচ তখন তার পিতা-মাতা তাকে ফ্রান্সের তার চাচার কাছে পাঠিয়ে দেন। তার চাচা ফ্রান্সের নীচু সারির লীগের একজন ফুটবলার ছিলেন। ৮ বছর বয়সে আবার নিজ মার্তৃভুমিতে ফিরে আসেন পুনরায়। পরবর্তীতে তার পিতার চাকুরী চলে যাওয়ায় সহ পরিবারে তারা সবাই ফ্রান্সে চলে যান।

সেই সময়ে আইভরি কোষ্টে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে শুরু করে। দেশটি ১৯৬০ সালে ফেলিক্স হাউফেট বোগনির নেতৃত্বে স্বাধীন হবার পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেদেশে বোগনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু রাখেন। সে সময় যে দেশের অভিবাসীদের ভোট দেয়ার কোন ব্যবস্থা ছিলো না। ১৯৯০ সালে প্রেসিডেন্ট বোগনি আইভরি কোস্টে গনতন্ত্র কায়েমে উদ্দেশ্যে সে দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনুমোদন করেন। ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট বোগনির মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন হেনরি বোগান বেদি। ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের অধিবাসী আলাসানে ওয়াতারা আইএমএফ’র চাকরি ছেড়ে দিয়ে দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন। মুলত ২০০০ সালে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছিল তার মূল লক্ষ্য। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বেই ১৯৯৯ সালে রবার্ট গুইয়ের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ততকালীন প্রেসিডেন্ট বোগান বেদি ক্ষমতাচ্যুত করলে তিনি ফ্রান্সে পালিয়ে যান। ২০০০ সালের রবার্ট গুয়েইয়ের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে দেশে গণ আন্দোলন শুরু হলে তিনিও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ফলে নির্বাচনে পরাজিত লরেন্ট বাগবো নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মুসলিম নেতা এলাসানে ওয়াতারা ও তার সমর্থকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন ফলে দেশটি ২টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।

আইভরি কোষ্টের ফুটবল ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। স্বাধীন হবার পর থেকেই দেশটিতে পেশাধারী কাঠামোর মাধ্যমে লীগ খেলা হওয়া শুরু হয়েছিলো। যার ফলে ১৯৬৪ এবং ১৯৬৮ তে তারা আফ্রিকান নেশনস কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলো।

ফিফার আনুপাতিক বরাদ্দের কারনে ১৯৯৪ সালে খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত আইভরি কোষ্ট সেই বছরও বিশ্বকাপে পৌছাতে পারেনি। আইভরি কোষ্ট ১৯৯২ সালে সেনেগালে অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকান নেশনস কাপে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলো। যে সময় আইভরি কোষ্ট দলে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়ার ছিলো যারা লে হারবে, মোনাকোর মতো দলে খেলতো।

২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট বাগবো এবং উত্তরের বিদ্রোহী প্রেসিডেন্ট ওয়াতারার সমর্থকদের মধ্যে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তেই থাকে। ফলে একে অপরের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে দেশে গৃহযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে। ২০০৪ সালে জাতিসংঘ এর শান্তি চুক্তি ও যুদ্ধ বিরতি আলোচনাও ব্যর্থ হয়।

ফলে ১৯৭৬ সালে পরে আইভরি কোষ্ট প্রথমবারের মতো আফ্রিকান নেশনস কাপেও খেলার সুযোগ হয়ে উঠেনি। আইভরি কোষ্টে যে সময় হেনরি মিসেল কোচ হিসেবে ছিলেন যিনি এর আগে ফ্রান্স, ক্যামেরুন, মরক্কো ও তিউনিউনিয়ার মতো দলে কোচ হিসেবে ছিলেন। তাছাড়া তখন দলে ছিলেন চেলসি'র দ্রগবা, কোলে তোরে, আর্সেনালের ইমানুয়েল ইব্যুয়ে, লেন্সের অরুনা দিনদানে, স্ট্রাসবর্গের আর্থার বোকা।

২০০৬ এর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে সুদানকে পরাজিত করতে পারলেই তারা বিশ্বকাপে পৌছে যাবে। পরবর্তীতে সুদানকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে তারা বিশ্বকাপে খেলার ঐতিহাসিক কৃত্বিত অর্জন করেছিলো। কিন্তু সে রাতে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো না।

আইভরি কোষ্ট টেলিভিশনের একজন সে ড্রেসিং রুমে প্রবেশ করলে দ্রবগা তার কাছে অনুরোধ করেন তাকে মাইক্রোফোন দেয়ার জন্য এবং বলতে শুরু করেন জাতির উদ্দেশ্যে -

"উত্তর, দক্ষিন, মধ্য এবং পশ্চিম আইভরি কোষ্টের ভাই ও বোনেরা; আমরা আজ প্রমাণ করেছি যে আমরা সহবস্থানে এবং একত্রে খেলেছি আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য, যে জন্য বিশ্বকাপ খেলার যোগত্য অর্জন করেছি। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আমরা এই আনন্দ সকলে মিলে একসাথে উদযাপন করবো। আজকে আমরা তোমাদের অনুরোধ করছি, আমাদের নতুজানু অবস্থায় ..." সেই সময়ে দ্রগবা এবং আইভরি কোষ্টের সকল খেলোয়ার নতুজানু হয়ে টিভি ক্যামেরা দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করেন - " ক্ষমা করে দাও, ক্ষমা করে দাও, ক্ষমা করে দাও। আফ্রিকার একটি সম্পদশালী দেশে যুদ্ধ করা ঠিক হবে না, তোমরা তোমাদের অস্ত্র ফেলে দাও, নির্বাচন দাও, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।"

এটা সত্যি কথা শুধু ফুটবলের মাধ্যমে একটা জাতির জাতিগত ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধান অতটা সহজ ছিলো না, তবে দ্রগবা কথায় কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছিলো। আইভরি কোষ্ট ফুটবল দলই সেসময় দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিলো যেখানে কোন জাতিগত দন্ধ ও ভেদাভেদ ছিলো না। দ্রগবা ছিলো দক্ষিণের তো অন্যদিকে কোলে তোরে ছিলো উত্তরের মুসলিম - কাধে কাধ মিলিয়ে দেশের জন্য তারা খেলতো যেখানে ছিলো না কোন মত বিরোধ। ফুটবল একা একটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি'র জন্য যথেষ্ঠ নয়, তবে দ্রগবার কথা তাদের মধ্যে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলো তারা একি জাতির, হঠাৎ করে তাদের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিলো।

দুই বছর পরে দ্রগবা দেশের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আবারো উদ্যোগ গ্রহন করেন। ২০০৮ সালের আফ্রিকান নেশনস কাপের বাছাই খেলার জন্য মাদাগাস্কার ফুটবল দল আইভরি কোষ্টে আসবে। যা আবিদজানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দ্রগবা তার প্রভাবে খাটিয়ে প্রেসিডেন্ট বাগবোর কাছ থেকে অনুমতি আদায় করে ভেন্যু পরিবর্তন করে নিয়ে যায় উত্তরের বাকুয়ে। অপ্রত্যাশিতভাবেই সেদিন প্রেসিডেন্ট জাতীয় ফুটবল দলকে বাকুয়ে খেলার অনুমতি দিয়েছিলো।

যুক্তিযুক্তভাবেই সেদিন দ্রগবা ভেবেছিলো উত্তরের এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে দেশের সকলের মধ্যে একটা বদ্ধ ধারণার সৃষ্টি হবে যে জাতীয় দল পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই ম্যাচ উত্তরে হলে দেশের দুই প্রান্তের মানুষের মধ্যে একটা পুনর্মিলনের সুযোগ ঘটবে। এই ম্যাচ উপলক্ষ্যে সরকারী খরচের বাকুয়ের স্টেডিয়ামে সংস্কারের কাজও হয়েছিলো। এতদিন যা দেশের রাজনীতিবিদরা পারেনি সেদিন একটি ফুটবল দল সকলকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিলো।

সেদিন মাঠে আইভরি কোষ্ট ৫-০ ব্যবধানে মাদাগাস্কারের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো। ৯০ মিনিটে দ্রগবার গোলের মধ্যে দিয়ে খেলা শেষ হয়েছিলো।

২০১০ সাল পর্যন্ত আইভরি কোষ্টে গৃহ যুদ্ধ চলেছিলো, তবে ২০০৭ সালের সেই ম্যাচ শান্তি, সহবস্থান এবং একটি ঐক্যবদ্ধ ভবিষ্যতের সম্ভবনায় সাহায্য করেছিলো। দুই দলের মধ্যে আলোচনা সহজতর হয়েছিলো, সংঘাতের প্রাদুর্ভাব থেকে উত্তরের সাথে শান্তিপূর্ণ একত্রীকরন প্রস্তাব দিয়েছিলো দক্ষিণ। দুই অঞ্চলে পৃথক জোন বাতিল এবং নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির কথা উচ্চারিত হয়েচ্ছিলো।

অবশেষে ২০১০ সালে একটি বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ওয়াতারাকে নির্বাচিত ঘোষনা করলেও বাগবো এতে কারচুপি'র অভিযোগ আনেন। ফলে দেশে আরেকটি সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। অবশেষে ২০১১ এর এপ্রিলে বাগবো গ্রেফতার হয় এবং ওয়াতারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ধীরে ধীরে আইভরি কোষ্টে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে।

ফুটবলের ১১ জন খেলোয়ার হয়ত একটা দেশের গৃহযুদ্ধ বন্ধ করতে পারে না কিন্তু এটাও সত্য ফুটবলের শক্তিকে ছোট করা যাবে না, টিভি'র মাইক্রোফোনে দেশবাসীর প্রতি আবেদন বা দ্রগবা তার প্রভাব খাটিয়ে বাকুয়ে ম্যাচ অনুষ্ঠিত করে দুটো বিভক্ত জাতিকে এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলো।

৩৯ বয়সী দিদিয়ের দ্রগবা তার ১৮ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে ৪টি লীগ, ৭টি ঘরোয়া কাপ এবং ১টি চ্যাম্পিয়ান্স লীগ শিরোপা অর্জন করে। তবে এই সাফল্য ছাড়িয়ে তার সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিলো দেশের গৃহযুদ্ধ থামানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×