ঘাস ফড়িঙ কন্যার দু’চোখ আজ খোঁজেনা আর সবুজ পৃথিবী
কেবলি শুকনো ঝড়া পাতা পড়ে থাকে ঘাসের উপর
শুকনো আগুন হাওয়া লেগেছে আজ পৃথিবীর বনে
সে সবের ঢের আগে দুরন্তপনা ছিল ফড়িঙ কন্যার জীবনে
কাল বোশেখীর আগমনেও ঘাসের উপর বিছানা শুকনো পাতার
চারদিকে নিস্তব্ধতা যেন কাশবনে সন্ধ্যার আবছা অন্ধকার ।
আগমনী বর্ষার অস্পষ্ট জগতে জলহীন কাজলা দিঘী পারের শুপাড়ী বাগানে
উড়ল কিছুক্ষন,দেখল মনু্ষ্য স্বাপদেরা চলে গেছে ভিন্ন পথে ঈশ্পিত জনারন্যে
সুযোগ সন্ধানীরা বাঁশ ঝারের ফাঁক দিয়ে বট তলার আঁধার গলিতে নেমে আসে;
দু-একটা স্বাপদের আসা যাওয়া; ফিসফাস কথামালা উড়ে চুপে সন্ধ্যার বাতাসে
ঘাস ফড়িঙ এর ছোট্ট জীবনের অতীত ব্যাপ্তি আজো যেন লেগে আছে পাখায় পাখায়
ঐ সব ক্ষুধার্থ বকছানা, ঐ সব হিট এটাক ধানক্ষেত, খড়তাপে ক্লান্ত পথিকের হাটায়
হরিত শুকনো দুর্বা ঘাসের ফুলে ফড়িঙের খসে পড়া পাখনা রয়েছে ছড়িয়ে
বিজন প্রান্তরে হেঁটে চলে আজ, বলতে পারেনা হৃদয় গহীনের বৈশাখী মেলার কথা।
নেই আর দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের কিনার প্রান্তরে সবুজের ঢেও
পড়ে আছে খড়কুটো উড়ে এসে লাগে গায়ে গতরে,
করোনার জীবানু হাতে মুখে ফুসফুসে বেঁধে গিয়ে নড়ে-চড়ে
অতিশয় ক্ষুদ্র অদৃশ্য জীবন্ত কণা চারিদিকে জীবনের উচ্ছলতা নাশ
আলেয়ার মতো ওই জীবন্ত গোলা উড়ে শূন্যে, কি রকম অবাধ বিকাশ
মুখোসের আড়ালে যাপিত জীবন, বেচে থাকার অপার আশা চেতনার কণা
ধারণ করে বুকে সদলে চিল্লায়, তবে এ সবই ব্যর্থ প্রয়াসের বিমুর্ত ধারণা
টিকার আশা চোরাকাঁটার মত অন্তরাত্মায় বিধে আছে
জানেনা সে প্রান্তর নক্ষত্র নদী আকাশ থেকে সরে গেছে
সেটাই স্পষ্ট, যদিও বাক বিতন্ডায় লিপ্ত, ঘটনা যে উল্টো তাই-ই ঠিক।
সহায়ক কর্মে নয়;অবহেলায় নিখিলের বিষ বৃক্ষ আজ নিজ বিকাশে উল্লসিত
চারিদিকে তাকিয়ে দেখে শকুনিরা নীজ ভাগ বাটোয়ারায় কতই না আজ মত্ত
কে আর চায় নিতে দুর্বাঘাসের বেদিতে আত্মাহুতি দেয়া ঘাস ফড়িঙদের তত্ত
জীবনের ঝুকি নিয়ে হাসিমুখে কাজ করে যাওয়া সেই জীবনগুলিইতো বাস্তবের যোদ্ধা
আর নয় হেনস্তা বা অবহেলা, কোয়ারানটিনে গৃহবন্দিদের হৃদয়ের কুর্নিশ তাদেরই প্রতি।
ছবি সুত্র : গুগল ইমেজ ভান্ডার এর পাবলিক ডমেইন
পোষ্টটি সম্মুখ সারির সকল করোনা যোদ্ধাদের প্রতি উৎসর্গিত
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩১