আমার অধিকারের সীমা রেখা একদম আমার নাকের ডগায় আঁকা যেন! হ্যাঁ এটাই বাস্তব। যার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে চেয়ে ছিলাম সেই কিনা আমাকে তার একটি ফটো দিতে রাজি হয়নি! আমার স্বজনী, আমি নাকি তার প্রাণের ও অধিক, আসলে তার প্রেম-ভালোবাসা সব যেমন একশত ভাগ সাচ্চা, আবার তা একশত ভাগ রহস্যময়! সাধে কি আর পাগল আমি! একবার তাকে না বলে গিয়েছিলাম নানার বাড়ি বেড়াতে, নানা বাড়ি থেকে ফেরার সময় সঙ্গী হয়েছিল আমার দুই মামাতো বোন। বাড়ি আসতে না আসতেই আমার উপর কারফিউ জারি হলো। এই বান্দার এই ঘরে প্রবেশ নিষেধ! তা না হয় মানলাম, কিন্তু নাওয়া খাওয়া ছাড়লো কোন দুঃখে! আর কিছুনা! আমার মামাতো বোনদ্বয় নাকি তার চেয়েও বেশি সুন্দর আর আমি নাকি তাদেরকে দেখে আমার স্বজনীকে ভুলে গেছি। শালার যত জ্বালা। এখন করবোটা কি। আমার কাছে তার এক কপি ছবি ছিল, সুযোগ পেয়ে তাকে দেখিয়ে তার ছবিতে একটা চুমু খেলাম, আর পালাবো কোথায়, খ্যাপা ষাড়ের মত আমার কাছে এসে ফটোটা কেড়ে নিল, বাধা দেওয়ার সাহস আমার কোন কালেও ছিলনা। রাগে অনেক ক্ষণ আমার পানে চেয়ে আমার চুল চেপে ধরে গালে....! আর সেদিন থেকে আমি বঞ্চিত হলাম তার ফটো থেকে।
আমার স্মৃতিগুলো এতই জীবন্ত যে আমার কখনও ছবির আশ্রয় নিতে হয়না। আমার ভালোবাসা আমার কাছে সদাজাগ্রত, সদা বর্তমান। আমার ভালোবাসাকে আমার কাছে এতটাই প্রাণময় যে অতীত ভাবার কোন সুযোগই হয়না। তার অনেক ফটোই আমার কাছে ছিল, সে ফেরত চাওয়া মাত্র তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। তার ছবিগুলো ফিরত দিতে আমি কোন দুঃখ পাইনি । আমার কাছে তার ছবিগুলো ছিল আমানত। আর সে যদি আমার উপর বিশ্বাস রাখতে না পারে, তবে সে সেগুলো ফেরত নিতেই পারে। তাতে আমার বাধা দেওয়ার কিছুই নাই।
এটাই আমার ভালোবাসার প্রথম এবং একমাত্র অবিশ্বাস। আমাদের অজস্র দ্বৈত ছবি ছিল। আমার গুলো আমি অনেক আগেই পুড়িয়ে ফেলেছি। তার পাশে আমি এই ভাবেত ছবি দেখতে হবে কেন! স্বজন তুমি আমার হৃদয়ে চির দিনের জন্য। আমার প্রাণের স্পন্দনে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



