হে মানব সম্প্রদায় একটু শোন,
আমি আল-কুরআন বলছি।
আমার বাড়ী লাওহে মাহফুজে।
আমি কেন এসেছি জানো?
আমি এসেছি সমস্ত মানব জাতীকে পথ দেখাতে।
হও তুমি হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কিংবা মুসলিম।
কোন পথ জানো?
সেটা হচ্ছে মাত্র দুটি পথ!
এর বাহিরে আর কোন পথ নেই।
তার একটি পথ ধরলে সামনে যা পাবে তা হচ্ছে উত্তপ্ত আগুন!
আর দ্বিতীয় পথটি ধরলে সামনে পাবে ফুলে-ফলে ভরা সবুজ উদ্যান।
এখন বল তুমি কোন পথটি ধরবে?
হে মানব সম্প্রদায় মনযোগ দিয়ে শোন,
অবশ্যই অবশ্যই তোমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।
তবে তারা ব্যতীত যারা এক এবং
অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস স্থাপন করে,
আর সৎকর্ম করে।
আর মানুষকে উপদেশ দেয় সত্য-ন্যায় এবং ধৈর্য্য ধারনের।
হে মানব সম্প্রদায়,
আমার সতর্কবানী সেদিন প্রমাণিত হবে,
যেদিন আসবে প্রতিক্ষিত সেই হাশর দিবস।
যেদিন কেউ কাউকে চিনবেনা,
শুধু নিজকে নিয়েই পেরেশান থাকবে সবাই।
শুরু হয়ে যাবে দুনিয়ার সকল কৃতকর্মের হিসাব!!
তুমি আফসোস করবে আর বলবে,
হায়রে! এইতো! ঐ দূরেই দেখা যায় সেই জাহান্নাম!
দুনিয়ায় যাকে আমরা মিথ্যা ভেবেছিলাম!!
যে কুরআনকে আমরা গিলাফ বন্দী করে রেখেছিলাম!!
জীবনে একটিবারও পড়ে দেখিনি, কি ছিল তার সতর্কবানী?
অমুসলিমরাও সেদিন বলবে হায়হায়!!
আমরাতো ভেবেছিলাম এ কুরআন কেবল মুসলমানদের জন্য!
কি করলাম দুনিয়ায়?
কতো নোবেল পড়লাম! কতো কি পড়ে সময় নষ্ট করলাম!
একটি বারও কেন কুরআন পড়ে দেখলামনা!
কুরআনতো নিজেই বলেছিলো,
সে এসেছিল সমগ্র মানবসম্প্রদায়কে পথ দেখাতে!
হায়হায় কি হবে অাজ??
হাশরের দিনে আফসোস করতে করতে,
অপরাধীরা নিজ হাত কামড়াবে আর বিলাপ করবে!
অদূরে জাহান্নাম গর্জনে গর্জনে ফেটে পড়বে!!
সে জাহান্নামের জ্বালানী হবে কেবল মানুষ ও পাথর!!
হাশর ময়দানে আড়াই হাত মাথার উপরে থাকবে উত্তপ্ত সূর্য!
সেদিন রাজা-বাদশা কেউই রেহাই পাবেনা।
প্রাপ্ত ক্ষমতাকে কে কিভাবে ব্যবহার করেছে?
কোটি কোটি বছর পেরিয়ে যাবে হিসাব দিতে দিতে!
হে মানুষ,
হাশর দিবস নিয়ে তুমি সন্দেহে ডুবে আছো?
সত্য-মিথ্যার মধ্যখানে তোমার অবস্থান?
নাকি কেবল মিথ্যে ভেবেই নিশ্চিন্ত হয়ে আছো?
হে মানুষ, এটা অবশ্যই সত্য!! বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই...।
তুমি আগ্নেয়গীরি দেখেছো?
এটাই জাহান্নামের স্যাম্পল!!
এখনো বিশ্বাস হয়নি?
পরকাল মিথ্যা মনে হয়?
তোমাকে শেষবার বলছি,
কুরআনের সতর্কতা অনুসারে,
যদি পরকাল সত্যিই সত্য হয়ে যায়???
তখন কি হবে বলো???
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫