ঈদ মোবারক সামুবাসী। সবাই আছেন কেমন? আমাকে মনে আছে? নাকি ভুলে গিয়েছেন? পুরো ১ বছর ৪ মাস ১৫ দিন পর সামুতে লিখতে বসলাম। শেষ লিখেছিলাম সেই ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে। এর মধ্যে অবশ্য বিচ্ছিন্ন ভাবে সামুতে ঢুঁ মেরেছি। সামনে পাওয়া লেখাগুলো পড়েছি; আবার চলে গিয়েছি। আসলে প্রচণ্ড রকমের ব্যস্ততার কারণে সামুতে আর লেখালেখি করা হয়ে উঠছিলো না। এর মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে অবশ্য টুকটাক নিউজপেপার এবং ম্যাগাজিনের জন্য লিখেছি কিন্তু সামু থেকে একদমই গায়েব ছিলাম।
২০২২ সালে কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর আগের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে নিজের জন্য আলাদা করে সময় বের করাটাই দুষ্কর ছিল আমার জন্য। একদম যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলাম আমি।
আপনারা যারা আমাকে চিনেন তারা জেনে থাকবেন আমি একজন রন্ধনশিল্পী। রান্না আমার প্যাশন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার প্রকাশিত রেসিপি এবং টেলিভিশনে আমার রান্নার অনুষ্ঠানও দেখে থাকবেন। এই প্যাশন থেকে অংশ নিয়েছিলাম দেশের সবচেয়ে বড় কুকিং রিয়্যালিটি শো সেরা রাঁধুনি ১৪২৯ এ এবং বিভিন্ন রাউন্ড পার করে এতে সেরা পাঁচে জায়গা করে নেই। সহব্লগার মোঃ মাইদুল সরকার এটা নিয়ে সেরা রাঁধুনী ১৪২৯ এর টপ-৫ এ থাকায় ব্লগার আলভী রহমান শোভনকে অভিনন্দন শিরোনামে বিস্তারিত একটি পোস্টও দিয়েছিলেন। যাই হোক, এই প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের ক্যাম্পে থাকতে হয়েছিল প্রায় দুই মাস। চাকরি থেকে এতদিনের ছুটি মঞ্জুর করছিল না। পরিনামে আমাকে বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়তে হয়েছে। নিজের মন যেটা বলেছে আমি সেটাই শুনেছি। সামুর অনেকেই আমার খোঁজ নিয়েছেন, জানতে চেয়েছেন সামুতে অ্যাক্টিভ নই কেন আমি আগের মত। তো এগুলোই হল সেই কারণ। চাকরি, সেরা রাঁধুনির প্রতিযোগিতা, টিভি শো, নিউজপেপারের জন্য রেসিপি প্রস্তুত করা সব কিছু মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততা গিয়েছে। তবে এখন প্রমিজ করছি এখন থেকে নিয়মিত হব সামুতে। নিয়মিত লেখার চেষ্টা করবো সামুতে।
নতুন আরেক আপডেট জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি। সেরা রাঁধুনি থেকে আসার পর নিজের ক্যাটারিং শুরু করেছি FoodTribe by Alvi নামে। অন্য সব ক্যাটারিং অথবা হোমমেড ফুড ডেলিভারির চেয়ে কিন্তু আমার ক্যাটারিং একটু ভিন্ন। কেন এবং কিভাবে? আমার ক্যাটারিং এ এমন সব খাবার দিয়ে সাজিয়েছি যেগুলো সচারাচর অন্যান্য ক্যাটারিং এ পাওয়া যায় না। আমার ক্যাটারিং এ পাবেন ভারতীয় উপমহাদেশের সেই ব্রিটিশ পিরিয়ডের ঐতিহ্যবাহী গোয়ালন্দ স্টিমার মুরগি, খাসির ডাকবাংলো, ইন্দুবালার ভাতের হোটেলের ভাইরাল খাবার – কচু বাটা, বিউলির ডাল, কুমড়োর ছক্কা কিংবা বাংলাদেশের আদিবাসী গোষ্ঠীর খাবার – পাজন (চাকমা), হিথুপা (গারো), মুন্ডি (মারমা), জা – ডো (খাসিয়া), ইরামবা (মনিপুরি) এর মত ভিন্ন স্বাদের সব খাবার।
আজ এ পর্যন্ত। পরের বার আবার নতুন লেখা নিয়ে হাজির হবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫