যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিবাদে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন ছাত্র-শিক্ষক-কবি-বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে সাধারণ মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। পূর্ব নির্ধারিত সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রতিবাদ সমাবেশটি শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আজকে ঈদের এই আনন্দের দিনে আমরা অনেক বেদনা নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছি। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ। কোনো সভ্য দেশে এমনটা হতে পারে না। তাই আজকে আমাদেরকে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার দাবিতে শহীদ মিনারে দাঁড়াতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র যখন দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, নাগরিক সমাজকে তখন সোচ্চার হতে হয়।
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিশুক মুনীরের ছোট ভাই আসিফ মুনীর বলেন, ‘যাদের রক্তে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, শহীদ মিনার পেয়েছি, তাঁদের রক্তের ত্যাগ আমরা বৃথা যেতে দিতে চাই না। আজকে ঈদের দিনে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে যোগ দিয়েছি শহীদ মিনারে। আমরা চাই সরকার আমাদের কথা শুনুক। আর যদি না হয় আমাদের সংগ্রাম দীর্ঘদিন চলবে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সুজনের বদিউল আলম মজুমদার, এটিএন বাংলার সাংবাদিক জ ই মামুন, দেশ টিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান পারভেজ চৌধুরী, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
গত ২৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনীরের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দাবি করে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এর পর সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ আগস্টের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রীর পদচ্যুতি; গাড়ি চালকদের অবৈধ লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা; সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া; গণপরিবহন ব্যবস্থায় দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা; সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনটি কঠোর করা; চালকদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং প্রশাসনের সর্বস্তরে কার্যকর জবাবদিহিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠার সাত দফা দাবি জানানো হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




