somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনে গাড়ী আর কেনা হলো না! পুড়ে যায় যদি। তা না হলে নিজেই যদি বাসের মধ্যে আগুনে পুড়ে রাজনৈতিকদের শিক কাবাব খাবার রসনায় সুবাস ছড়াই! দরকার নেই ভাই গাড়ী চড়বার! একটা সাইকেল কিনবো!!!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার কোনো গাড়ী নেই। স্বপ্ন ছিল কিনব। জীবনে কিনতে পারব কিনা জানি না। এই গাড়ী পোড়ানোর উৎসব দেখে মনে হচ্ছে এজীবনে আর কেনা হবে না। ছোটবেলায় ছোলার ক্ষেতে গিয়ে ছোলা পুড়িয়ে খেতাম! এখন রাস্তায় গাড়ী পোড়ানো দেখে মনে হচ্ছে এ যেন ছোলা পুড়িয়ে খাওয়ার মতনই তুচ্ছ ব্যাপার! কি নৈরাজ্যের দেশে আমরা বসবাস করি! যারা রাস্তায় গাড়ীতে আগুন দেয় তাদের কি নিজের গাড়ী আছে? নাই। স্বামর্থ আছে? থাকতেও পারে। তবে স্বামর্থ থাকলে মনে হয়না তারা রাস্তায় গিয়ে এমন কাজ করতে পারে। যাদের গাড়ী পোড়ানো হয় তারা কি সব সবয়ই প্রতিপক্ষ দলের? না। যে গাড়ীগুলো পোড়ানো হয় তাদের কি সরকার ক্ষতিপুরণ দেয়? না। ইনসুরেন্স? মনে হয়ে না। এখন থেকে গাড়ীর মালিকেরা ইনসুরেন্স করবার সময় হরতালে গাড়ী পোড়ানোর বিষয়টা ইনসুরেন্সের লোকদের বলে দেখতে পারেন। আমি বলছি না যে, এই ঘটনা শুধু এখনই ঘটছে। যারা সরকারে থাকে তারা পোড়ায় না, আবার তারাই বিরোধী দলে গেলে পোড়ায়। একই ব্যাপার ঘুরে ফিরে। কপাল পোড়ে কোন এক মধ্যবিত্বের নয়ত গ্রামে জমি বিক্রি করে ঢাকায় এসে কোন এক লক্কর ঝক্কর মার্কা ক্যাব কিনে ভাড়ায় চালিত দরিদ্র চালকের স্বপ্নের সেই গাড়ীটির। সরকারী গাড়ী পুড়লে তো জনগনের ক্ষতি। অবশ্য যারা সরকারী এই গাড়ী গুলোর মেইনটেনেন্স এর দায়িত্ব পালন করেন কিংবা সরকারী নতুন গাড়ী কিনবার ক্রয় সংক্রান্ত কাজটি করে থাকেন; তাদের তো ভাই রাস উৎসব! শুধু এটুকুই বলবার আছে দেশটা কিংবা পুড়িয়ে দেওয়া সেই গাড়ীগুলিকে কি রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা নিজের বাপ- দাদার সম্পত্তি মনে করেন? আপনারা কি মনে করেন যে গাড়িগুলির মালিকরা আপনাদের কে আর ভোট দিবে? যদি অতীতে দিয়েও থাকে মনে হয় না আর দিবে! আর সরকারের প্রতি বলার এটুকুই আছে- জনগনের এবং সেই সঙ্গে জনপ্রশাসনে নিয়োজিত রাষ্ট্রের কর্চারীদের যদি নিরাপত্তা না দিতে পারেন তাহলে লজ্জায় মুখ লুকান। আর না হলে ওল্ড ওয়েষ্ট স্টাইল চালু করে দিন! (ওয়েষ্ট্রার্ণ সিনেমার মতন!) সবাই কোমরে রিভলবার নিয়ে ঘুরবে। কারো কা্ওকে পছন্দ না হলে ডুয়েল লড়বে! দুই নেত্রীও ডুয়েল লড়তেন সেক্ষেত্রে! লাষ্ট ম্যান ষ্ট্যান্ডিং! আর নিষ্কর্মা শেরিফের দায়িত্বে থাকবেন .। .। .। ভেবে দেখুন তো কে?
আমাদের মতন আম জনতার হাড়-গোড় আর জ্বালিয়ে খাবেন না। মুক্তি দিন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারলে ঘোষনা দিন - ‘‘পারবো না” । আর যদি পারেন, তাহলে কঠোর হাতে দমন করুন নৈরাজ্য।

আর কি বলব---- জীবনে গাড়ী আর কেনা হলো না! পুড়ে যায় যদি। তা না হলে নিজেই যদি বাসের মধ্যে আগুনে পুড়ে রাজনৈতিকদের শিক কাবাব খাবার রসনায় সুবাস ছড়াই! দরকার নেই ভাই গাড়ী চড়বার! একটা সাইকেল কিনবো।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×