ফজরের নামাজ পড়া হয়না অনেক দিন। পড়ার ইচ্ছা হয়না বললেই চলে। নামাজী হতে ইচ্ছা হয়েছে অনেক বার, খুব বেশী হলে দুইমাস চলে, আবার যেই সেই। মাত্র বৌকে ডাকতে চাচ্ছিলাম , ঐ সময়টা আমার জন্য ওর কাছে যাবার বড়ই উত্তম সময় বলে মনে হয়। বিছানা কেপেউঠল, ঠক ঠক করে দরজা কেপেউঠল , বাড়িতে ভুতুড়ে সমস্যা প্রচ্ছন্ন রূপে ছিল প্রকাশ্যভাবে আশা করি নাই, বিশ্বস হচ্ছিলনা।ও বলল ভুমিকম্প হচ্ছে। আমি আগে থেকেই দূয়া পড়ছিলাম ,ওয় পড়া শুরু করল। এত বড় ভুমিকম্প অনুভাব করার অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল না, একটু কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাবেই বিছানায় বসে রইলাম। ভুমিকম্প শেষ হল! এতক্ষনে চারপাশে হৈচৈ শুরুহয়ে গেছে, বাবা চিতকার করে আমাকে দুইবার ডেকে ফেলেছেন, হুড়মুড় করে নিচে নেমেযাচ্ছে সবাই। বেড় হলাম বাবা মায়ের সাথে দেখা করলাম। earthquake app দিয়ে ভুমিকম্পের অবস্থান আর মাত্রা দেখলাম,আর দেখালাম, ফোন আসা যাওয়া শুরু হয়েগেল। ভাবলাম আজ ফজরের নামাজে মসজিদ ভরে যাবে। নিজেরাও নামাজ পড়লাম। সুরা যিলযাল শুনলাম কয়েকবার। ওকে কাছে ডাকলাম, সব কিছু আগের মত হল। এর পরে সকালে আবার প্রতিদিনকার মানুষটাই হয়ে গেলাম। কোন কিছুই টলায় না আর আমাদের.........................................
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪