somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অগ্নি ঝরা মার্চের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যে রক্তের দাগ এখনো মুছে যাইনি ইতিহাসের পাতা থেকে কখনো মুছবেও না যদি আমরা বাঙালিরা না
মুছে দেই।চলছে দাগ লেগে থাকা রক্তক্ষয়ী শুরু হওয়ার মাস অগ্নি ঝরা মার্চ মাস !সকল শহীদ এবং মুক্তি যোদ্ধাদের
জানাই গোটা বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে সালাম।যে সকল মুক্তি যোদ্ধারা বেঁচে আছেন তাদের জানাই সমবেদনা ।
আর যে সকল মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি রইল রক্তক্ষয়ি শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

১৯৭১ সাল ততকালিন পাকিস্তানি সৈরাশাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে গোটা বাঙ্গালি যাদের কথায়
স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে বাঙালির মুক্তিকামী মানুষেরা।সেই সকল নেতা মহাদয়গণেকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯৭১ সালে এই মার্চ মাসেই স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বাঙালি জনগোষ্ঠির মধ্যে মুক্তি যুদ্ধের উর্বর এক বীঁচ
রোপ করা হয়,আর সেই বীঁচ থেকেই এক মুক্ত স্বাধীন বাংলার শিঁকর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯মাস পুরো দেশ
ঐক্যবদ্ধ ভাবে তীব্র আন্দলোনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীকে পিঁছু হটিয়ে বাঙালি জাতির জন্য এনে দেয়,মহান
গৌরবময় উজ্জল স্বাধীনতা।

১৯৭১সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়া হলেও চূরান্ত আন্দলোনের সূচনা হয়েছিল;১ই মার্চ।ততকালিন
পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জনাব ইয়াইয়াখাঁন একদিন বেতার ঘোষনার মাধ্যমে ৩রা মার্চের গণপরিষদে অধিবেশন স্থগিত করার
কথা বলেন,আর তখন ঢাকা স্টেডিয়াম বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল,
এই ঘোষনা যখন দশকদের কানে পৌঁছালো ততখনাতেই হাজারো দশক মাঠ ছেড়ে গুলিস্তান-পল্টন এসে জমায়েত হলেন এবং
বিক্ষোব শুরু করলেন,আর সেই বিক্ষবই ছিল বাঙালিদের জন্য একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার রক্তক্ষয়ী স্বাধীন বাংলার পক্ষে রূপনিয়ে
ছিল।

একইদিনে মতিঝিল দিলকুশা রোদে পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামীলিগের সংসদীয় দলের নেতাকর্মীদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
তাই সেখানে উপস্থিত থাকা ক্ষুদ্ধ ছাত্র,জনতার প্রথম শ্লোগান দেন,বীর বাঙালি অস্র ধরো,বাংলাদেশ স্বাধীন করো।ছাত্রদের পক্ষ
হতে বঙ্গবন্ধুর কাছে কর্মসূচি ঘোষনার দাবী জানানো হয়।বিক্ষোভ শ্লোগাণ উত্তাল ঢাকা সহ সারা দেশ ।আর কোন আলোচনা নয়,
এবার শুধু হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিরোধের পালা।

আর এরকম উত্তাল উত্তেজিত পরিস্থিতে বঙ্গবন্ধু ২রা মার্চ এবং তরা মার্চ সর্ব পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেন।১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত দীর্ঘ ১৮ মিনিট স্থায়ী এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। আর সেই ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের(বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালিদেরকে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

শত্রু মোকাবেলা করার দৃপ্ত আহ্বাণ সেই ঐতিহাসিক উত্তাল ভাষনই সারা দেশের বাঙালিদের ঐক্যের মূল চাবি ছিল।দেশের কৃষক দিন মজুর,শ্রমিক,কামলা খেটে খাওয়া সর্বশ্রেণীর মানুষদের এক করেছিল,স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে।বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যখন দেশের
সর্বস্তরের লোকেরা এক হলেন,ঠিক তখনই শুরু হল ততকালিন পাকিস্তানি হানাদারদের কূটকৌশলীয় নানান ষড়যন্ত্র ।আর সব কিছুকে
ছুড়ে দিয়ে বাঙালি গড়ে তুলেন স্বাধিন বাংলার স্বাধিনতা সংগ্রামী পরিষোদ। এভাবে নানান টালবাহানার মধ্যে চলতে চলতে এসে
হাজির হয় ২৫শে মার্চ ।ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং মুজিবসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক এবং জনসাধারণের অসন্তোষ দমনে ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে। সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হলে মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পুরোপুরি ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । আর তখনই বাঙালি জণগোষ্ঠি যার হাতে যা ছিল তা নিয়েই প্রস্তুত হন শত্রু মোকাবেলা করার
জন্য।শরু হয় রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম,যা দীর্ঘ নয়মাস চলার পর বাঙালি জাতিকে এনে দেয় একটা স্বাধীন বাংলাদেশ একটা
স্বাধীন রাষ্ট্র।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×