যারা আল্লাহর অবাধ্য হবেন সে সকল মানুষ পরকালে দোযখ ভোগ করবেন। আর যারা আল্লাহর আনুগত্য পথে থাকবে আল্লাহ তাদের চির সুখ-শান্তির নিকেতন জান্নাত দিয়ে ভূষিত বা দান করবেন। এটা একটা মৌলিক এবং শাশ্বত কথা।অনেক কারণে কবরের আজাব হওয়ার কথা হাদিসে পাওয়া যায়।যেমন এক হাদিসে দুইটি কারণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সাঃ) একদিন কোথাও যাওয়ার সময় পথে তার সঙ্গীদের দুইটি কবর দেখিয়ে বলেন, এই দুটি কবরে আজাব হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন এদের একজন পেশাব করে পবিত্র থাকত না এবং অপরজন চোগলখোরি অর্থাৎ কুটনামি করে বেড়াত। তারপর তিনি একটি খেজুরের ডাল ভেঙে দুই টুকরো করলেন এবং কবর দুইটির ওপর টুকরা দুইটি পুঁতে দিলেন। (বুখারি শরিফ)
হাদিসে রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন যে দুইটি কারণে তাদের আজাব দেওয়া হচ্ছে তা থেকে মুক্ত থাকা তাদের জন্য কোনো কঠিন কিছু ছিল না। অন্যদিকে এই দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আল্লাহর কাছে গুরুতর অন্যায়। বিষয়টি খুব হালকা নজরে দেখার সুযোগ নেই।
বস্তুত পবিত্রতা ঈমানের অংশ। মুমিনের জীবন সবসময়ই পবিত্র এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ও এই ক্ষেত্রে মুমিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।আর এটা খুব একটা কঠিন কাজও নয়। পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে উদাসীনতা একদম অনুচিত। তাতে অবহেলার পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর এবং কষ্টদায়ক, উপরোক্ত হাদিস থেকেই বোঝা যায়। তাই পবিত্রতার ব্যাপারে অবহেলা করা কোনোভাবেই উচিত নয়।সুতরাং কুটনামি অথবা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা অত্যন্ত ঘৃণিত এবং গোনাহের কাজ। আর এসকল কাজের জন্য সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।আরেক হাদিসে পাওয়া যায় চোগলখোররা জান্নাতে যেতে পারবে না।তাই আল্লাহুর কাছে প্রাথনা রইল আমরা যেন এরকম ঘৃণিত ও দূষিত কাজ
থেকে বিরত থাকি। হে মহান আল্লাহুতাআলা হে দয়া করুণাময় আল্লাহু আপনি আমাদের কবরের এরকম ভয়ংকর আজাব থেকে রক্ষা করুন।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৯