পাঞ্জাবি পরা পাতলা ফ্রেমের উশখো-খুশকো চশমা পরা ছেলেগুলো প্রায়ই ভাড়াটে কবি হয়ে যায়। তার কবিতা ভাড়ায় খাটে। রাতের স্বপ্নগুলো কাগজের পাতায় লেখা হওয়ার খুব চেস্টা করে, কিন্তু সাজানো গুছানো কিছু হয়ে উঠে না। নানা চাপে তাপে জর্জরিত ছেলেগুলো চায় মনের মাধুরি মিশিয়ে একটা লাইন লিখবে, কিন্তু তার মনের মাধুরি পাঠকের লেভেলে না থাকলে , "সেই মাল কেউ খায়না"। আর প্রকাশকদের একটাই কথা, "মাল এমন হতে হবে যা খেয়ে সব টাল হয়ে যায়"। মনে মনে ছেলেটা গালি দেয়, তুই একটা বা* । কিন্তু মুখে শুকনো হাসিটা ধরে রাখে, সামনের মাসে ভালবাসার বার্থডে। টাকাটা খুব দরকার। শুকনো মুখে ছেলে গুলো এডভান্স কিছু টাকা চায়। কিন্তু পায়না। যদিও বা পায়, সেই টাকার সংখ্যাটা শুনলে রিকশাওয়ালাও করুনা করবে। তবুও পাতলা ফ্রেমের চশ্মার লেন্সের ভিতর দিয়ে ছেলেগুলো আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখে। বাড়ি গাড়ীর স্বপ্ন দেখে। সন্তানসন্তদির স্বপ্ন দেখে। নিতির স্বপ্ন দেখে, মানবিকতার স্বপ্ন দ্যাখে। কিন্তু প্রতিবার চাকরির ইন্টারভিউতে বড় স্যারের সুয়ের নিচে নোংরা তেলাপোকার মতো চাপা পড়ে। ৪-৫ বছর পর ছেলেগুলোকে দেখা যায় কোন এক ছোট্ট অফিসের ছোট্ট কিউবিকলে বসে বসে কাজের ফাকে ছেলেটা কবিতা লিখছে। নিতির কবিতা, মানবতার কবিতা, কিন্তু সেই কবিতায় তারা উপযুক্ত শব্দ খুজে পায়না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৮