পিংক কালারের প্রতি আমার খুব এট্রাক্সন আছে।ফ্লারট মারি না।মারতে ইচ্ছা হয় না।কিন্তু পিংক কালারের যেকোনো ধরনের পোশাকে পুচকি থেকে বুড়ো মহিলা যে কাউকে দেখলে ফ্লারট মারতে ইচ্ছা হয়।এই রংএর প্রতি এতো আসক্তির কারণেই ঘরের দেওয়ালের রংও পিংক করিয়েছি।গতকাল রাতে শুয়ে শুয়ে পাশের বাসার রাজাকার আঙ্কেলের রাজার হালে মরার কথা ভাবছিলাম।মশার উতপাত থেকে বাঁচার জন্য কয়েল জ্বালাতে পারতাম।কিন্তু কয়েলের গন্ধ একদম সহ্য হয় না।তাই ফ্যান ও ছাড়লাম,কাথাও গায়ে জড়ালাম।কারণ শীতেরর আমেজ চলে এসেছে।হ্যাডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে পাশ ফিরলাম।ফিরেই দেখলাম আমার এট্রাক্সনে একটা মশা বসে আছে।মানে পিংক দেওয়ালে একটা মশা বসে আছে।এখন মশাটাকে তাড়ানোই প্রথম কাজ।এট্রাক্সনে মশা।এতো যেনো-তেনো কথা না।চিন্তা করলাম একটা ফুঁ দিয়ে দেখি।উড়ে যায় কিনা! শুনেছি হুজুররা নাকি ফুঁ দিয়ে কঠিন অসুখ সারিয়ে তুলতে পারেন।আর আমি সামান্য একটা মশা তাড়াতে পারবো না!যেই ভেবে খুঁজে পেলাম প্রেরণা,সাথে সাথেই দিলাম জোরে এক ফুঁ।কিন্তু কাজ হলো না একবিন্দু। টলাতে পারলাম না এক ইঞ্চিও বদমাশটাকে।লাইটের আলোতে স্পষ্ট বুঝতে পাচ্ছি মশাটি যে রক্ত শুষেছে তা স্পষ্টতই তার শরীরের তুলনায় ঢের বেশি।এখন যদি মশাটাকে মেরে ফেলি।তাহলে আমার হাত নোংড়া হবে।হাত ধুয়ে ফেললে নোংড়া দূর হবে।কিন্তু দেওয়াল?সাধের রং করা দেওয়ালও তো নোংড়া হয়ে যাবে।হয়তো ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে।কিন্তু যায়গাটা ঠিক আগের মতো সুন্দর দেখাবে না।দেখাবে? না।তাই মশা মেরে হাত ও দেওয়াল দুইই আর নোংড়া করলাম না।কারণ আমি জানতাম যে মশা জীবনে একবার রক্ত পান করে।আর রক্ত পান করেই মৃত্যুর প্রহর গুণতে আরম্ভ করে।অর্থাৎ রক্ত পান মানেই মশার মৃত্যু।অতএব এক পা কবরে চলে যাওয়া মশার জন্য নতুন করে কবর খোঁড়ার কোনো মানেই খুঁজে পেলাম না।
নিছক এক গল্প।
গল্পের,
পিংক দেওয়াল = বাংলাদেশ।
মশা=রাজাকার।
আমি=আম জনতার প্রতিনিধি।