১৪ মার্চ’ ২০১৩
আনুমানিক ভোর ছয়টা, সাড়ে ছয়টা ।
বাহিরে কিচির মিচির শোনা যাচ্ছে, আরও দূ-রে ডাকছে কাক ।
ভোর বেলা কা-কা বলে কী বলতে চায় কাক?
***
আচ্ছা সিনেমা নিয়ে কথা হলে, যুদ্ধের কোন সিনেমার কথা বলবো?
উত্তরটা যেন তৈরি-ই ছিল-``Incendies``
আমি মানুষটা কেমন?
মুখে আলতো হাসি ,আয়নার কাছে দাঁড়ালে হয়তঃ তা দেখতে পেতাম।
আপনি বিশ্বাস করুণ আর না করুণ - এ জীবনে এমন এক জনের সাথে পরিচিত হতে পারিনি,
যে আমার চেয়েও খারাপ মানুষ!
তাতে কী দাঁড়াল - অন্যদের কথা বলতে পারব না-আমার নিজের ভেতরে যে পরিমান
ঘৃণা-হিংসা- বিদ্বেস আর প্রতিশোধ স্প্রিহা লুকিয়ে রাখি তাতে নিজেকে ভাল মানুষ তো
দূরের কথা, ¯্রফে একটা পশু ছাড়া কিছু মনে হয় না এবং ভেতরে ভেতরে
প্রাণান্ত চেষ্টা করি যাতে বাহিরে তার স্বরুপটা ধরা না পরে।
বলতে পারেন, যুদ্ধের সিনেমা থেকে এই কথায় কেন এলাম?
পশুটাকে দমাতে নিজের সাথে নিজেকে যে পরিমান যুদ্ধ করতে হয় , আর যখন অনেক
গুলো মানুষ, বা পুরো একটা জাতির ভেতরের পশুটা জেগে ওঠে, তখন কী হতে পারে
তাই দেখায় এই সিনেমায় ।
তাই একজন-দুজন ত্বকী মারা গেলে কী হয়? এ দেশে কি মানুষের অভাব?
বড় কোনো দূর্ঘটনায় দেশের অন্ততঃ অর্ধেক মানুষ মরে যেত-যাতে কাফনের কাপড়ের অভাব হয়-
তাতে যদি বাকিরা ভালো থাকতো।
কিন্তু আমার চাওয়াটা তো অনেকটা সেই রকমের:
সাধারণ এক মায়ের কাছে এসেছেন দোয়া চাইতে ,
ক্ষমতা-প্রতাপ-টাকা-পয়সা,তুমুল (!!!) জনপ্রিয় নেতা।ইলেকশনে দাঁিড়য়েছেন ...
মানুষের কাছে যেতে তার খুব কষ্ট হয়-
বোমা হামলার কিছু স্লিন্টার পায়ে লেগে আছে!
তিনি প্রার্থনা করেন, সবাই যেন তার কাছে এসে মনপ্রাণ ভরে দোয়া করে যায়।
আর এর জন্য জনসভা করার ব্যবস্থা তিনি করবেন,তাতে হয়তো সামান্য কিছু টাকা-পয়সা খরচ হবে।
টাকা তো নিজের কাছে রাখার জিনিস না,যখন জনগনের সেবা করার জন্য মাঠে নেমেছেন।
মা কী বললেন সেই নেতাকে?
তুমি সত্যি সত্যি দোয়া চাইতে এসেছো?
নেতা পারলে দু-পা জড়িয়ে ধরেন,আপনার মতো সব মা দোয়া করলেই আবারও আপনাদের সেবা করতে পারব।
মা একটু ভাবলেন, তারপর বললেন,
মা ডাকলে, তুমি আমার সন্তানের থেকে হয়ত বড়ই হবা।
তাহলে একটু সময় নিয়ে আমার কথা শুনবে?
হ্যাঁ, হ্যাঁ, কী বলেন আপনি , অবশ্যই শুনব।
তারপর কী বলেছিলেন, সেই মা?
... ... ...
অনেক বেলা হয়ে গেছে অফিসে যেতে হবে, আজ আর না...
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




