somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পথিকরাজপুত্র
আমি মনোযোগী পাঠক। পড়তে ভালবাসি। পড়ে কোথাও কিছু একটা অসঙ্গতি আছে মনে হলে সেটা আলোচনা করি। ভাল লাগলেও আলোচনা করি, খারাপ লাগলেও আলোচনা করি। কেননা আমি বিশ্বাস করি, পাঠকই লেখক তৈরী করে।

স্যার, আপনার অবিশ্বাসের ভ্রান্তিসমূহঃ মুখবন্ধ

২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পথিক রাজপুত্র
--------------------------------------------------------------------------------------
(পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমার অবিশ্বাস/হুমায়ুন আজাদ)

বিশ্বাসের ব্যাপকতা কতটা আমার জানা নেই, তবে অবিশ্বাসের সীমাবদ্ধতা এবং ফ্যাক্টগুলো আমার চোখের সামনেই জ্বলজ্বল করতে থাকে। বিশ্বাসে পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে না অবিশ্বাসে পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে সে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। তবু বিতর্ক চলে। কেউ শোনে, কেউ বলে, কেউ করে আস্ফালন, কেউ কেবল নিজেকেই বুদ্ধিমান বিবেচনায় খুশি.... তবে যুক্তির চেয়ে আবেগ ছাপিয়ে ওঠে সবখানে। সমস্যা কেবলমাত্র এই জায়গাতে। আপনি যখন অবিশ্বাস নিয়ে বক্তব্য রাখছেন তখন নিজের মতকেই বিশ্বাস করছেন, আর চোরা আবেগ কখন আপনার বক্তব্যে মিশে আপনাকেও এক বিশ্বাসের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে তা টের পাচ্ছেন না। মূলকথা, আপনিও বিশ্বাস করেন। হ্যাঁ, ছাঁচাছোলা যুক্তি বলে আপনি কোনো না কোনো ঘটনা, না দেখে কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বাস করেন। আর সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস করেন পড়ে-জেনে।

কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে যায় না বিষয়টা? অবিশ্বাসি কেউ, যিনি এই মুহূর্তে আমার মহৎ আলোচনার (!) ভূমিকাটুকু পড়ছেন, তিনি ঠোঁটের কোণে বাঁকা হেসে নিশ্চয় আমাকে উজবুক ঠাওরে ভাবছেন- পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি। আমি কোনদিনই প্রমাণ ছাড়া কিছু বিশ্বাস করি নাই। যুক্তি-জ্ঞান-প্রজ্ঞা আর বিজ্ঞানসম্মত কোন তথ্য ছাড়া কিছু একটা বিশ্বাস করে বসে বোকা/অন্ধ/লোভী/কপট/ভীতুরা। আমি বোদ্ধা লোক, আমি প্রমাণ ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি ইন্দ্রিয়সমূহে। যা ছোঁয়া যায়, ধরা যায়, বোঝা যায় তা-ই আমি বিশ্বাস করি, এর বাইরে কিছু না।

এ বিষয়ে উদাহরণস্বরূপ একজন অবিশ্বাসীর সাথে আমার কথোপকথন উল্লেখ করা যাক-

[লেখক: আপনি তাহলে অবিশ্বাসি?
অবিশ্বাসি: আজ বিজ্ঞান এতদূর এগিয়েছে যে, বিশ্বাসি হওয়ার কোন কারণ আমার নেই।
লেখক: ঠিক কোন কারণে আপনি অবিশ্বাসি।
অবিশ্বাসি: আপনি এমন নাছোড়বান্দা হয়ে জানতে চাইছেন কেন?
লেখক: আমি এই বিষয়ে রিসার্চ করছি। প্লিজ বলুন, কেন অবিশ্বাসি আপনি?
অবিশ্বাসি: স্রষ্ষ্টার অস্তিত্বের কোন প্রমাণ মানুষের কাছে নেই। সত্যি বলতে মানুষের বিশ্বাস ছাড়া স্রষ্টার অস্তিত্ব কোথাও নেই। স্রষ্টা সৃষ্টি করেছে মানুষ; তার লোভ, লালসা পূরণ আর ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে। কোথাও স্রষ্টাকে চোখে দেখা যায়? আজকের চরম বিশৃঙ্খলার যুগে স্রষ্টার উপস্থিতি নিশ্চয়ই দেখা যেত, যদি স্রষ্টা বলে কিছু থাকতো।
লেখক: চোখে দেখা যায় না বলে বিশ্বাস করা যাবে না?
অবিশ্বাসি: বোকারাই বিশ্বাস করে । আর কোন প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাসের মানেটা কী?
লেখক: আচ্ছা আপনার পরিবার, মানে মা-বাবা বিষয়টা কেমন চোখে দেখে, এই যে আপনার অবিশ্বাস? নাকি তারাও.....
অবিশ্বাসি: নাহ, তারা বিশ্বাসি। কিন্তু তারা আমার মতো এত পড়াশুনা করেনি। তাই আমি অবিশ্বাসি জেনেও ঘাটায় না। আমিও শান্তিভঙ্গ করি না।
লেখক: আচ্ছা, আপনার বাবা কি আপনাকে ভালবাসেন না? কখনো তিনি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেননি নিজের মত করে?
অবিশ্বাসি: করেনি আবার! হাতে-পায়ে ধরতে বাকি রেখেছে কেবল।
লেখক: আপনি কি নিশ্চিত তিনিই আপনার জন্মদাতা?
অবিশ্বাসি: হোয়াট?
লেখক: দুঃখিত। বিষয়টা অন্যভাবে নেবেন না। কিন্তু আপনি বলেছেন আপনি প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করেন না কিছুই। তিনি যে আপনার পিতা এ ব্যাপারে কি আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে? যদি না থাকে তাহলে তো ব্যাপারটা লজিক্যাল হয় না। প্রমাণ ছাড়া আপনার কথার ভিত্তি কি?
অবিশ্বাসি: আমার মা-বাবার বিয়ের ছবি ড্রয়িংরুমে ঝোলানো আছে। এছাড়াও ফ্যামেলি এলবামে, আমার ছোট বেলার ছবি আছে। আত্মীয়-স্বজনরা একত্র হলে প্রায়শই গল্প করে, আমি জন্মাবার আগে বাবা সংসারি ছিল না। কেননা আমার আগে তাদের দুজন মৃত সন্তান জন্ম নেয়। আমার জন্মের পরই কেবল সংসারে মনোযোগ দেন তিনি.....
লেখক: এসবের কিছুই প্রমাণ করে না, যার কথা বলছেন তিনিই আপনার বায়োলজিক্যাল পিতা। এমনকি আপনাদের চেহারায় মিলের কথা বলতেন তবুও প্রমাণ হত না তিনিই আপনার জন্মদাতা।
অবিশ্বাসি: আপনি কি বলতে চান? ব্যক্তিগত আঘাত কেন করছেন?
লেখক: আমি যৌক্তিক সমাধানে আসতে চাইছি। আঘাত দেয়া উদ্দেশ্য নয়।
অবিশ্বাসি: তাহলে কি উদ্দেশ্য আপনার?
লেখক: এটাই প্রমাণ করা যে, আপনার মধ্যেও কিছু পরিমাণে বিশ্বাস আছে, যার জন্যে আপনি বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়াই বিশ্বাসের ওপর ভর করে সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছেন।
অবিশ্বাসি: কী বিশ্বাস দেখলেন আমার মধ্যে?
লেখক: কোন রকম বিজ্ঞানসম্মত তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আপনি আপনার বাবাকে জন্মদাতা বাবা বলছেন। এটা হয়তো আপনার মা আপনাকে বলেছে, চারপাশের মানুষেরা বলেছে। ছোট বেলা থেকে হয়তো দেখেছেন মানুষটা, বাইরে থেকে ঘরে ঢুকলেই আপনাকে আদর করছে, কখনো স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে, কখনো বেড়াতে নিচ্ছে। এটা-ওটা কিনে দিয়ে আপনার আবদার মেটাচ্ছে..... এসবের কিছুই যোৗক্তিকভাবে প্রমাণ করে না, তিনিই আপনার জন্মদাতা পিতা। অথচ কোন রকম চ্যালেঞ্জ না করেই আপনি এটা মেনে নিয়েছেন। বিশ্বাসও করছেন। যদিও আপনি ভালো করেই জানেন এটা কেবলই বিশ্বাস। তাই না?
অবিশ্বাসি: আপনি যত সহজে ব্যাখ্যা করছেন বিষয়টা তত সহজ নয়। আর সব বিশ্বাসের প্রকার আলাদা। এসব বিস্তারিত আলোচনার বিষয়। আর আমি আপনার কাছে কোন বিশ্বাসের প্রমাণ দিতে বাধ্য নই। বলেন, বাধ্য? নাকি গায়ের জোর খাটাবেন? আপনাদের রূপই এটা। মানুষকে আঘাত করা, মানুষের আবেগ নিয়ে কথা বলা, বিশ্বাসের নামে তো আপনারা আজকাল জবাই করে দিচ্ছেন, চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছেন, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছেন। কি মূল্য আপনাদের এইসব বিশ্বাসের? কতটা নৈতিক ভিত্তি আছে এই বিশ্বাসের? যে বিশ্বাস মানুষকে সভ্য করে তুলতে পারে না। সভ্য হতে হলেও বা কতটা প্রয়োজন আপনাদের এই বিশ্বাস বা ধর্মের?]

কথোপকথনটি ধরা যাক এখানেই শেষ। উপরোক্ত কথোপকথনের ভিত্তিতে দয়া করে কেউ নিজের মা-বাবাকে সন্দেহ করে বসবেন না। এটিকে কাল্পনিক কথোপকথন ধরে নিন। এই কথোপকথনের একমাত্র উদ্দেশ্য, এটা বোঝানো, অবিশ্বাসিরা কিছু সুবিধামত বিশ্বাসে স্থির থেকে সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস করছেন। বিশেষ করে সেইসব বিশ্বাসে স্থির থেকে তারা অবিশ্বাসে স্থির থাকছেন, যে বিশ্বাসগুলো না করলে তাদের জীবন-যাপনই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। এরকম অসংখ্য উদাহরণ নিয়ে পরবর্তীতে একটি অধ্যায়ে বিশদ আলোচনা থাকবে।

এবার আসা যাক আসল কথায়, কেন আমি বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে এত বকছি। এ বিষয় নিয়ে প্রথম আমার আলোচনা করার ইচ্ছে জন্মায়- বাট্রান্ড রাসেলের হোয়াই আই অ্যাম নট আ ক্রিশ্চিয়ান পড়ে। এরপর তসলিমা নাসরিন, হুমায়ুন আজাদ প্রমুখের লেখা পড়ে ইচ্ছেটা জোরদার হয়। তবে আলোচনা করার উপযুক্ত রচনাটি না পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি আমি। বেশ কিছুদিন আগে হুমায়ুন আজাদ স্যারের ‘আমার অবিশ্বাস’ পড়ে মনে হয়েছে, এটিই সেই বই, যা ধরে এগোনো যায়। বিভ্রান্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়। আমার চেষ্টা থাকবে যৌক্তিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যাওয়ার। কোনভাবেই এই বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য আঘাত করা নয়। বরং বিভ্রান্তিগুলো পাঠকের সামনে মেলে ধরা। কেননা তীব্র অবিশ্বাসি হয়ে তরুণেরা একজন হুমায়ুন আজাদকে যখন পীরের মত বিশ্বাস করে বসছেন তখন, কারো না কারো দায়িত্ব হয়ে পড়ে বিভ্রান্তিসমূহের খোলামেলা আলোচনার। অতটা হয়তো আমার দ্বারা সম্ভব হবে না, তবে অবিশ্বাসের মজবুত হাঁড়ে চিড় ধরানোর কাজটি বোধহয় করতে পারব। এর আগে ‘আমার অবিশ্বাস’ বইটি নিয়ে কেউ এ কাজ করার চেষ্টা করেছে কিনা আমার জানা নেই। সেরকম কোন রচনা থেকে থাকলে অবশ্যই আমি পড়তে আগ্রহী।

হুমায়ুন আজাদ, নিদারুণ বিশ্লেষক ছিলেন। তার ভাষাগত দক্ষতা রীতিমত ইর্ষণীয়। দেশের খ্যাতনামা একজন বুদ্ধিজীবি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।- এসবই তাঁর গুণ। লেখার ক্ষমতাটা তার সবচেয়ে বড় গুণ। কিন্তু তিনি নিজে যা বিশ্বাস করতেন, নিজের যুক্তিতে যা ধ্রুব মানতেন তার ভিত্তি কতটা শক্ত? এটা ঠিক তার লেখনীর সুতীব্র সম্মোহনি শক্তি ছিল। যা অগণিত তরুণকে পথ দেখিয়েছে। অনেকেই তার দেখানো পথে হেঁটেছে শুধুই তার লেখা পড়ে। সে পথ কতটা ঠিক? হুমায়ুন আজাদ মানুষ হয়ে যুক্তির হিসেবে ভুল করতে পারেন। মানুষ ভুল করতে পারে। এটা সর্বস্বীকৃত বক্তব্য। এই সর্বস্বীকৃত বক্তব্যের ভিত্তি সম্পর্কে জানতে গিয়ে আমাকে জানতে হয়েছে কগনিটিভ বায়াস (Cognitive Bias) কি, এর শাখাগুলো কি এবং আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের কতভাবে ধোঁকা দেয়। আলোচনায় কগনিটিভ বায়াস বারবার আসলেও এর একঘেঁয়ে এবং বিরক্তিকর আলোচনায় আমি যাব না, এসব বিষয়ে পাঠক সহজেই গুগল থেকে জেনে নিতে পারবেন।

আমি হুমায়ুন আজাদের লেখায় যে দ্বন্দ্বগুলো দেখেছি সেগুলো হল- কনফার্মেশন বায়াস (Confirmation Bias), হেইলো ইফেক্ট (Halo Effect), হিন্ডসাইট বায়াস (Hindsight Bias), অ্যাট্রিবিউশনাল বা অ্যাটেনশনাল বায়াস (Attributional/Attentional Bias) এবং ফলস্ কনসেনসাস ইফেক্ট (False-Consensus Effect)। যে দ্বন্দ্বগুলো নিজের অজান্তেই মানুষকে দিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়ায়। যার বেশিরভাগই ভুল এবং ভুল ব্যাখ্যায় সৃষ্ট। কগনিটিভ বায়াস নিয়ে পাতার পর পাতা আলোচনা করা যাবে। তবে মজার ব্যাপার, কগনিটিভ বায়াসের যে শাখা-প্রশাখা আছে তার কোনো না কোনো একটাতে আপনি নিজেকে ব্যাখ্যা করার উপাদান পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে যদি আপনি নিজেকে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী এবং যৌক্তিক ভেবে থাকেন। আপনি কেন অমনটা ভাবছেন তার উত্তর সহজেই কগনিটিভ বায়াস পাঠে পাবেন।

জ্ঞানের দ্বন্দ্ব চিরকাল মানুষকে তার্কিক করে তোলে। আর সীমিত সংখ্যক বিষয় নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। যদি কেউ খেয়াল করে দেখে, তাহলে অবিশ্বাসের তর্কে খুব কমই বৈচিত্র্য পাবে। সবসময়ই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে তর্ক চলছে। খুব দ্রুত ট্র্যাক বদলে ফেলা হচ্ছে। চিন্তাকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে (উদাহরণস্বরূপ উপরের কথোপকথনটি ভালো করে দেখে নিতে পারেন)। আর এটাকে আপনি বলতে পারেন, ব্লেম গেইম। আপনি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, দোষারোপ করে যাবেন, যা একদম সত্যি এবং যা অস্বীকার করা যাবে না। ধর্মের নামে মানুষ খুন আর মানুষের ওপর অত্যাচার চলছে এটা কিন্তু মিথ্যে নয়। এটা অস্বীকার করার উপায়ও নেই।

এভাবে যুক্তি ও তর্কের কিছু নির্দিষ্ট কৌশল-দক্ষতা যদি কেউ অনুসরণ করতে পারে তবে সহজেই সে এসব তর্কে স্পষ্ট সত্যকে বাতিল বা ব্যর্থ প্রমাণ করে দিতে পারবে এবং যা অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক তা ধ্রুব প্রমাণ করতে পারবে। তবে এটা ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত না এমন কেউ এসে সামনে দাঁড়ায়, যে অনমনীয় এবং নাছোড়বান্দা এবং যে জানে অন্তত আপনার চেয়ে বেশি। এজন্যেই বেশিরভাগ সময়ই, অবিশ্বাসে বাঁচেন যারা, তারা অধিকতর চটপটে লোকদের এড়িয়ে চলেন। এরা চার্লস ডারউইন, কার্লমার্কস, বাট্রান্ড রাসেল, রিচার্ড ডকিনস্ খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েন এবং আত্মস্থ করেন। আর কৌশলে/অবজ্ঞায় এড়িয়ে যান ডেভিড বারলিনস্কি, ফ্রান্সিস এস কলিন্স, অ্যান্থনি ফ্লিউ এবং ড. জাকির নায়েক প্রমুখকে।

তর্ক-বিতর্ক মানসিক বিকাশের জন্যে উত্তম। তবে তর্কে যদি অহমবোধ ঢুকে পড়ে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা যে কোন উপায়ে যদি নিজের মতকেই প্রতিষ্ঠিত করার মানসিকতা তৈরী হয়, বা তর্ক স্রেফ আঘাত করার উদ্দেশ্যেই হয় তা নিশ্চিতভাবেই কুতর্ক। এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই উত্তম। তর্ক বা বিতর্ক হবে যৌক্তিক, আবেগী নয়। তর্কে আবেগ ঢেলে আপনি হয়তো বাহবা কুড়াতে পারেন তবে আবেগ কোন কাজের বস্তু নয়। তাই আপনার অবিশ্বাসের ভ্রান্তিসমূহ- সংক্রান্ত আলোচনায় আমরা আবেগ সরিয়ে রেখে এগোবো। সবাইকে শুভেচ্ছা এবং আমন্ত্রণ........

চলবে......
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×