somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় মামা ও একটি সুখি পরিবার-২

২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন আলিফ কথায় কথায় আমার প্রিয় বড় মামার কথা বলছিল। আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম আমার বড় মামার গল্প।

চার বছরের আলিফরা সবাই তখন নানু বাড়িতে। নানু বাড়ি মানেই প্রিয় বড় মামা। প্রিয় ভাগ্নে ভাগ্নির দলকে ছাড়া তিনি একদন্ড থাকতে পারেন না। অফিসে গেলেও প্রিয় দস্যু বাহিনীর চিন্তা।

আরিশের বয়স তখন দশ। আলিফ, আরিশের আম্মু নিশি আন্টি, সেঝো খালা সবাই বাইরে গিয়েছেন। বাসায় শুধু মেঝো খালা। মাথায় কি বুদ্ধি খেলল ! আরিশ তখন মেঝো খালার উচু বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়ল। চার বছরের আলিফ মশাই ভাইয়াকে দেখেও চুপ করে বসে আছে। আলিফের আম্মু নিশি আন্টি এসে আরিশের খোজ নিতেই জানতে পারলেন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মেঝো খালা ভয়ংকর চিন্তায় পড়ে গেলেন। বিকেলে বড় মামা আসবেন...!! কি যে ভয়াবহ অবস্থা হবে তখন...!!

বড় মামা এসেই এক গ্লাস লেবু শরবত খেয়ে থাকেন। এর মধ্যেই সব ভাগনা, ভাগ্নে তাঁর কাছে চলে আসা চাই। এরপর তাদের নিয়ে মামার গপ্পো-আড্ডা-টিভি দেখা- হই হুল্লোড়!! বাসার বাচ্চারা তাই বড় মামা আসার আগে সব পড়া শোনা শেষ করে ফেলে। এবং তাদের রেজাল্টও মাশ-আল্লাহ সুপার ব্রিলিয়ান্ট!

বিকেলে যখন বড় মামা এলেন, রানু আপা চুপচাপ মামার কাছে এল। মামা বলে উঠলেন; "কই আমার বাকি আব্বু-আম্মুরা সবাও কই?"

সবাই যথারীতি ভয়ে ভয়ে আসল। মামা আরিশের খোজ করতেই মেঝো খালা বললেন হয়তো আশে-পাশে পাড়া প্রতিবেশীর বাড়িতে গেছে। কিন্তু অড় মামাকে বোঝায় কে...!! মামা চিৎকার দিয়ে উঠলেন। নানু বললেন; "জালাল তুই বেশি করিস। আমরা সবাই খুজে দেখি।"
বড় মামা; "তোমরা যা শুরু করেছো...!! আমার ভাইগ্না-ভাগ্নিদের দিকে একফোটাও খেয়াল নেই। ওদের চিন্তায় আমি আর অফিসের যেতে পারব না। এখানেই বসে থাকতে হবে।"

যথারীতি সিকান্দার সাহেবও বাদ গেলেন না। সিকান্দার সাহেব আমলাতান্ত্রিক হাসি দিয়ে বড় মামাকে শান্ত করতে লাগলেন। এদিকে ভয়ে ভয়ে মেঝো খালা যেই নিজের রুমে আসলেন খাটের নিচ থেকে আরিশ মুখ বার করে বলল; "এই যে মেঝো খালা, আমি এখানে...!!"

আরিশকে দেখে স্বস্তিতে অথবা অতিরিক্ত টেনশনে মেঝো খালা মূর্ছা গেলেন। মেঝো খালাকে নিয়ে যখন ব্যস্ত সবাই আলিফ চুপিচুপি এসে আম্মুকে সুর করে বলল; "আম্মু ভাইয়া যে লুকিয়ে ছিল সেটা আমি জানতাম ...... হি হি হি হি" আলিফের কথা শুনে আম্মু ঠাস করে একটা চড় লাগিয়ে দিলেন তার গালে। চড়-থাপ্পড়ের এসব ছোট খাট দূর্ঘটনা যা হয়, সব গুলোই পড়বি তো পড় খোদ বড় মামার সামনে...!! বড় মামা আবার চিৎকার দিয়ে সোফাতেই মূর্ছা গেলেন।

কি আর করা...!! সিকান্দার সাহেব এবারও তার আমলাতান্ত্রিক মগজ খাটিয়ে পরিস্থিতি সামলে দিলেন। বড় ভাইয়ের মতন সম্বন্ধীকে বিছানায় নিয়ে এসে পাশে বসে রইলেন

প্রথম পর্ব Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৮
২৯টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×