আমার বড় ভাই ও দুর সম্পর্কের ভাই রাজউকে প্লটের আবেদন করার জন্য নিজ নিজ এ্যাকাউন্ট থেকে ২১০০ডলারের ডিমান্ড ড্রাফট দিয়ে যান জমা করার জন্য।
রাজউকের মান্ধাতার আমালের নিয়ম-কানুনের বেড়াজালে পড়ে প্লটের আবেদন আর করা হয়নি। উনারা এর মধ্যে আবার বিদেশে চলে গেছেন। ডিমান্ড ড্রাফট কি করবো জানতে চাইলে দুইজনে বললেন ব্যাংকে মজা দিতে।
দুর সম্পর্কের যে ভাই উনার এফসি এ্যাকাউন্ট ছিলো সোনালী ব্যাংকের ওয়েজ আর্নার শাখায়। জমা দিলাম কোন ঝামেলা ছাড়াই।
আমার বড় ভাইয়ের একাউন্ট স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। গেলাম ধানমন্ডি এসসিবিতে(ল্যাবএইডের পাশে)। যাওয়ার পর যে মেয়েটা টোকেন দেয় তাকে বললাম ড্রাফট ফেরত দিব। টোকেন দিল, বসে থাকলাম ১৫মিনিট মত। আমার সিরিয়াল আসলে কাউন্টারের ভদ্রলোক বললেন এটা এই কাউন্টারে হবে না। আপনি আবার টোকেন নেন রেমিটেন্স কাউন্টারের।
আমার টোকেন দেয় যে মেয়েটি তার কাছে ফেরত আসলাম। বললাম ঘটনা। সে আবার ফোনে কার সাথে যেন কথা বলে আর একটা টোকেন দিল। আবার অপেক্ষা। ৪৫ মিনিট বসার পর মেজাজ খিছড়ে গেল। সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে বললাম, ৪৫ মিনিট ধরে বসে আছি এখনও ডাকছেন না কেন ?
আমি ব্যাস্ত আছি, একজনের কাজ শেষ না করে তো পরের জনকে ডাকতে পারি না। আমি বললাম আমার একটা সিম্পল কাজ, এই ডিমান্ড ড্রাফট টা জমা রাখেন।
সে এবার ড্রাফট টা দেখে বললো এটা আমি জমা রাখতে পারবোনা। এটা গুলশান শাখা থেকে ইস্যু করা হয়েছে সেখানে যেতে হবে। মেজাজ আরো খিছড়ে গেল, চিল্লা ফাল্লা শুরু করলাম। ম্যানেজার বেরিয়ে আসলো। ক্ষমা টমা চাইলো। তারপর টোকেন দেওয়া মেয়েটিকে হালকা ছাড়ল। আমিও মনের সুখে গুলশানের উদ্যেশ্যে রওনা দিলাম।
এবার আর টোকেনের ধারে কাছে গেলাম না। সরাসরি রেমিটেন্স কাউন্টারে। ভদ্রলোক বলল তারা এটি আমার কাছ থেকে জমা রাখতে পারবে না। যার এ্যাকাউন্ট তার আসা লাগবে।
আবার ফেরত গেলাম। ভাইয়াকে জানালাম। উনি উনার পরিচিত এক ম্যানেজারের ফোন নম্বর দিলো আর এ্যাপলিকেশন লিখে স্ক্যান করে পাঠাল। আমি ম্যানেজার ভদ্র লোকের সাথে যোগাযোগ করে আবার গেলাম। এবার বলে এপ্লিকেশনের মুল কপি লাগবে। স্ক্যান করা কপি হলে হবে না।
আমি মুল কপি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। দেখি এরপর আরো কত ভালো সেবার নমুনা দেখতে হয়।