somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিউটোরিয়াল : কিভাবে আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি বানাবেন ? - ০৩

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পর্ব - ০২
পর্ব - ০৪

সৃজনশীলতার যাদুর সঙ্গে এবার মেশাই জ্ঞানের নেশা :
সৃজনশীলতার যাদুর জগৎ সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দেয়া গেছে। মগজের ঝড় তুলে আপনি সৃজনশীলতার জগৎ সম্পর্কে সামান্য ধারণা নিয়েছেন। এবার আসুন এই যাদুর সঙ্গে মেশাই জ্ঞানের নেশা। কেননা চলচ্চিত্র এই যাদু ও নেশার জগৎ।
কাগজে কলমে সিনেমার যে গল্পটি লেখা হয় সেটাকে বলে চিত্রনাট্য। আগে চিত্র পরে নাট্য। এতে চিত্রও আছে, নাট্য আছে। তাহলে চিত্র ও নাট্য উভয় সম্পর্কে জানতে হবে।
চিত্রনাট্য লিখতে হলে যা যা জানতে হবে --

বিষয়বস্তু :
যে বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি সিনেমা বানাবেন তার সম্পর্কে জানতে হবে। একজন সাংবাদিক যেভাবে একটা সংবাদ লেখার আগে ঘটনা সম্পর্কে জেনে নেয়, তেমন করে জেনে নিতে হবে। অথবা একজন গোয়েন্দা যে রকম গোপনে একটা বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়, সেভাবে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর ওই বিষয়ে সম্ভাব্য সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বইপত্র, পত্রিকা, সিনেমা, নাটক এবং ইন্টারনেট হতে পারে উৎস। মোট কথা বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান না থাকলে ভালো সিনেমার গল্প লেখা যায় না।
বিষয় বেছে নেয়ার সহজ কৌশল হল, নিজের বা পরিচিত জনের জীবন কাহিনী বেছে নেয়া। তার সঙ্গে নিজের কল্পনা ও সৃজনীশক্তি মিলিয়ে বানানো যায় চমৎকার গল্প।

অনুশীলনী :
০১) একটি ছোট নোট বুক ও কলম নিন।
০২) যে বিষয়ে লিখতে চান সে বিষয় সম্পর্কে কয়েক জনের সাক্ষাৎকার নেন। সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় যে ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইবেন, সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা, ধর্ম, জাতীয়তা, তার সঙ্গে পরিবার, সহকর্মী, সহপাঠী, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্ক খুজে বের করুন।
০৩) একই বিষয় নিয়ে রচিত উপন্যাস পড়ুন। পত্রিকায় এর সম্পর্কিত কোন খবর থাকলে পড়ুন। অন্যান্য বই পড়ুন। ম্যাগাজিন পড়ুন। ইন্টারনেট ঘাটুন। নাটক ও সিনেমা দেখুন।

মূলবক্তব্য বা প্রেমিজ :
মগজের ঝড় তুলতে গিয়ে আমরা মূলবক্তব্য নিয়ে কাজ করেছি। ফলে আমরা ইতিমধ্যে জানি প্রত্যেকটি গল্পেরই একটি মূল বক্তব্য থাকে। একই বিষয়ে গল্প লেখা হলেও মূলবক্তব্য ভিন্ন হয়।
যেমন : ০১) প্রেম একটি স্বর্গীয় বিষয়।
০২) প্রেম কেবল কাঁদায়।
এই দুটি মূল-বক্তব্যের বিষয় একই কিন্তু বক্তব্য ভিন্ন।
মগজের ঝড় তোলার কৌশল কাজে লাগিয়ে মূল বক্তব্য নির্ধারণ করা যায়।

প্লট বা বৃত্ত :
প্লট বা বৃত্ত হল কাহিনী। যে বিষয়ে সিনেমা বা নাটক বানাতে চান, সেই কাহিনীকে তত্ত্বীয় ভাষায় বলা হয় প্লট বা বৃত্ত। কাহিনীর মধ্যে ২ ধরনের কাহিনী থাকে। একটি হল মূল কাহিনী বা মেইন প্লট। যেই লোকটি কাহিনীর প্রধান চরিত্র, তার কাহিনীটিই হল মেইন প্লট বা প্রধান বৃত্ত। এর বাইরে অন্য কোন চরিত্রের কাহিনী যুক্ত থাকলে সেটাকে বলা হয় সাব-প্লট বা অপ্রধান বৃত্ত। সাব-প্লট বা অপ্রধান বৃত্ত মূলত মেইন প্লট বা প্রধান বৃত্তের কাহিনীকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
সিনেমার প্লট বা বৃত্ত তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচ্য :
০১) গল্পটি কি দরকার আছে ?
০২) এ গল্পটি কী বোঝায় ? উদ্দেশ্য কী ?
০৩) এ সিনেমাটি কি নতুন কোন কিছু বলে ?

অনুশীলনী :
০১) একটি এ-ফোর সাইজের কাগজ নেন।
০২) পুরো গল্পটি এক পাতায় লিখুন।
০৩) এ ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করবেন না। কেবল ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিখে যান।

দ্বন্দ্ব /সংঘাত :
সিনেমা বা নাটকের গল্পে ২টি প থাকে। সেটা হতে পারে নায়ক বনাম প্রতি-নায়ক, নায়ক বনাম প্রকৃতি, নায়ক বনাম রাষ্ট্র ইত্যাদি। আরেকটি দ্বন্দ্ব হল নিজের সঙ্গে নিজের দ্বন্দ্ব - যাকে বলা হয় আত্ম -দ্বন্দ্ব। একই সাথে গল্পের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে আত্ম-দ্বন্দ্ব ও বহির্মুখী দ্বন্দ্ব। ফলে গল্প হয়ে উঠবে আরও নাটকীয়।
দর্শক হিসেবে মানুষ সব সময় লড়াই বা প্রতিযোগিতা দেখতে পছন্দ করে। এ জন্যই প্রতিটি খেলাতেই ২টি পক্ষ থাকে। এক পক্ষ জেতে ও অপর পক্ষ হারে। এই হারজিত সিনেমার কাহিনীতেও থাকে। সাধারণ নায়ক জেতে ও প্রতি-নায়ক হারে। আবার কখন নায়ক হেরে যায়। কোনটা হবে সেটা নির্ধারণ করবেন আপনি।

অনুশীলনী :
০১) আপনার পরিচিত একজন মানুষকে বেছে নিন।
০২) খুঁজে বের করুন তার সঙ্গে কার সংঘাত আছে।
০৩) কেন সংঘাত ? কোন বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ?
০৪) আপনি কার প নেবেন ? কেন ?
০৫) আপনার চোখে এই দ্বন্দ্বে কে নায়ক ও কে প্রতি-নায়ক ?

সাসপেন্স /টেনশন / উৎকণ্ঠা :
তারপর কী হবে - এই সাধারণ চিন্তাটা আসে উৎকণ্ঠা থেকে। উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতে হয় গল্পের মধ্যে। কেননা, উৎকণ্ঠা দর্শককে পরবর্তী উৎকণ্ঠা দেখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে। উৎকণ্ঠা ছাড়া সিনেমা হবে ম্যাড়মেড়ে।
একশনে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা। চোর পালাচ্ছে, তার পিছু নিয়েছে পুলিশ। দর্শকের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হবে। চোরকে কি ধরতে পারবে পুলিশ ? সিনেমায় উৎকণ্ঠা সৃষ্টির জন্য দুটি দৃশ্যকে পাশাপাশি দেখানো হয়। যেমন : নায়িকা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ওদিকে নায়কের ভুল ভেঙ্গেছে। সে তাকে আনতে গেছে তার বাড়ি। বাড়ি থেকে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হয়েছে। নায়িকা টিকেট কাটছে। নায়ক গাড়িতে ছুটছে। নায়িকা ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছে ট্রেনের দিকে। নায়কের গাড়ি ট্রাফিক জ্যামে।
এই রকম পাশাপাশি দুটি স্থানের দৃশ্য দেখিয়ে সিনেমায় দর্শক মনে চরম উৎকণ্ঠা তৈরি করা যায়।
সংলাপে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা।
যেমন : নায়ক : আমি যাব।
নায়িকা : আমি যাব না।
ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল উৎকণ্ঠা। তারা কি আদৌ যেতে পারবে ?
এইভাবে একশন বা নাট্যক্রিয়া এবং সংলাপে উৎকণ্ঠা তৈরি করতে হবে।

অনুশীলনী :
০১) একটি গল্পের মধ্যে অনেকগুলো ঘটনা লিখতে শুরু করুন। ঘটনাগুলোর নাম্বার দিন।
০২) প্রতিটি ঘটনা লিখুন একটি বাক্যে।
০৩) এমনভাবে লিখুন যেন তারপর কী হবে সেটা জানতে কৌতুহল তৈরি হয়।
০৪) যতক্ষণ পর্যন্ত এই কৌতুহল বা উৎকণ্ঠা তৈরি না হবে ঘটনাগুলো সাজাতে থাকুন, নতুন ঘটনা যোগ করুন, পুরোনো ঘটনা বদলে ফেলুন।

চরিত্র :
কোন একজন মানুষের জীবনে কাহিনী নিয়ে হয় নাটক বা সিনেমা। যেই মানুষটির কাহিনী নিয়ে নাটক বা সিনেমা হয় সেই মানুষটি হল চরিত্র।
একটি মানুষের চরিত্র বুঝতে হলে তার ৩টি দিক বুঝতে হয়। তার ব্যক্তিগত দিক, পারিবারিক দিক ও সামাজিক দিক। চরিত্রের নাম, বয়স, পিতা-মাতা, বন্ধু বান্ধব সবাইকে দেখে চরিত্রটি সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
সিনেমার চরিত্র তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচ্য :
০১) চেহারা, ০২) পোশাক, ০৩) বয়স, ০৪) কার্যকলাপ ০৫) সংলাপ, ০৬) অন্য লোক তার সম্পর্কে যা বলে। ০৭) সে নিজের সম্পর্কে যা বলে। ০৮) রক্ত মাংসের মানুষ হতে হবে। ছাচে ঢালা চরিত্র বাদ দিতে হবে। ০৯) চিত্রনাট্যকারকে চরিত্রের ভেতর থেকে কথা বলতে হবে। ১০) চরিত্র চিত্রণের ক্ষেত্রে এমন কোন আচরণ থাকতে পারে - যা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত না হলেও চরিত্র চিত্রণের জন্য ব্যবহৃত হবে। ১১) চরিত্রের মধ্যে একটা ক্ষুধা থাকবে। একটা বিশেষ বাতিক থাকতে পারে।

অনুশীলনী :
০১) একটি পরিচিত মানুষকে বেছে নিন।
০২) নিন্মের ছক অনুসারে তার সম্পর্কে সব তথ্য লিখে ফেলুন। এটাকে বলা হয় ত্রৈমাত্রিক চরিত্রের অস্থি সংস্থান। এটি তৈরি করেছেন লাজোস এগরি।
চরিত্রের নাম :
(ক) শরীরতাত্ত্বিক মান
১. লিঙ্গ : , ২. বয়স : , ৩. উচ্চতা : , ৪. ওজন : , ৫. চুলের বর্ণ : , ৬. চুর বর্ণ : , ৭. চর্মের বর্ণ : , ৮. আঙ্গিক বৈশিষ্ট্য : ৯. আকৃতি : [ দৃষ্টিনন্দন : অতি ও কম ওজন : পরিচ্ছন্ন : পরিপাটি : খোসমেজাজী : মস্তিষ্ক-মুখ- বাহুর আকৃতি : অসমতা : ] , ১০. বিকৃতি : , ১১. বংশানুবৃত্তি :
(খ) সমাজতাত্ত্বিক মান
১. শ্রেণী : [ শাসকশ্রেণী : মধ্যবিত্ত : পাঁতিবুর্জোয়া : শ্রমজীবি : ], ২. বৃত্তি : [ কাজের প্রকৃতি : কাজের সময় : মাত্রা : আয় : কাজের শর্তাবলী : প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে : প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক : কাজের যোগ্যতা : ]
৩. শিক্ষাদীক্ষা : [ শিক্ষার পরিমাণ : শিক্ষালয়ের মান: পরীক্ষার ফল : প্রিয় বিষয় : কোন কোন বিষয় সবচেয়ে কম জানে : দতা : ]
৪. পারিবারিক জীবন : [ পিতা মাতা কি জীবিত নাকি মৃত ? তাদের উপার্জন মতা : পিতা : মাতা : পিতামাতার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে কি না : বিচ্ছেদের কারণ : পিতামাতার মানসিক উন্নতির মান : তাদের দোষ : পিতা : মাতা : আসক্তি : পিতা :
মাতা : বিরাগ বা উপো : পিতা : মাতা : চরিত্রের সংগ্রামশীলতা : পিতা : মাতা : ] , ৫. ধর্ম : , ৬.জাতি : ৭. সামাজিক প্রতিষ্ঠা : (বন্ধুবান্ধবমহলে, সভা-সমিতি-খেলাধূলায় নেতা কি না) : ৮. রাজনৈতিক মতবাদ : ৯.আমোদ প্রমোদ, বাতিক : (বই, খবরের কাগজ, মাসিক পত্রাদি পড়ার ঝোঁক) :
(গ) মনস্তাত্ত্বিক মান
১. যৌনজীবন : , ২. নৈতিক মান : , ৩. ব্যক্তিগত প্রকৃতি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা : , ৪. আশা ভঙ্গ, প্রধান অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা : ৫. মেজাজ : [ কড়া মেজাজী : নরম মেজাজী : নৈরাশ্যবাদী : আশাবাদী : ] ,৬. জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি : [ সমর্পিত : সংগ্রামী : পরাজিতন্মন্য : ]
৭. মনোগ্রন্থি : [ মনোবোধ আচ্ছন্ন : অভ্যাসগত কাজের বিরতি : কুসংস্কার : বাতিক : আতংক : ] ৮. লোক ব্যবহার : [ বহির্মুখী : অন্তর্মুখী : উভয়মুখী :
৯. দক্ষতা : [ ভাষাজ্ঞান : বিশেষ কর্মদক্ষতা : ]
১০. গুণ : [ কল্পনাশক্তি : বিচারশক্তি : সুরুচিবোধ: ভারসাম্য : ]
১১. বুদ্ধির মানাঙ্ক :

০৩) সবগুলো তথ্য একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । আশা করি, তার চরিত্রটি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

একশন বা নাট্যক্রিয়া :
নাট্যক্রিয়া বা একশন সিনেমার গতি তৈরি করে। আমরা প্রতিদিন কত শত কাজ করি। সে গুলোর সবই ক্রিয়া বা একশন। এই একশন দেখা যায় শরীরের মাধ্যমে। আমরা হাঁটি, দৌড়াই, বসি, খাই, ঘুমাই - এগুলো সবই একশন। আবার কিছু একশন আছে যেগুলো আমাদের শরীর দিয়ে দেখা যায় না, দেখা যায় মুখভঙ্গির মাধ্যমে। সেই একশনটা ঘটে মনের মধ্যে। মনের সেই অনুভূতি চোখের তারায়, চাহনিতে, ভ্রুর সঞ্চালনে, ঠোঁটের ভঙ্গিতে ফুটে ওঠে। আমরা বুঝে নেই চরিত্রটির মনের অবস্থা।

অনুশীলনী :
০১) আপনার পরিবারের একজনকে বেছে নিন।
০২) দূর থেকে তার কাজকর্ম লক্ষ্য করুন।
০৩) সে যা যা করছে সেটা লিখে ফেলুন।
০৪) তার কাজের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অন্য কেউ কী করছে ? সেটাও লিখুন।
০৫) এই সব কাজ করতে গিয়ে তার চেহারার ভঙ্গির কী কোন পরিবর্তন হচ্ছে ? সেই পরিবর্তন ও ভঙ্গিটি লিখুন।
০৬) তার এসব কাজের সঙ্গে কোন কোন বস্তু জড়িত হয়ে পড়ছে। যেমন : ফোন, কম্পিউটার, থানা-বাসন, টেবিল চেয়ার, বই-কলম ইত্যাদি। সে যে সব বস্তু ব্যবহার করে কাজ করছে সেই বস্তুগুলোর নামও লিখুন।

সংলাপ :
আপনি যেভাবে কথা বলেন, সেটা লিখে ফেললেই হয়ে যাবে সংলাপ। সুতরাং সিনেমার চরিত্রগুলো পরস্পরের সাথে যে কথোপকথন করে সেটাই সংলাপ। সিনেমায় সংলাপ তথ্য দেয়, গল্পকে এগিয়ে নেয় এবং ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়।
সিনেমার সংলাপ তৈরির ক্ষেত্রে বিবেচ্য : (সংলাপের কাজ)
০১) গল্প এগিয়ে নেয়। ০২) চরিত্রকে প্রকাশ করে। ০৩) ঘটনা ও চরিত্র সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দেয়। ০৪) আমাদের চারপাশের বাস্তব চরিত্রের মতো সংলাপ হবে। ০৫) আগের সংলাপের সাথের পরের সংলাপের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ০৬) বিভিন্ন ধরনের চরিত্র বিভিন্ন রকম করে সংলাপ বলবে। ০৭) চরিত্র কিভাবে সংলাপ শোনে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ।
সংলাপ রচনার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা প্রয়োগ করলে এবং নানা চরিত্র নানা ভাষায় কথা বললে বৈচিত্র্য তৈরি হয়।

অনুশীলনী :
০১) জনসমাগম আছে এমন একটা জায়গায় যান। যেমন : রেল স্টেশন, বাস স্টেশন বা কোন থিম পার্ক।
০২) কয়েকজনের কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করুন।
০৩) রেকর্ডকৃত কথোপকথন মনোযোগ দিয়ে শুনুন। খেয়াল করে দেখুন একেক জন একেকভাবে কথা বলছে।
০৪) রেকর্ড করা প্রত্যেকের সংলাপ লিখে ফেলুন। বুঝতে কি পারছেন মানুষ বাস্তবে কিভাবে কথা বলে ?

(অফ টপিক : আমার লেখা "কিভাবে আপনার প্রথম চলচ্চিত্রটি বানাবেন ? " নামের একটি অপ্রকাশিত বই থেকে লেখাটি দেয়া। এই পোস্টটি অনেক বড় হয়ে গেল বলে দুঃখিত। )


পর্ব - ০২
পর্ব - ০৪
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×