আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী মনে করে তারা আমাদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। কথাটা সত্য হলেও আমাদের মধ্যবিত্ত মানসিকতা হল সব কিছু বিনা টাকায় ভোগ করার নীতি।
আমাদের মধ্যবিত্তরা বই ফ্রি পেতে চায়।
ফ্রি মঞ্চ নাটক দেখতে চায়।
ফ্রি সিনেমা দেখতে চায়।
ফ্রি গান শুনতে চায়।
ফ্রি নাচ দেখতে চায়।
সৌজন্য কপি ও সৌজন্য টিকেট পেলে তারা বিরাট খুশি। তখন তারা বিরাট শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির ধারক বাহক। তখন তারা শিল্পের সমঝদার। কিন্তু সৌজন্য কপি বা সৌজন্য টিকেট না পেলে তাদের টিকিটিও দেখা যায় না। পুরো মাত্রায় স্বাবলম্বী এবং উচ্চ শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও এই আচরণ বিদ্যমান।
ঢাকা শহরের বেশির ভাগ চলচ্চিত্র উৎসব ফ্রি।
ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় গানের আসর বেঙ্গলের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পুরোটাই ফ্রি।
এগুলো ফ্রি না হলে অনেকের চেহারা আমরা দেখতাম না।
ঢাকা শহরের মঞ্চ নাটক দেখার জন্য বেশির ভাগ দর্শক ফ্রি টিকেটের জন্য হাঁ করে থাকে।
একুশের বই মেলায় প্রকাশিত বইয়ের সৌজন্য কপি পাওয়ার জন্য লেখককে বিরক্ত করতে থাকে এই শ্রেণীর মানুষরা।
তাদের এই দুই চার পাঁচ শো টাকা বাঁচানোর মানসিকতার কারণে আমাদের শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতিক অঙ্গনে পদচারণা করা শিল্পীরা এতটা গরীব। এই কারণেই শিল্পীদের শেষ বয়সে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হয়।
যেই পৃষ্ঠপোষকতা একটা শিল্পীকে হতদরিদ্র বানায়, সেই পৃষ্ঠপোষকতা কি আসলেই দরকার আছে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৪