সামনে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। সবাই ব্যস্ত। আমার কথা চলছে হেডকোয়ার্টার এর সাথে। ফেসবুক চ্যাটেই...
- অমিত “অমুক” কাজের দায়িত্ব কাকে দিয়েছেন?
- রবিন কে দেওয়া হয়েছে। বড়ই এফিসিয়েন্ট ছেলে।
-তাহলে তো ভালই
এমন সময় ফোন রবিনের বেস্ট ফ্রেন্ডের। চ্যাট ছেড়ে এইবার ফোনে।
- অমিত ভাই, নষ্ট ছেলে রবিন আপনার সাথে আছে?
- না নাই। কিন্তু সে আমার সাথে প্রজেক্টে কাজ করছে
- ভাই ওকে তো বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
- কস কি মোমিন???
হেডকোয়ার্টার কে জানালাম। এইবার হেডকোয়ার্টার থেকে চ্যাট বাদ দিয়ে ফোন আসলো।
-অমিত সাহেব যে করে হোক রবিন কে খুঁজে বের করুন। প্রজেক্টের কাজ পরে করা হবে।
ঘড়িতে রাত ১০ টা বাজবে, পেটে ভাতের খিদে। কিন্তু ডিউটি ফাস্ট। রবিনের অফিসিয়াল নাম্বার, আন অফিসিয়াল নাম্বার অ্যান্ড গোপন নাম্বার এ কল করা হল। পুরাই লবডংকা। তবে গোপন নাম্বার খোলা পাওয়া গেছে। বুঝলাম এ ছোকরা কানার হাটবাজারে ঢুকে গেছে, মূলে যেতে হবে কাহিনী উদ্ধার এর জন্য।
যাই হোক বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে কয়েক দফা ফোনে কথা হল। প্লাস মাইনাস করা হল। তাতে যে কাহিনী উঠে আসলো। পাঠক দের সুবিধার্থে সংক্ষেপে:
রবিন ক নামের মেয়েটা কে পাগলা কুত্তার মত ভালবাসে। ক সবই বুঝে, কিন্তু সে রবিন কে চাই না। সেই দিন সন্ধ্যায় ক এর সাথে তার দেখা করার কথা। দৃশ্যপটে আছে “খ” । যে রবিন কে মরা নদীর স্রোতের মত ভালোবাসে। দুপুর একটায় ছেলেটার খ এর সাথে দেখা করার কথা ছিল। দেখা করা অবস্থায় এসেছিল ক এর ফোন। তার পরের ঘটনা ধোঁয়াশা যুক্ত। কিন্তু ফলাফল, রবিন বাসায় যেয়ে বলে , “এই নিষ্ঠুর শহরে আমি আর থাকবো না”!!! সেই থেকে লাপাত্তা...
এমন সময় থার্ড পার্টি কে জিজ্ঞেস করলাম,
-রবিনের খোঁজ জানো?
- না, তবে সে আপনাকে একটা জিনিস জিজ্ঞেস করতে বলেছে
- ওকে কই পেলা?
- ফোন দিছিলো
-আমাকে ফোন দিতে বলো
থার্ড পার্টি কিছুক্ষণ পর বলল, আপনার সাথে সে কথা বলতে চাইছে না। আমি বললাম ঠিক আছে। যাই হোক তারপর থেকে তার গোপন নাম্বার অফ। ছোকরা বেঁচে আছে।
সময় এসেছে হারানো বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার। তখন রবিনের বেস্ট ফ্রেন্ডের ফোন,
-ভাই নষ্ট ছেলেটাকে পাওয়া গেছে
- কোথায়
- গ্রামের বাড়িতে যেয়ে বসে আছে অভিমানে, গোটা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন।
- কিন্তু ওকে যে প্রজেক্টের কাজে লাগবে?
- ওর কথা ভুলে যান।
সমাজের প্রতিচ্ছবি:
তরুণ পোলাপান। সময় জীবন কে উপভোগ করার। কিন্তু তাদের উপভোগের বিষয় বস্তু একমাত্র প্রেম ভালোবাসায় সীমাবদ্ধ। প্রেমের ব্যর্থতায় ভুলে যায় সব কিছু। বাবা মা কে জানায় না সে কোথায় যাচ্ছে। ভুলে যায় সামনে কত বড় একটা দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। এদের জন্যই সর্বদা দোয়া করি, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
টুইস্ট:
ঘরোয়া আড্ডা চলছে। সেই সাথে কয়েকজন বিভিন্ন বয়সের বসে আছি। রবিনের পরিচিত এক ছেলের সাথে আমার কথোপকথন →
- রবিন ছেলেটা ক এর জন্য এরকম করে ক্যা?
- অমিত ভাই বুঝেন অবস্থা। সেই কবে থেকে ক এর জন্য ...
এমন সময় একজন বলে উঠল আড্ডা থেকে, ক কে? আমি বললাম মেয়ে, রবিনের বালুবাসা। সে বলল, “দেখাতে পারবেন ফেসবুক প্রোফাইল বা ছবি”?
রবিনের সাথে চ্যাট হিস্টোরি ঘাটাঘাটি করে, ক এর একটা ছবি পেলাম। বললাম ভাই দেখেন এই মেয়ে:
- হারাম** এই মেয়ে আমার আপন কাজিন হয়। এর পিছনে রবিন ঘুরে??? হোয়্যাট দ্য…
এক দৌড়ে আড্ডা থেকে বেড়িয়ে আসলাম। জীবনের চেয়ে ইজ্জতের দাম বেশি।
ঘটনা কাল্পনিক। জীবিত, মৃত বা অর্ধ মৃত কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাঁকতলিয়