সেনা বাহিনীকে দুই ভাগ করা হচ্ছে। ব্যাপারটা দেশের জন্য কত টুকু মঙ্গলজনক বুঝতে পারছিনা। সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিভক্তির প্রয়োজন কি?
সেনা বাহিনী মুলত বহিঃশত্রু আক্রমন থেকে রক্ষার জন্যই রাখা হয়। বাংলাদেশের তিনদিকেই ভারত বেষ্টিত। মায়ানমারের সাথে আমাদের সিমান্ত ২০০ কিলোমিটারের ও কম। তার মানে দাঁড়ায় আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশ। (প্রতিবেশিদের সাথে সম্পর্ক খুব ভাল না হলেও আপাত যুদ্ধের অনেক দূরে আছে বাংলাদেশ।) যদি আমাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেশী থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিরাপত্তার আশঙ্কা করি তাহলে সেনা বাহিনীকে সে ভাবে সাজানো যেতে পারে। কিনবা আমাদের ভু প্রকৃতি ভিন্ন হলেও ভু প্রকৃতি অনুসারে সেনা বাহিনী সাজানো যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে কি প্রয়োজন পড়ল কমান্ড বিভক্ত করার। আমাদের জাতীয় ঐক্যের একটা প্রতীক ছিল সেনা বাহিনী। তাকে কমান্ড ভাগ করার নামে প্রত্যেকের সহযোগিতার পরিবর্তে মুখোমুখি দাড় করানো হয় তার কি হবে?
আমরা ঘর পোড়া গরুর মত। সেই ১৭৫৭ সালে মীর জাফর তার কমাণ্ডে থাকা সেনা বাহিনী ব্যাবহার করে নি। ঐতিহাসিক বিশ্লেষনে দেখা যায় সে সময়ে কমান্ড যদি এক হত তাহলে তার বিশ্বাসঘাতকতা সনাক্ত করা সহজ হত। গত ২৫০ বছরে বিশ্বাস ঘাতকের পরিমান কমেছে বলে মনে হয় না। এমনিতেই এদেশের জনগন ভারত পন্থি- পাকিস্থান পন্থীর চাপে নিরপেক্ষরা বার্গার চিজে পরিনত হয়েছে।
আমাদের দেশে মনে হয় একটা বুলেট ও বানাতে পারে না। অন্যের দান খয়রাতের অস্ত্রে দেশ রক্ষার কাজ এক হয়ে করছে সেনা বাহিনী। সেই সেনাবাহিনীকে দুই ভাগ করে দুর্বল করা হবে না তো?
সেনা বাহিনীকে আরও আধুনিক করার জন্য নিজেদের গবেষনা বরাদ্ধ বাড়ানো হোক, এদেশে আধুনিক ও কার্যকর অস্ত্র তৈরী করা হোক, তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আরও পেশাদার প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করা হোক। তা না করে কেন পুর্ব - পশ্চিম দুই ভাগ। ???
খোদা না করুক আমাদের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে সেনা বাহিনীর দুই কমান্ড যদি দুই পক্ষের স্বার্থে নিজেদের দাড় করায় তার পরিনতি কি হবে????
আমি গুছিয়ে লিখতে জানি না। কিন্তু সাধারণ ব্লগারদের মতামত কি জানার খুব ইচ্ছা আছে।
কারন আমার একটা আশঙ্কা আছে............।
কেউ কি এখানে আশার কথা শুনাতে পারেন???
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



