নির্বাচন একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে সেই প্রকক্রিয়ার সূচনা ধরলে পরবর্তী স্তরগুলো সেই নির্বাচিত দলটি যদি অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা তাকে গণতান্ত্রিক সরকার বলবো না। ভিন্ন মতালম্বীদের প্রতি তার ক্ষোব্ধ আচরণকে কখনই গণতান্ত্রিক নিয়মে পড়ে না─এ কথা বুঝার জন্য কাউকে পন্ডিত হতে হয় না, কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ গ্রেজুয়েশন নেয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য, ক্ষমতাসীন সরকার নিজের মতো করে সবাইকে অজ্ঞ ভাবে।
মানুষের প্রতিবাদের ভাষা যদি কোনো সরকার হরণ করতে চাইলে সেই সরকার কোনো অর্থেই কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেই একটি বাম বাম ভাব ধারণ করে আগাতে চায়। এতে প্রকৃত বামপন্থীরা লজ্জাবোধ করলেও বামের খোলস পড়ে যারা ক্ষমতার স্বাদ নিতে লোল হয়ে উঠে তাদের লজ্জা লাগে না। তারা ব্যাশ্যাপাড়ার দালালের মতোই খদ্দের ধরার জন্য হেংলামী করে। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লজ্জ মনোভাব দেখে আমরা বিস্মিত হইনি, ভীত হয়েছি─আমাদের রাষ্ট্রীয় বেহায়াপনা কতদূর গেছে তাই দেখে। যারা সরকারী আচরণ আর দলীয় আচরণকে সমানভাবে দেখেন, তারা না রাষ্ট্রের কোনো উপকারে আসেন না দলের। বুঝতে হবে, এই চামচাদের কারণেই বঙ্গবন্ধু সরকার চরম ব্যর্থ হয়েছিল।
একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের জায়গায় নিজকে দাঁড় করাতে যে ব্যক্তিত্ব ও ধারণা থাকা দরকার এই সরকার ও তার বামসহযোগীদের বিন্দুমাত্র নেই বললেই চলে। আছে কিছু পুস্তকী ধারণা যা কপচিয়ে নিজেদের বামপরিচয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠেননি। মানবন্ধনের মতো নিরহ প্রকৃতির প্রতিবাদেও যাদের ন্যুনতম সহন-ক্ষমতা নেই তারা নিজেদের কী পরিমাণ জঙ্গি বানিয়ে তুলেছেন সে খবর তারা রাখেন না। আওয়ামী-বাম সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্যাতনের নতুন ইতিহাস যোগ করলে বিরোধী দলের মানববন্ধনে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে। শুধু তাই, একজনকে হত্যাও করলো। সরকার এই খুনের দায় বিরোধী দলের উপর চাপাতে চাইবে যেভাবে ফারুক হত্যার দায়টি চাপিয়েছে। সরকারের বদমিডিয়াগুলোও সমস্বরে চিৎকার দেবে তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ইতিহাসের সত্য হলো, নির্যাতন করে কোনো কালে কোনো সরকারই ঠিকতে পারে না। সেটা কেবল সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




