সবাই বলছে আমরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছি। এর পূর্বে বিভিন্ন লেখায়, সাময়িকীতে কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বক্তৃতা বিবৃতিতে শুনা যেতো। এখন প্রকাশ্যে যে হালাকুর নিদন অভিযান চলছে তাতে মনে হয় একটি কাঠামো দাড়িয়ে গেছে। জাতি আজ দ্বিধান্বিত। দ্বিধাবিভক্ত। প্রত্যেকে তার কাধ থেকে শত্রু দেখতে পাচ্ছে। যে তার আর্শিনগর তাকেও শত্রু ভাবছে। শুধু শুত্রুই ভাবছে না। শত্রুকে নানাকায়দায় আক্রান্ত করতে নিকৃষ্টতম চালবাজী বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। নিজে হত্যা করে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর পাষাণ্ড পক্রিয়াগুলো এখন অহরহ ঘটছে। ভিন্নমতারম্বী হলেই শত্রু বলে গণ্য করছে। অন্য ধর্মের মানুষকে হত্যা করে বিরোধী পক্ষের ঘাড়ে চাপাতে সচেষ্ট হচ্ছে। একটি হত্যার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মতামত বা সরকার পক্ষ কোনো তদন্ত ছাড়াই রায় দিয়ে দিচ্ছে অমুক বা অমুকগণ হত্যা করেছে। এই মানসকিতা সুস্পষ্ট বিভক্তির লক্ষ্যণ।
জাতীয় প্রতীককে অবমাননা করা হচ্ছে – বিভক্তিকে আরো স্পষ্ট করার জন্য। কোনো কিছুরই বিচারবিভাগী তদন্ত কমিটি করার গুরুত্বই দিচ্ছে না সরকার। এসব কখনই নির্বাচনে জেতার নিয়ামক হতে পারে না। মানুষদের এখন আর গণমধ্যম দিয়ে বুঝানো যাবে না যে প্রকৃত ঘটনার জন্য দায়ী কে? গণমাধ্যম বলতে যা বোঝায় প্রকৃত অর্থে গণমাধ্যম সেই জায়গা থেকে সরে এসেছে। পক্ষ নিয়েছে। কোন পক্ষ নিয়েছে তারা? যেটি তাদের সুবিধার সেটির পক্ষ। এসব আলামত সুস্পস্ট সিভিলওয়ারের দিকে ধাবিত দেশ।
হাস্যকর বিষয় হলো যে, দুপক্ষই পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলতে আহবান জানিয়েছে। অর্থাৎ সংঘাত আরো কঠিন ও কঠোর হবে।
এমতাবস্থায় কী করণীয় হতে পারে? ব্লগারদের মধ্যে যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে কেন্দ্র করে ব্লগাররা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জায়গা থেকে সরে এসে অবিচারের পা দিয়েছে। তারা বিচার চায় না, ফাসি চায়। তাদের অভিযোগ অস্পষ্ট। কার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ সেটা যেমন স্পষ্ট নয় তেমনি গোটা জাতিকে উসকে দেয়ার জন্য তাদেরকেও ক্ষমা করা যাবে না। তারা যদি আত্মসমালোচনা করেন বুঝতে পারবেন তারা কী করছেন? কিছু ব্লগারের মধ্যে প্রচার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার দুর্দমনীয় লোভ জেগে উঠেছে। তারা নিজেদের মুক্ত আঙ্গিনা ছেড়ে দলীয় আঙ্গিনায় বন্দী হয়ে গেছেন। তাদের এই কর্ম এখন স্পষ্ট যে, তারা সরকারের দালালীতে হাত গলিয়েছেন।
এতো কিছুর পরও সময় আছে কিছু একটা করার। সুষ্পষ্ট দিকনির্দেশনায় নিজেকে আত্মপরিচয়ে দাড় করানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে দ্বিখন্ডিত জাতির বদনাম নিয়ে বাচতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




