somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লালবাগ কেল্লার বর্ণণা

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এটি একটি লালবাগের কেল্লার চিত্র

লালবাগের কেল্লা হলো আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শহরে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি প্রাচীন দুর্গ । মোঘল আমলে স্থাপিত হওয়া এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন । এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত । আর সে কারণেই এর নাম করন হয়েছে লালবাগের কেল্লা । এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বলেও অনেকের কাছে পরিচিত । বর্তমান প্রেক্ষাতে ২০১২সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ এই কেল্লা এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন ।


লালবাগ কেল্লার দরবার হলের মধ্যকার জাদুঘরের প্রদর্শিত শিলালিপি।

প্রথম দিকে এই কেল্লার নাম করন ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ । আর এই কেল্লার নকশা করেছেন শাহ আজম । মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ সালে ঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এই দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন । মাত্র এক বছর পরেই এই দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান । সেসময় একটি মসজিদ এবং দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায় ।নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেদেন । তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এই দুর্গ অপয়া মনে করা হয়েছিল এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ সালে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করেদেন । এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয় । পরী বিবিকে দরবার হলে এবং মসজিদের মাঝখানে সমাহিত করা হয়েছিল । শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন । ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান । শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে । ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করেন । সে সময় দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে । ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয় । অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় । এখানকার স্থাপনার অন্তর্গত পরীবিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন । প্রশস্ত এলাকা নিয়ে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত । কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছেঃ
১ ।কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা
২। পরীবিবির সমাধি
৩। উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ



তাছাড়াও দক্ষিণ ও পূর্বাংশে সুদৃশ্য ফটক এবং দক্ষিণ দেওয়ালের ছাদের উপরে বাগান আছে ।
এই ভবনটি মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি নামে পরিচিত । বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর ও কষ্টি পাথর এবং বিভিন্ন রং এর ফুল পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে । কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি । মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত । ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ সালের পুর্বে নির্মিত হয় । তবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞদের অভিমত এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই ।


এটি হলো লালবাগের মিউজিয়াম



এটি হলো লালবাগের মিউজিয়াম আর এগুলো তখনকার রাজসামগ্রী সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে ।


এটি হলো লালবাগের মিউজিয়াম এখানে তখনকার অস্র সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে ।


এটি হলো লালবাগ দূর্গ

তথ্য বিভিন্ন সংবাদ পত্র যেমনঃ
মৈনিক সংগ্রাম ওয়েব সংস্করণ ২০১২ সালের ৫ই মে ।
তাছাড়াও বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ করা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×