এটি একটি লালবাগের কেল্লার চিত্র
লালবাগের কেল্লা হলো আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শহরে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি প্রাচীন দুর্গ । মোঘল আমলে স্থাপিত হওয়া এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন । এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত । আর সে কারণেই এর নাম করন হয়েছে লালবাগের কেল্লা । এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বলেও অনেকের কাছে পরিচিত । বর্তমান প্রেক্ষাতে ২০১২সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ এই কেল্লা এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন ।
লালবাগ কেল্লার দরবার হলের মধ্যকার জাদুঘরের প্রদর্শিত শিলালিপি।
প্রথম দিকে এই কেল্লার নাম করন ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ । আর এই কেল্লার নকশা করেছেন শাহ আজম । মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ সালে ঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এই দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন । মাত্র এক বছর পরেই এই দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান । সেসময় একটি মসজিদ এবং দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায় ।নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেদেন । তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এই দুর্গ অপয়া মনে করা হয়েছিল এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ সালে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করেদেন । এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয় । পরী বিবিকে দরবার হলে এবং মসজিদের মাঝখানে সমাহিত করা হয়েছিল । শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন । ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান । শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে । ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করেন । সে সময় দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে । ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয় । অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় । এখানকার স্থাপনার অন্তর্গত পরীবিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন । প্রশস্ত এলাকা নিয়ে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত । কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছেঃ
১ ।কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা
২। পরীবিবির সমাধি
৩। উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ
তাছাড়াও দক্ষিণ ও পূর্বাংশে সুদৃশ্য ফটক এবং দক্ষিণ দেওয়ালের ছাদের উপরে বাগান আছে ।
এই ভবনটি মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি নামে পরিচিত । বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর ও কষ্টি পাথর এবং বিভিন্ন রং এর ফুল পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে । কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি । মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত । ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ সালের পুর্বে নির্মিত হয় । তবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞদের অভিমত এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই ।
এটি হলো লালবাগের মিউজিয়াম
এটি হলো লালবাগের মিউজিয়াম আর এগুলো তখনকার রাজসামগ্রী সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে ।
এটি হলো লালবাগের মিউজিয়াম এখানে তখনকার অস্র সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে ।
এটি হলো লালবাগ দূর্গ
তথ্য বিভিন্ন সংবাদ পত্র যেমনঃ
মৈনিক সংগ্রাম ওয়েব সংস্করণ ২০১২ সালের ৫ই মে ।
তাছাড়াও বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ করা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮