somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ ও ত্রিশক্তির লড়াই

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কী নিয়ে লিখব ভাবতেই বাংলাদেশের সংকট মাথায় আসল।অনেকে বাংলাদেশের সমস্যা কে। নিতান্ত খালেদা হাসিনার দন্ধ বলেই মনে করেন। বাস্তব একটু ভিন্ন।সময়ে সাথে পৃথিবী পাল্টেছে।সাথে বাংলাদেশের গুরুত্ত ও বারছে।স্যারের মুখে শুনেছিলাম বাংলাদেশ হচ্ছে গরীবের সুন্দরি কন্যা যার অভিবাবক সবাই সাজতে চায়।অথবা।প্রছলিত প্রবাদ গরীবের বৌ সকলের ভাবী।তাই সকলে একটু রসিকতা আর অধিকার খাটাতে চায়।বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান কারনে এর গুরুত্ত সকলের কাছেই বারছে।চীন,ভারত, মার্কিন সকলেই এই।দেশের প্রতি নজর দিয়েছে তাদের স্বার্থে।উদিয়মান শক্তি চীন, ভারত এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা জানান দিতেচায়।অপর দিকে।মার্কিনিরা চায় এই অঞ্চলে তাদের ক্ষমতা অটুট রাখতে।সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রতির ঘোষনায় দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় ২০২০সাল নাগাদ তাদের সামরিক শক্তি ৬০ শতাংশ মোতায়েনের কথা বলেছেন।এর মূল কারণ চীনকে মোকাবেলায় জালের মত ঘিরে ফেলা । মার্কিনিদের নৌ বহরের অবস্থান যাচাই করলে বুঝা যায় তারা চীনকে ঠেকাতে উঠে পরে লেগেছে। তাদের ৬ টি নৌ বহরের তিনটি এশিয়াকে ঘিরে।৭ম নৌ বহর জাপানের ইউকোসুকা দ্বীপে যা ৮টি টাস্কফোর্সে বিভক্ত হয়ে এশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপ রাষ্টে অবস্থান করছে এর মধ্যে জাপান দক্ষিন কোরিয়া ফিলিফিন দিয়াগো গর্সিয়াদ্বীপ উল্লেখ যোগ্য।বাংলাদেশের অবস্থান ভারত চীনের সীমান্ত ও নিকটবর্তী হওয়াতে মার্কিনিরা গুরুত্তের সংগে দেখছে।বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত মার্কিন নীতি এক নয়।যা অন্য ক্ষেত্রে কিছুটা তাদের সম্পর্ক মিল লক্ষ করা যায়।ভারত যদিও এশিয়া অঞ্চলে একক আধিপত্ত চায় তথাপি চীনকে ঠেকানোর ক্ষেত্রে একমত।তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বেপারে ভারত কোন শক্তিশালী। প্রতিবাদ লক্ষ করা যায় না।বরং বারাক অবামার ভারত সফর দুদেশের সম্পর্ক আর মজবুতির লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।যা মনমোহন সরকারের সাথে একটু কমে এসেছিল।ভারত মহাসাগরে মার্কিন এহেন দখলদারিত্ব ভারত পছন্দ না করলে মেনে নিচ্ছে আর মনে মনে ঘৃনা করছে।অনেক সময় সমালোচকরা এটিকে "ভালোবাসা আর ঘৃনাতত্ত"( love and hate theory) বলে রসিকতা করেন।ভারত সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সিল্ক রুট পুনরুদ্ধার তত্তের বিপরীতে কটনরুট পুনরুদ্ধারের তত্ত্ব হাজির করেছে।ভারত তার স্বার্থেই সাউথ এশিয়ায় চীনের প্রবেশ ঠেকাতে চায়।এই জন্য সার্কভুক্ত দেশ সমুহে একক আধিপত্য চায়।যার ফলে বাংলাদেশ শ্রীলংকা নেপাল ভুটান মালদ্বিপে চীনের আগমন খর্ব করতে চায়।যার ফলাফল শ্রীলংকায় সরকার পরিবর্তন বাংলাদেশের অস্থিরতা।অপর।দিকে চীন সিল্ক রুট উদ্ধারের নামে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।যার ফলে চীন এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে বন্দর নির্মান করেছে।
মিয়ানমারে সিতওয়া এবং কোকো দ্বীপে, শ্রীলংকায় হাম্বার তোতো দ্বীপে এবং ভারতে চীর প্রতিদন্ধি পাকিস্তানের গোয়াদরে।বাংলাদেশ ও চীন গভীর সমুদ্র নির্মাণ করতে চেয়েছিলসোনাদিয়াতে যা মায়ানমারের খুব কাছে।চীনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। ২০০৯সালে সরকার পরিবর্তন হলে চীনের এই ইচ্ছে ধ্বংশ হয়।সেই বন্দর এখন খুলনার পায়রাবন্দে হবে শুনা যাচ্ছে।বাংলাদেশে চীন ও মার্কিন কারো স্বার্থ দেখতে চায় না।ভারত এখন আর বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারেনা।চীন মুখি নীতি একচেটিয়া ভারত বিদ্বেষ এবং জোটের শরিক জামাতকে তারা পাকিস্তান পন্থি বলেই মনে করে।এছাড়া ও ২০০৪ সালের অস্ত্র চালান ট্রাঞ্জিট বিরুধীতায় তাদের প্রতি চরম অবিশ্বাস জন্ম দিয়েছে।অপর দিকে বর্তমান সরকারের অধিক ভারত নির্ভরতা ভারতকে একটি দলের প্রতি ঝুকিয়ে দিয়েছে।২০০৫ সালের বুশের ভারত সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ কে দেখার যে নীতি শুরু হয়েছিল তা রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়।তাইতো ওবামার সফরেও বাংলাদেশ ইস্যু আলাদা গুরুত্ত পায়।তাই বলছিলাম বাংলাদেশের সংঘাত দুটি দলকে দিয়ে বিবেচনা করলে হবেনা।এটি আসলে ত্রিশক্তির লড়াই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×