জোনায়েদ সাকির জামানত বাজেয়াপ্ত
হবে এটা কেউ ভাবুক আর না ভাবুক
ইতিহাস এইভাবে বাংলাদেশের
রাজনীতে বাম্পন্থিদের নিরাস করেছে।
একটু পেছনে যদি যাই স্টালিনের পর
ক্ষমতায় আসা ক্রুশ্চেব এইটা হয়ত ৫০ এর
দশকেই বুঝেছিলেন বাম্পন্থার নীতি
রাশিয়ান যেভাবে গ্রহন করেছে অন্য
রাষ্ট্রসমুহ সেই ভাবে গ্রহন না ও করতে
পারে তাই তিনি তত্ত্বগত কিছু
পরিবর্তনের কথা বলেন। সেই সময়কার
মাও যে দাং ও যা মানতে পারেন নি।
মাও এটিকে পুঁজিবাদের অনু প্রবেশকারী
হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।যার ফলে মাও
নিজেই একটা আদর্শ হিসেবে দাঁড়াতে
পেরেছিলেন। লেনিনের পরে তিনি
স্বতন্ত্র হিসেবে আবির্ভুত হন।ক্রুশ্চেব
মূলত তিনটি বিষয়ে বলেছেন তার অন্যতম
হচ্ছে ১.সমাজতন্ত্র সকল দেশে একরকম
হতে হবে কথা নেই।
২.প্রয়োজনে পুঁজিবাদি রাজনীতির
ভেতরে প্রবেশ করে সমাজ তান্ত্রিক
আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারবে। ২য় এই
প্রকার মতের সাথে ভারতীয় অনেক
জাদরেল নেতা একমত হন আবার অনেকে
বিরুধীতা করেন। বিরুধীরা মাও এর
আদর্শকেই গ্রহন করেন যা এখন ভারতে
মাওবাদ বলে শক্তভিত্তির জানান
দিচ্ছে।বাম্পন্থি রাজনীতির বিভক্তি
সেই থেকে চরম আকার রূপ লাভ করে।
ভারতীয় রাজনীতিতে ক্রুশ্চেবের তত্ত্ব
প্রভাব পরে৫০ এর দশকেই আর
বাংলাদেশে জিয়ার আমল থেকে
পুঁজিবাদি দলে বামদের প্রবেশ শুরু হলে ও
দল হিসেবে জোট হয়নি।যা ২০০৮ সালের
পর মেনন ইনুরা সরাসরি বামদল হিসেবে
পুঁজিবাদের সাথে জোট করে ক্রুশ্চেবের
৫০ এর দশকের তত্ত্বের প্রয়োগ ঘটায়।
জোটে যোগ দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি ওনারা
নিজের মার্কা ও বিসর্জন দিয়েছিল যা
২০১৪ তে ও ছিল।কারণ তারা জানে
নিজের প্রতিক নিলে জামানত
বাজেয়াপ্ত হবে।সাকিকে তরুন প্রজন্মের
যারা চিনে একজন নিরেট ভাল মানুষ
হিসেবেই চিনে। তবুও জামানত
বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার।তিনি যদি সৎ না
হয়েও চোর হতেন এবং বড় দুই দলের একটির
আশির্বাদ পেতেন তবে কুইক রেন্টালে
হাজার কোটি টাকা চুরি করলেও তিনি
নগর পিতা হলেও হতে পারতেন।শেষ কথা
এই ভাবে ইতি টানতে চাই বাম্পন্থিদের
বাংলাদেশে মানুষ টিভি টকশোতে
দেখতেই বোধহয় বেশি মজা পান নগর
ভবনে নয়।