somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওহাবী মতবাদ ও ইহার জনকের ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত-২

১৫ ই মে, ২০১১ ভোর ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আব্দুল ওহাবের চরিত্রহীনতা-
অন্যদিনের ঘটনা- আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম, মহিলাদের সাথে 'মুতয়া বিবাহ ( সুনির্দিষ্ট সময়ের শর্তে বিবাহ) জায়েজ কিনা? তিনি বললেন "কখনো না"। আমি বললাম তাহলে কোরানে এটা জায়েজ বলা হয়েছে কেন? " আর তোমরা যখন তাদের সাথে মুতয়া করবে তখন তাদের মোহর আদায় করে দাও ( নিসা-২৪), তিনি বললেন হ্যা আয়াত নিজের জায়গায় থিকই আছে, কিন্তু হযরত উমর বলেছেন "মুতয়া রাসূল (স) এর জামানায় হালাল ছিল আমি আজকে এটাকে হারাম করলাম।২

{২-প্রকৃতপক্ষে রাসূল (স) মুতয়াকে হারাম বলে বিধান জারী করেছিলেন, 'রাসূল (স) খায়বরের দিন মুতয়াকে হারাম বলে ঘোষনা করেছিলেন (বোখারী ও মুসলিম) হযরত উমর (র) একদইন খোৎবা প্রদানকালে বলেছিলেন'আমি আল্লাহর কসম করে বলছি- যদই আমি জানতে পারি কোন বিবাহিত স্বাধীন মুসলমান মুতয়া করেছে তবে আমি অবশ্যই তাকে পাথর মেরে হত্যা করবো (ইবনে মাজা)}

এখন কেউ যদি এটাতে লিপ্ত হয় তবে আমি তাকে শাস্তি দিব" আমি বললাম আজব বিষয় যে আপনি হযরত উমর (র) কে অনুসরন করেন আবার নিজেকে তার চেয়ে বেশী জ্ঞানী বলে মনে করেন, হযরত উমর (র) কি অধীকার আছে যে তিনি মোহাম্মদ (স) কতৃক হালাকৃত বস্তুকে হারামে পরিনত করেন? আপনি কোরআনের সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে হযরত ওমর (র) এর সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন? আব্দউল ওহাব এ কথা শুনে চুপ হয়ে গেলেন। তার চুপ থাকাই সম্মতির লক্ষন বলে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে তার চিন্তা ধারা শুধরিয়ে তাকে আমি যৌন উত্তেজনাকে উদ্দ্বুদ্ধ করতে লাগলাম। তিনি তখনও অবিবাহিত ছিলেন আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম আপনি কি 'মুতয়া' দ্বারা নিজের জীবনকে আনন্দদায়ক করতে চান? আব্দুল ওহাব সম্মত ও আশান্নিত হয়ে মাথা নাড়লেন। আমার দায়িত্বের শেষ সীমানায় আমি পৌছে গেলাম। আমি তার সাথে ওয়াদা করলাম যে কোন ভাবেই আমি এর ব্যবস্থা করবো। আমার একটা ভয় ছিল যে তিনি না আবার সুন্ণীদের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন কারন সুন্ণীরা ছিল 'মুতয়া' বিরোধী। আমি তাকে বললাম আমার কাজকর্ম একেবারেই গোপনীয় থাকবে। এমনকি মহিলাটিকেও আপনার নাম বলা হবেনা। বসরায় ইংরেজ উপনিবেশ সরকারের পক্ষ হতে চরিত্র হননের জন্য খ্রিস্টান এক মহিলা নিয়োজিত ছিল। সে মুসলিম নওজোয়ানদের পথভ্রষ্টতার জন্য উৎসাহ জোগাতো সেই মহিলার কাছে আমি সব খুলে বললাম। যখন সে রাজী হলো তখন সাময়িকভাবে তার নাম আমি সুফিয়া রাখলাম।

যথাসময়ে আমি আব্দউল ওহাবকে নিয়ে সুফিয়ার ঘরে পৌছলাম। আমরা মাত্র দুজন ছাড়া ঐখানে আর কেই ছিলনা। আব্দউল ওহাব একটি আশরাফীর বিনিময়ে এক সপ্তাহের জন্য সুফিয়াকে বিবাহ করেন।ধর্মীয় বিধান নিধন আর স্বাধীন চিন্তাধারার নতুন স্বাদ তাকে পান করাল সুফিয়া।

এর তিনদিন পর পুনরায় ইবনে আব্দুল ওহাবের সাথে দেখা করলাম। এবার শরাব যে হারাম এ নিয়ে কথাবার্তা চলল। আমি চেষ্টা করলাম যে সমস্ত আয়াতে শরাবকে হারাম করা হয়েছে, যে আয়াতগুলো আব্দুল ওহাবের নিকট প্রমান হিসেবে স্বীকৃত সেগুলোর খন্ডন করি। আমি বললাম ইয়াজীদ, খোলাফায়ে বনু উমাইয়া ও বনী আব্বাস এর শরাব নূশী আমদের জানা কথা। তাহলে এটা কি করে হতে পারে যে এ সকল ধর্মীয় ও মাযহাবের নেতারা গোমরাহীর জীবন যাপন করতেন, আর শুধু আপনিই
সঠিক পথের উপর আছেন? নিশ্চই আমাদের চেয়ে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের জ্ঞান তাদের বেশী ছিল, সুতরাং এ কথা পরিস্কার যে আল্লাহ ও রাসূলের বানী থেকে তারা যা কিছু বের করেছেন তাহলো শরাব যে হারাম তা নয় বরনগ এটা মাকরুহ। এছাড়া ইয়াহূদী নাসারার পবিত্র কিতাবসমুহে পরিস্কারভাবে শরাব পান করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ ঐ ধর্মও তো আল্লাহ দ্বারা প্রেরিত আবং ঐ সমস্ত দ্বীনের পয়গম্বরদের উপর তো ইসলাম বিশ্বাসী, এটা কি করে সম্ভব যে শরাব আল্লাহ প্রেরিত এক ধর্মে হালাল আর আরেক ধর্মে হারাম। আমদের নিকট রায়াতী প্রমান আছে যে হযরত উমর (র) এই সময় পর্যন্ত শরাব পান করেছেন যে পর্যন্ত এ আয়াত অবতীর্ন না হয়েছে " তোমরা কি শরাব ও জুয়া থেকে বিরত থাকবেনা? (মায়েদা-৯১) যদি শরাব হারাম হতো তাহলে রাসূল (স) হযরত উমর (র) কে শাস্তি দিতেন, কিন্তু তাকে শাস্তি প্রদান না করাই এ কথার প্রমান করে যে শরাব হারাম নয়।৩

{ ৩-ধাপে ধাপে শরাব পানকে হারাম ঘোষনা করা হয়
প্রথমত-"লোকের আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলে আপনি বলুন উভয়ের মধ্য কবীরা গুনাহ এবং মানুষের জন্য উপকারও আছে, কিনতু ওতে উপকারের চেয়ে পাপ বেশী( বাকারা-২১৯)

দ্বিতীয়ত-"হে ঈমানদারগন মদ্যপ অবস্থায় তোমরা নামাজের নিকটবর্তী হয়োনা যে পর্যন্ত না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার (নিসা-৪৩)

তৃতীয়ত-হে ঈমানদারগন মদ,জুয়া ও মুর্তি ও ভাগ্য নির্নয়ক এসব শয়তানী কাজ সুতরাং তোমরা এসব বর্জন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ
সৃষ্টি করতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর জিকর ও নামাজ হতে বিরত রাখতে চায়, তবে কি তোমরা নিবৃত হবেন (মায়েদা ৯০-৯১)}

ইবনে আব্দুল ওহাব অত্যন্ত মনোযগের সাথে আমার কথা বার্তা শুনছিলেন, হঠাৎ করে বলে উঠলেন বর্নিত আছে যে হযরত উমর (র) শরাবে পানি মিশিয়ে পান করতেন যাতে নেশার ঘোর থাকতোনা, তিনি বলতেন শরাবের নেশা হারাম, মূল শরাব হারাম নয়। ঐ শরাব যাতে নেশা হয়না তা হারাম নয়।৪

{ ৪-হযরত ওমর (র) এ ধরনের কোন উক্তি করেন নি এটা একেবারেই মিথ্যা কথা}

আব্দুল ওহাব হযরত ওমর (র) এর দৃষ্টিভংগিকে এ আয়াতের আলোকে সঠিক বলে মনে করতেন সেখানে বলা হয়েছে- যদি শরাবে মস্তী না থাকে তাহলে পানকারীর উপর তার প্রভাব কার্যকর হবেনা, আর এ জন্য যে শরাবে মাস্তি নাই তা হারাম নয়।

আমি ইবনে আব্দুল ওহাবের সাথে শরাব প্রসংগের কথা সুফিয়ার কানে পৌছিয়ে দিলাম, আর তাগিদ দিলাম সুযোগ পেলেই তাকে নেশায় চুর করে দিবে আর যত পার শরাব পান করাবে।
পরের দিন সুফিয়া আমাকে জানালো যে সেদিন আব্দুল ওহাব প্রান ভরে শরাব পান করেছেন এমনকি তিনি আত্মহারা হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। শেষরাতে তিনি তার সাথে কয়েকবার মেলামেশা করেন এখনো তার নেশার ভাব কাটেনি। মোটকথা সুফিয়া পুরাপুরি আব্দুল ওহাবের উপর প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১১ ভোর ৬:০১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×