ঘুম থেকে উঠেই জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগল সে। ভূত দেখলেও সে এমন ভয় পেত না। শীতল তরল পান করবে বলে হাত বাড়াল R119। বাবা মা এর একমাত্র আদরের ছেলে R119। আদর করে ডাকে সবাই Ra-in বিবর্তন এর কারন আ নামটা পরিবর্তিত হয়ে গেল Rain। মহাজাগতিক সব ডেটাসেন্টারের সমন্নয়ে তৈরি inter-galactic info-center জি স্পেসে সার্চ দিয়েছিল রেন খুজে পেয়েছিল প্রাচীন পৃথিবীর ইংরেজি ভাষার মতে এর অর্থ "আকাশ থেকে পড়া পানির বর্ষণ বা বৃষ্টি"। নামটা পছন্দ হওয়ায় নামটা পছন্দ হওয়ায় কাউকে বাধা দেয়নি সে। শীতল তরলের সম্পূর্ণ নাম নাইট্রো-হাইড্রো-অক্সি এজেন্ট। গলাটা শুকিয়ে গেল, কিন্তু তরল আজ সে সাথে আনতে ভুলে গেছে। মস্তিককে স্টিমুলেট করল যাতে তরলের ইচ্ছাটা কম জাগে। কিন্তু এটার বেশ কিছু পার্শ্ব-পতিক্রিয়া আছে। মস্তিষ্ক স্টিমুলেট করার পর ওয়াশরুমে যেতে হয়। এই সমস্যাটার সমাধান দেওয়া তার থিসিস এর কাজ। ওয়াশরুমে যেতেই চমকে উঠল সে একি এতো দেখছি T149(Tan)। তার প্রাত্তন প্রেমিকা সময়ের বিচিত্র পরিহাসে ট্যান আজ রেন থেকে কোটি কোটি মাইল দুরের সপ্নের পৃথিবীতে। তার তো এইখানে আসার কথা না। বুঝতে পারল তার হেলুসিনেশন হয়েছে। স্টিমুলেটের আরও একটি সমস্যা এটি। ট্যানের সাথে যোগাযোগ হয় না অনেক কাল পার হয়ে গিয়েছে। ট্যান হয়ত কখনও জানতেও চায়নি রেন কেমন আছে, শুধু শেষ দেখার আগে ট্যান রেনকে আলতো করে চুমু দিয়ে বলেছিল ভাল থেকো, আমাকে ভুলো না। রেন পাগলের মত তাক জড়িয়ে বলেছিল আমি চলে আসব তোমার কাছে। কিন্তু রেন পারে নি। ট্যান হয়ত অনেক অপেক্ষার পর সংসারী হল। রেন জানত না কারন ট্যান চায়নি, তবে রেন জানতে পারল অনেক পর। পুরনো দিনের কথা ভেবে হাল্কা মুচকি হাসল রেন। ভাবল হয়ত কখনো মাফ চাইবে ট্যানের কাছে, তাকে মিথ্যে
আশ্বাস দেওয়ার জন্যে। আজ রেন একটা বিশাল গ্রহের অনেক ভাল একজন সিনেটরের একমাত্র ছেলে। অনেকটা প্রিন্সের মতন। রেনের ভাল লাগছে না সেও সংসারী হতে চাচ্ছে। রেন তার ঘরের কম মডিউল টাকে বলল তার প্রিয়তমা A1H9(Ann) এর সাথে হলগ্রাফিক কমুনিকেশন ইনিশিয়েট করতে। বলা মাত্রই ভেসে উঠল অ্যানের শিশুসুলভ, পবিত্র, নিরীহ চেহারা। এই মায়ার কাছে সবকিছু তুচ্ছ মনে হল রেনের। রেন বলে উঠল অপূর্ব, বাহ সত্যিই কি বিচিত্র ভালবাসা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


