দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই গতকাল অর্থাৎ ৬ই মে, ২০১৫ তারিখের প্রথম আলোর একটি উপ-সম্পাদকীয় এর প্রতি। 'মেধার বিপরীতে - কোটা যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করুন' শিরোনামে প্রকাশিত উপ- সম্পাদকীয়টি লিখেছেন জনাব আলী ইমাম মজুমদার। বাংলাদেশের সরকারী চাকরী গুলোতে সরকার প্রনীত আজগুবি কোটা ব্যবস্থা নিয়ে প্রবীণ এই আমলা বেশ মন্তন্য সূচক কলাম লিখেছেন। আমি শুধু কয়েকটি লাইন তুলে ধরছি-----
*কোটা প্রক্রিয়ায় প্রাধিকারের বরাতে মেধা তালিকায় অনেক নিচে থাকা প্রার্থীও গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় চাকরী গুলোয় এসে পড়ছেন।
* এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রিকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমবেশি ৩ লাখ। তাদের পোষ্য সংখ্যা কত হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। এ ধরনের ক্ষুদ্র জনসমষ্টির জন্য ৩০ শতাংশ চাকরী বরাদ্দ রাখার যৌক্তিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
* রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই অংশ। কোটা ব্যবস্থা এই চেতনার বিপরীতে যায় কি না- সে প্রশ্ন করা চলে।
* অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরীর 'চাকরী পুনর্গঠন কমিশন ১৯৭৩' ও চাকরী সংক্রান্ত 'রশিদ কমিশন ১৯৭৭' কোতা পদ্ধতির সুস্পষ্ট বিরোধিতা করে।
* কোটা ব্যবস্থা জাতীয় সংহতি ও সংবিধানের সাথে সাংঘরসিক।
* চলমান কোটা ব্যবস্থা কোন যৌক্তিক ভিত্তির দ্বারা সমর্থিত নয়, বরং এটা জনপ্রশাসনের গুণগত মান হ্রাসে প্রভাব ফেলছে।
আমাদের সরকার কখনই আমাদের কথা চিন্তা করে পদক্ষেপ নিয়েছে এমন হয়নি। তাই এটা আমাদের সরকার হয়ে উঠতে পারেনি কখনোই। তবে একটা পরামর্শ থাকবে, কোটা পদ্ধতি উঠিয়ে দিন। আর যাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের ছানা-পানা) চাকরী হচ্ছে না, তাদের জন্য আপনাদের বাপের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে ইচ্ছেমত বরাদ্দ দিয়ে দিন। আমরা মানা করবো না...........
চুরি তো আপনারা করছেন, আর জবাবদিহিতা ও নাই........... বরাদ্দের ব্যবস্থা করে নিজেরাই মেরে দিন, আমরা কিছু বলবো না.......