সাইরেন বাজে নিখিলের রংমহলের অন্দরে,
সুরাপাত্রের সাথে নর্তকীর স্তনযুগল ঘোরে।
ডান স্তন হতে বাম স্তনে চোখ দু'টো খেলা করে,
মুখ থেকে বুকে সরু সরলরেখা ধরে।
হঠাত হঠাত স্তনযুগলের অবদমিত ঝাঁকুনি,
কবিকে কবিতা লেখায়, ভাবুককে ভাবায়;
সুরাপাত্র নিয়ে বসে থাকা জীবন,
দন্ডায়মান প্রেম থেকে কামরসের ধারা বহমান।
তারা ভালবাসে বলে, তারা ভালবাসা করে,
সুখ শ্রবণে ইন্দ্রিয় সজাগ হয় কাম দেবতার।
সুরধ্বনির চোখের নিতম্বের উঁচু ভাঁজে নজর।
তারা কামের সাথে প্রেমের কবিতা আওড়ায়।
নর্তকীর নাভি মৃগ থেকে অধিক শ্রেয়,
বিকট গন্ধ তখন পবিত্র হয়ে আবর্তমান।
সুরার সাথে তা রন্ধ্রে, রন্ধ্র থেকে গভীরে,
শরীরের প্রতিটি খাঁজে চলে জীবন বন্দনা।
যোনীদেশের চুলগুলোতে আনন্দের লীলানৃত্য,
মুখ ঘষে ভগাংকুরে চলে ভালবাসার আদর।
শেষে দন্ডায়মান প্রেম বাজির ঘোড়া হয়,
শব্দে চলতে থাকে সুখ-দুঃখ অভিনয়ের আর্তচিৎকার।
পবিত্র হয়ে পূজা করে না তারা,
শরীর পূজা করে পরে পবিত্র হয়।
তারপর উগড়ানো বীর্য মেখে ঘুম ভাংগে,
এ কি স্বপ্নদোষ ছিল! এ তো দেখি লুংগিতে,
নির্গত তরল পদার্থ বৈ কিছু নয়। লজ্জা পায়,
অফিস ধরতে যেয়ে পবিত্রতা শুকিয়ে যায়।
২১/১১/২০১৫ খ্রিস্টাব্দ
০৭ই অগ্রাহায়ণ, ১৪২২
বংশাল, মালিটোলা