মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যখন রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা শুরু করলো, বাঙালিদের দরদ উতলে ওঠলো। "আমরা যা খাবো, তারাও তা খাবে। একবেলা না খেয়ে থাকবো, তাও ওদের পাশে থাকবো", এ হলো অবস্থা। সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করলো। সরকারও মানবতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দিলো। কিন্তু দিনেদিনে দরদ অনেকটাই কমে গেলো, যখন দেখা গেলো রোহিঙ্গারা বাঙালিদের ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে লাগলো। শুধু কি কর্তৃত্ব স্থাপন, জায়গাজমি দখল শুরু করলো। চুরি-ডাকাতির কথা নাই বা বললাম। খুন খারাবিও শুরু করলো। ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় নেতাকর্মী; এমনকি পুলিশও খুন হলো তাদের হাতে। অবাক করা ব্যাপার হলো, যারা তাদের পক্ষে কাজ করতে গিয়েছিল, এনজিওকর্মী; তারাও অনেকে নিহত হলো।
শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর এ জনগোষ্ঠির কাছ থেকে ভালো কিছুও আশা করা বোকামি। তবে তাদের জীবনমান উন্নয়নে জাতিসংঘের অধীনে কিছু করা উচিত। বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানোর কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাণভয়ে তারা ফেরত যেতে চাচ্ছে না। জাতিসংঘের অধীনে সেফজোন তৈরি করা উচিত। তাদের জন্মহার অত্যাধিক। এর একটা কারণ ধর্মান্ধতা; এটা দূরীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অধিক সন্তান জন্মদানের কুফল সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া উচিত। সর্বোপরি শিক্ষিত করে তোলা উচিত।
দরদ দেখিয়ে পরে নাক সিটকানো মানে গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া। সরকারকেও বেকায়দায় ফেলা। তারচে বরং এই সমস্যা নিয়ে বৈশ্বিকভাবে আলোচনা হওয়ার দরকার আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৩