স্বাধীনতার অব্যবহিত পর আওয়ামীলীগের একটা অংশ গিয়ে জাসদ করল। তৎকালীন সরকারকে হটাতে এমন কোনো কাজ নেই তারা করে নি। খুন, ডাকাতি, লুটতরাজ সব চলল। তৈরি করল ১৫ আগস্টের ক্ষেত্র। ঘটল নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড ঘটল। সপরিবারে রাষ্ট্রপতি নিহত হলেন।
এই যে এতকিছু ঘটল, জাসদ কিন্তু ফল ভোগ করতে পারল না। ফল ভোগ করল জিয়া গংরা। তাহের, জলিল, রব, সিরাজুল আলম খানরা পেল মুলো।
সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় যে আন্দোলন হলো, সেখানে ছাত্রফ্রন্টের এক নেত্রীকে দেখা গেল কলেজ ছাত্রীর পোশাকে। বয়স কম করে হলেও ৩০ হবে। আন্দোলনটা মূলত শিক্ষার্থীদের। অন্যরা বড়োজোর একাত্মতা ঘোষণা করতে পারে কিন্তু ছদ্মবেশে ওদের ভেতর ঢুকে পড়ার মানে কী? আন্দোলনটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা না তো? সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই এত গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো। এটা কেমন আন্দোলন? এটা ভাবা কি অযৌক্তিক অন্য কেউ হয়ত এই অগ্নিকাণ্ডে আলুপোড়া খেতে চাচ্ছে?
পতিত বামরা মাঝেমধ্যে হুংকার দেয় এই করবে, সেই করবে। নুর তো দলও করে কর্মসূচি দিচ্ছে। নিঃসন্দেহে সাহসী কাজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতকিছু করার পর যদি ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়, ফল কি তারা ভোগ করতে পারবে? না কি জাসদের অবস্থা হবে?
বাংলাদেশের মানুষ এখনও আওয়ামী, বিএনপি বলয়ের বাইরে যেতে পারে নি। যদ্দুর ধারণা করি অন্যরা লড়াই করে ফল আনলেও ভোগ করবে বিএনপি-জামাত। অন্যরা কিছুই পাবে না। জনগণ শুধু জ্বলন্ত উনুন থেকে উত্তপ্ত কড়াইয়ে পড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৪