গালিবাজদের কি সেই শ্রেণির সাথে তুলনা করা যায়, যারা হুট করে রাগ হলেই নারীদের মানে স্ত্রীদের মারধর শুরু করে? তাহলে এত এত গালি কেন নারীদের নিয়েই উদ্ভব হলো? সমাজের এমন কোনো মানুষ নেই, যারা গালাগাল করে না। কেউ কম, কেউ বেশ। লাগামহীন হয়ে গেলে অবশ্য ডা. মুরাদের অবস্থা হয়ে যায়।
কিছুদিন আগে মামুনুল ইস্যুতে গালাগালিতে দেশ সরগরম ছিল। যারা গালাগাল করেছে, তারা মামুনুলকে ইসলামের আইডল মেনে তার স্বপক্ষেই গালাগাল করেছে। অবাক হয়ে এসব লক্ষ্য করেছি আমরা।
সাকা চৌধুরীর ভাষা তো সেই লেভেলের ছিল। পাপিয়া নামের জনৈক নেত্রী সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও আজেবাজে কথা বলেছিলেন৷ আলাল নামের একজনের ভিডিও ভাইরাল হলো শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে কথা বলার। সেসব নিয়ে অবশ্য তেমন সমালোচনা হয় নি। সমালোচনা হলো কেবল জাইমাকে নিয়ে কথা বলায়, মাহিকে নিয়ে কথা বলায়। অথচ সব ধরণের অশ্রাব্য গালমন্দেরই সমালোচনা হওয়া উচিত ছিল।
গালাগালির অবশ্য একটা ভালো দিক আছে। রাগ কমে গিয়ে মাথা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তবে খারাপ দিকটাই বেশি। মুরাদকে দেখেই দেখুন না। বেচারা কি দাপটে কয়দিন মন্ত্রীত্ব করল অথচ এখন কী দশা!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৫