বাংলাদেশের অনেক মানুষ শরিয়া আইন চায়। কিন্তু এর রূপরেখা কী এটা বলতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে একটা দুটো দেশের নাম বলতে পারে না। সৌদিতে কি শরিয়া আইন আছে? এমন শাসন হলে কেমন হয়? দারুণ না? কিন্তু সৌদির লোকেরা আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ করে কেন (ধর্ষিতার আবার ৪ সাক্ষী জোগাড় করতে হয়)? বাঙালিদের মানুষই মনে করে না কেন? এখানেই কবি নীরব।
পাকিস্তান, আফগানিস্তান কেমন দেশ? সাচ্চা মুসলমানের দেশ? বোমা হামলা কেন হয়? আমেরিকা তো নেই। ওদের ওখানে অরাজকতা কারা করে?
আল কায়েদা, তালেবান, বোকো হারাম কেমন? ইহুদি নাসারাদের তৈরি সংগঠন। সদস্যরা সব মুসলিম কেন? কবি নীরব। ম্যা ম্যা করতে করতে, ওরা সহি মুসলমান নয় (অথচ ওরা মরলে শোক প্রকাশ)। তাহলে কারা সহি মুসলমান? আপনার মতো দাড়ি-টুপি ছাড়া বেনামাজি মুসলমান?
সৌদিতে সিনেমা হল খুললে ছি ছি। অথচ নিজে ঠিকই সিনেমা হল, পর্ন, মাগিবাজি কিছ বাদ না।
মেয়ে ধর্ষিত। নিশ্চয়ই ছোটো পোষাক? দেখা গেল পর্দানশিন। স্বামীর সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ, মসজিদ-মাদ্রাসায় ধর্ষণ। কবি নীরব।
আকাম-কুকাম যাই করুক। নামাজি খোদা মাফ করবে। ধরা খাওয়ার পর সব ষড়যন্ত্র। সমর্থন করা যাক। যেহেতু ধর্মকর্ম করে। নিজে তো অধার্মিক। হুজুরের কল্যাণে নিজেকে বিলাই।
সুদ খায়, ঘুষ খায়। চুরি, ডাকাতি কিছু বাদ না। সে যাই হোক দেশে ইসলাম কায়েম করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন এ তো ইসলাম নেই। ৯৫% মুসলমানের দেশে কারাগার অপরাধীতে ভরা অথচ নাসারাদের দেশে কারাগার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখানেও কবি নীরব।
সব সয়ে যাই। হঠাৎ বোমাবাজি। নিজেদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল। অথচ শান্তির জন্য সব চাওয়া, নীরবে সব সহ্য করা। এটা কি বোঝা উচিত ছিল না ধর্মান্ধরা বেহেশতকেও দোজখ বানাতে পারে?
নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায়?
পৃথিবী তাদের হাতে ধ্বংস হবে না যারা অন্যায় করে বরং প্রশ্রয়দাতাদের কারণেই হবে। ধর্মকে নিজের স্বার্থেও কেউ কেউ ব্যবহার করে। সারাদিন জাজাকাল্লাহ খাইরান বললেই ইমানদার হয়ে যায় না, চুরির শুরুতে বিসমিল্লাহ বললে সওয়াব হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭