আমরা জানি স্ত্রীর অসম্মতিতে জোরপূর্বক যৌনসম্পর্ক স্থাপনকে বৈবাহিক ধর্ষণ বলা হয়। যদিও আইনে বলা আছে, বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে কোনো স্বামী যদি ১৩ বছরের কোনো মেয়েকে নিজের স্ত্রী হিসেবে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কে বাধ্য করে, তবে সেই মেয়েটি ধর্ষণের কোনো মামলা করতে পারবে না।
যে ঘটনা বর্ণনা করছি, তা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। কিশোরী এক মেয়ের বিয়ে হয় ৩০+ বয়সি সরকারি চাকরিজীবী এক যুবকের সাথে (২০২০ সালের ৩ জুলাই বিয়ে করলেও মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেন ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি)। বিয়ের পর বর জানতে পারেন মেয়েটার সম্পর্ক ছিল অন্য জায়গায়। মানে তার অতীত গোপন রেখে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাহোক, মেয়েটাকে বলা হয় অতীত ভুলে যেতে। কিন্তু সে কথা চালিয়ে যায়। মেয়েটার মন-মানসিকতার তেমন পরিবর্তন হয় না। এমতাবস্থায় মেয়ের পরিবারকে জানানো হয়। তারা ঘটনা স্বীকার করে। হঠাৎ একদিন এসে মেয়েটাকে নিয়ে যায়। ৬ মাস খবর নেই। বর যদিও ফেরাতে চেষ্টা করেন, তবুও কাজ হয়নি। ৬ মাস পর তালাক দেওয়া হয় মেয়েকে। এখন খবর মেয়েটার পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলের নামে ধর্ষণ মামলা করেছে।
মেয়ের বয়স ১৮ হয়নি বিয়ের সময়, তাই বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়নি। ছেলেকে নাকি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। দেনমোহর ছিল ৭ লাখ। সালিশে ছেলেকে বলা হয়েছে ৭ লাখ টাকা দিতে। কিন্তু কনেপক্ষ রাজি না। মেয়েকে সংসারও করাবে না, এখন ছেলের নামে মামলা দিয়ে ছেলের চাকরি খেয়ে কী লাভ?
এটা ঠিক মেয়েটা বিয়েতে সম্মত ছিল না। তাও কেন বিয়ে দেওয়া হলো? বাল্যবিবাহ দেওয়ায় দায়টা তো অভিভাবকদেরও। তারা অপরাধ করল। আবার মেয়েটাকে নিয়েও গেল। বেশ। কিন্তু মামলার হেতুটা ঠিক বুঝতে পারা যাচ্ছে না। ৩ বছর সংসার করার পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা কেমনে হয়?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৯