somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রধান শিক্ষকদের পদ মর্যাদা নয়, বাড়ছে বেতনভাতা

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার দুই বছর পর এ শিক্ষকরা এখন বর্ধিত হারে বেতনভাতা পাবেন। তবে তারা গেজেটেড মর্যাদা পাচ্ছেন না।

এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন যে কোনো সময় জারি হতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে যারা নতুন যোগদান করেছেন, তারা এখন ৬ হাজার ৪০০ টাকা স্কেলে (সপ্তম পে-স্কেল) বেতনভাতা পাবেন। পুরাতনরা পাবেন এ স্কেলের সঙ্গে তাদের অর্জিত সব টাইম স্কেল যোগ করে যে স্কেল দাঁড়ায় সেটা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ূন খালিদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ূন খালিদ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, উন্নীত গ্রেডে বেতন-ভাতা পেতে প্রধান শিক্ষকদের যে সমস্যা চলছিল, সহসাই তার সমাধান হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সম্মতিপত্র পাওয়া গেলেই এ ব্যাপারে আদেশ জারি করা হবে।

প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেল নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটাতে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হয়। ফাইলে মহা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার চাওয়া ব্যাখ্যা ও আপত্তির জবাব সংবলিত সর্বশেষ পত্র যুক্ত করা হয়েছে।

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতনভাতা নির্ধারণে জটিলতা নিরসন’ শীর্ষক একটি সার-সংক্ষেপে প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে বেতনভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণে জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অণুবিভাগের ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বরের পত্রটি সংশোধনপূর্বক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণি থাকাকালে যত সংখ্যক টাইম স্কেল পেয়েছেন বা প্রাপ্য হয়েছেন, তাকে ততসংখ্যক টাইম স্কেল গণনা করে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে উন্নীত পদমর্যাদা ও বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণ আবশ্যক।’

এতে প্রধান শিক্ষকদের ‘নন-গেজেটেড’হিসেবে ইতোপূর্বে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা সংযোজনসহ বেতন নির্ধারণের নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে ফাইল পাঠানোর পরও কাজের অগ্রগতি না দেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি চার বছর আগে অবসরে যাওয়া শিক্ষক মুহা. আ. আউয়াল তালুকদার ও মহাসম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরীসহ কয়েকজন ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উন্নীত বেতন স্কেল সংক্রান্ত সমস্যাসহ দীর্ঘ আলোচনা হয়। তবে এসব সিদ্ধান্তে প্রতিমন্ত্রীর কোনো ভূমিকা থাকে না। নেতারা হয় তো সাধারণ শিক্ষকদের দেখাচ্ছেন তারা কিছু করছেন। আউয়াল তালুকদার দাবি করেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছেন- সমস্যাটি দুই একদিনের মধ্যেই সমাধান হবে। এ সময় তিনি সহকারী শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকদের বিষয়ে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ওই বছরের ২৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদ দেয়ার আইনগত সুযোগ নেই। পরে অবশ্য তাদের নন-গেজেটেড দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদ দেয়ার ব্যাপারে সায় মেলে।

এ অবস্থায় মহাহিসাবরক্ষকের দফতর থেকে পরে প্রধান শিক্ষকদের ‘আপাতত ২য় শ্রেণির নন-গেজেটেড’কর্মকর্তা দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। পাশাপাশি শিক্ষকরাও ‘নন-গেজেটেড’ মেনে নিচ্ছিলেন না।

এ ঘটনার মধ্যে সহকারী থানা শিক্ষা কর্মকর্তারাও আপত্তি তোলেন। কেননা তারা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা। প্রধান শিক্ষকদের সমান মর্যাদা দিলে প্রতিষ্ঠান তদারকিতে বাস্তব সমস্যা দেখা দিতে পারে। এভাবে নানা জটিলতার তৈরি হয়।

অবশেষে জটিলতা নিরসনে ৭ ফেব্রয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবের (বিদ্যালয়-২) স্বাক্ষরে ফাইল পাঠানো হয়।

জানা যায়, ২০১৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা দেয়ার ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও পরামর্শ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৬ হাজার ৪০০ টাকায় (সপ্তম পে-স্কেলের হিসেবে) উন্নীত করে। কিন্তু এটি দ্বিতীয় শ্রেণির নন-গেজেটেড কর্মকর্তার বেতন গ্রেড হওয়ায় নানা জটিলতা তৈরি হয়। বিশেষ করে, পুরনো প্রধান শিক্ষকদের বেতন সীমার অবনমন হয়ে যায়। শিক্ষক নেতাদের দাবি, মন্ত্রণালয়ের এ পদক্ষেপ তাদের দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাবহির্ভূত। তাদের দাবি ছিল, গেজেটেড এবং দ্বিতীয় শ্রেণি। কিন্তু গেজেটেড মর্যাদা দেয়া হয়নি।

সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি.কম
১৯ মার্চ ২০১৬ ইং
৫ চৈত্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ
৮ জমাদিউস-সানি ১৪৩৭ হিজরী
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×