আমাদের দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ইভটিজিং হয়,নিজের বক্তব্যের প্রতি সৎ থাকলে একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।
কুয়েটের একজন সাধারন ছাত্র হিসেবে আমিও তা অস্বীকার করি না।তবে সততার সাথেই আমি একথা জোর দিয়ে বলতে পারি,কুয়েটে ইভটিজিং এর মাত্রা বাংলাদেশের অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কিছুই না।কেউ ভাববেন না,আমি এই সামান্য পরিমাণ ইভটিজিংকে সমর্থন করছি।আমি শুধু বলতে চাচ্ছি,ইভটিজিং এর মাত্রা যত সামান্যই হোক,কুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরা তা সমর্থন করে না।এজন্যই ১১ই অক্টোবর ইভটিজিং বিরোধী মানব-বন্ধন হয় কুয়েট ক্যাম্পাসে।প্রথম আলোর সংবাদ পড়ে এখন মনে হচ্ছে ইভটিজিং বিরোধী মানব-বন্ধন করাটা অন্যায়।নাহলে শুধু একটি ইভটিজিং বিরোধী মানব-বন্ধন করায় কুয়েট ক্যাম্পাসকে ইভটিজারদের স্বর্গ রাজ্য হিসাবে প্রমাণ করার অপচেস্টার অন্য কোন কারণ খুজে পাচ্ছি না।
ওপরে প্রচারিত সংবাদের স্ক্রীন শট দেখতে পাচ্ছেন।প্রথমত,কোন ছাত্রীর গায়ে কোন ছাত্রের হাত তোলার মত গর্হিত অপরাধ কি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটলে ব্যাপারটা এত সহজেই শেষ হয়ে যেত??প্রথমেই খবরটা দেখে আমার বিশ্বাস হয় নি।আর কুয়েট ক্যাম্পাসে এর চেয়ে অনেক সামান্য ঘটনা(যেমন: ভিন্ন ডিপার্টমেন্টের এক ছাত্রকে অন্য ছাত্র একটা চড় মরলে) ১ম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত প্রায় সবাই জেনে যায়,সেখানে আমরা কউই প্রথম আলোর রিপোর্টারের আগে জানতে পারলাম না??
তবু এখানে লেখার আগে রোকেয়া হলের কয়েকটি মেয়ের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছ,এমন কিছুই ঘটেনি।
সংবাদে আরও লেখা আছে,১১ই ফেব্রুয়ারী ''ভর্তি প্রক্রিয়া'' চলা কালে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বাবার সামনে ইভটিজিং এর শিকার হয়।অথচ আমাদের প্রথম বর্ষের ক্লাশ শুরু হয়েছে,১২ই ফেব্রুয়ারী থেকে এবং ১১ ই ফেব্রুয়ারী ছিল শুক্রবার।
ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল তারও প্রায় ১ মাস আগে।
সংবাদে আরও লেখা হয়েছে,৩১ শে ডিসেম্বর রাতে ইউআরপি ডিপার্টমেন্ট এর প্রথম বর্ষের মেয়ে মাতাল কিছু ছাত্রের গালির শিকার হয়েছে,অথচ প্রথম বর্ষের ক্লাশ শুরুই হয়েছে তরও আড়াই মাস পর।
আসলে মিথ্যার ভেতর সবসময়ই কিছু ফাঁক ফোকর থেকে যায়,যা থেকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য সহজেই বের করা যায়।কুয়েট বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে গত ১১ বছরে কোন ব্যাচের পাশ করে ইন্জিনিয়ার হতে ৩ বছর ১১ মাসের বেশি সময় লাগেনি।সম্প্রতি কুয়েট এর ভিসি স্যার-প্রফেসর ড: মুহাম্মদ আলমগীর ইতালীতে অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সে ''ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট'' এর ওপর শ্রেষ্ঠ পেপার এওয়ার্ড পেয়েছেন।এটি শুধু কুয়েটের জন্য নয়,বাংলাদেশের জন্যও গর্বের।
সুতরাং শুধুমাত্র পত্রিকার জায়গা ভরার জন্য ভালোকে খারাপ প্রমানের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।পত্রিকায় ছাপানোর জন্য বাংলাদের অনেক বাস্তব সমস্যা রয়ছে।অবাস্তব কল্পনা দিয়ে গুজব ছড়িয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার কোন অধিকার আপনাদের নেই।স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪০