Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: খোঁজ ...বলা হয়ে থাকে, বিয়ে স্বর্গের লিখন৷ কিন্তু এখন পৃথিবীতেই শুরু হয়েছে বিয়ে সহজিকরণ প্রক্রিয়া৷ তা হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে৷ বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলো জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে রয়েছে৷ আর সেগুলো চেহারা সুরতেও বিশেষভাবে আকর্ষণীয়৷
বাংলাদেশ ও ভারতে বর্তমানে বিয়ে সংক্রান্ত এ ধরণের শতাধিকওয়েবসাইট রয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে অধিকতর জনপ্রিয় কয়েকটি সাইট হচ্ছে shaadi.com এবং bharatmatrimony.com. হিন্দি ভাষায় শাদি শব্দের অর্থ হচ্ছে বিয়ে৷ শাদি ডট কম সাইটের দাবি, তাদের ১০ মিলিয়নেরও বেশি সদস্য রয়েছে৷ তাদের মতে, ইতিমধ্যে তারা প্রায় এক মিলিয়ন বিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং বিশ্বে এক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বড় এবং সফল ওয়েবসাইট৷ বাংলাদেশে বৃহৎ সামাজিক নেটওয়ার্ক বিশিষ্ট এ ধরণের ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে shaanai.com, shaadi4u.net, banglamarriage.com, tunatuni.com উল্লেখযোগ্য৷ তবে ইন্টারনেট ভিত্তিক হওয়ায় বিয়ের ঘটক এসব সাইটের কার্যক্রম নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷
এছাড়াও সঙ্গী খুঁজে নেয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন বিশেষায়িত ওয়েবসাইট৷ এদের মধ্যে thirtyplusshaadi.com এবং bposhaadi.com অন্যতম৷ দিল্লি ভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা স্ট্রাইকওয়ান এ ধরণের আরো কিছু ওয়েবসাইট চালু করেছে৷ Bildunterschrift: Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: এছাড়াও সঙ্গী খুঁজে নেয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন বিশেষায়িত ওয়েবসাইট৷প্রথম ওয়েবসাইটটি বিশেশষ করে ৩০ বছরের বেশি বয়সের নারী-পুরুষদের জন্য৷ আর দ্বিতীয় সাইটটি একই ধরণের কর্মতৎপরতা বা পেশার মানুষকে খুঁজে নেয়ার জন্য উপযোগী করে তৈরি করা৷ বিজ্ঞাপনী সংস্থা স্ট্রাইকওয়ান এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জিব পাহওয়া বলেন, যখন আমরা গবেষণা শুরু করলাম তখন দেখলাম, যে শাদি ডট কমের মতো বড় বড় ওয়েবসাইটগুলো উপর পর্যায়ে জায়গা দখল করে আছে৷ কিন্তু নীচের দিকে এখনও বেশ কাজ করা বাকি৷
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও এ ধরণের কিছুওয়েবসাইট রয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে অন্যতম positivesaathi.com. এই সাইটের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ তাদের সঙ্গী খুঁজে নিতে পারে৷ মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা অনিল কুমার ভালিভ ২০০৬ সালে এই ওয়েবসাইটটি চালু করেন৷ কুমার তাঁর রাতনাগিরির ছোট্ট দপ্তর থেকে এই সাইটটি পরিচালনা করেন৷ কুমার জানান, তাঁর এক প্রিয় বন্ধু কলেজে পড়ার সময়ে এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত হয়েছিল৷ এমনকি দু'বছর পরে সেই বন্ধুটি মারা যায়৷ কুমার খুব কাছে থেকে তাঁর বন্ধুর সমস্যাগুলি উপলব্ধি করেছেন৷ তিনি বলেন, এইচআইভি পজিটিভ মানুষগুলো বিয়ের জন্য কোন সঙ্গী খুঁজে পায় না৷ তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে কুমার এই সাইটটি চালু করেন৷
এই ওয়েবসাইটগুলো ঘটকের ভূমিকা পালন করলেও বিয়ের ক্ষেত্রে এখনও অভিভাবকের সম্পৃক্ততা কিছুমাত্র কমে যায়নি৷ দিল্লিতে দু'টি কল সেন্টারে কাজ করে রাহুল ও মেঘলা৷ তাঁরা জানান, বিপিওশাদি ডট কম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়৷ পরে উভয় পক্ষের অভিভাবকের সম্পৃক্ততায় তাদের বিয়ে হয়৷ বাংলাদেশ ও ভারতে ৯৫ শতাংশ বিয়েই অভিভাবকের আয়োজনের মাধ্যমে হয়ে থাকে৷ সেক্ষেত্রে তেমন কোন পরিবর্তন না ঘটলেও, বিয়ে সংক্রান্ত এই সাইটগুলো বিয়ের আগেই পাত্র-পাত্রীদের একে অপরের জানা-বোঝার সুযোগ করে দিয়েছে৷
তবে এসব ওয়েবসাইট প্রথমত বিনামূল্যে সদস্য হওয়ার সুযোগ দিলেও পরবর্তীতে পেইড মেম্বার হওয়ার জন্য নানা প্রলোভন ও ছলনার আশ্রয় নেয়৷ এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খুব উচ্চ মানের এক পাত্র বা পাত্রীর পক্ষ থেকে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করা৷ আর এর পরেই শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, যে পেইড মেম্বার হলেই একমাত্র পাত্র-পাত্রীর মধ্যে যোগাযোগের সুযোগ দেয়া হবে৷ এ ধরণের প্রতারণার শিকার পাত্র-পাত্রীদের সংখ্যাও কম নয়৷