somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অনুভব সাহা
যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

আবরারের ফেসবুক পেজ থেকে যা বুঝলাম

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা মাত্র পোস্টের জন্য এতকিছু যে ঘটে যেতে পারে মেনে নিতেই পারছি না। ফেসবুকে লেখালেখি আমরাও করি। গালি, নানা রকম ট্যাগ এসব কমন ব্যাপার। তাই বলে খুন! ধরেই নিলাম, খুন করার ইচ্ছে ছাত্রলীগের ছিল না। কাউকে মারার/শারীরিকনির্যাতন করার অধিকারও তো তাদের নেই। অপরাধ কিছু হলে দেশে আইন, আদালত আছে। কিন্তু না, ছাত্ররাজনীতিতে আছে গেস্টরুম সংস্কৃতি। যেখানে বিরোধীদল, বিরোধীমত(তাদের ভাষায় ত্যাড়া)ছাত্রদের সাইজ করা হয়। যুগ যুগ ধরেই এসব চলে আসছে। সরকার বদল হলে ছাত্রদলও বদল হয়, কিন্তু গেস্টরুম সংস্কৃতিটা রয়েই যায়। হল কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে নিরব দর্শক; আর বলির পাঁঠা সাধারণ ছাত্ররা।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার সিসিটিভি ফুটেজ

ভেতরের কথা-
FAVORITE QUOTES[From Abrar Fahad facebook page]
• "আল্লাহর পথে যাঁরা জীবন দেয় তাদের মৃত বলোনা,বরং তাঁরা জীবিত, তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।"
(সূরা আল বাকারা-১৫৩)

আল্লাহ আমাদের প্রভু,
রাসূল (সা.) আমাদের নেতা,
কুরআন আমাদের সংবিধান,
ইসলাম আমাদের জীবনবিধান,
জিহাদ আমাদের চালিকাশক্তি,
শাহাদাত আমাদের কাম্য।
-শাইখ হাসান আল বান্না

মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট,
গম্বুজ আমাদের হেলমেট,
মিনার আমাদের বেয়নেট,
বিশ্বাসীরা আমাদের সৈনিক।
-জিয়া আন্তোফ
.......
কোটেশন কয়টি আবরারের ফেসবুক পেজ থেকে কপি করা। এসব লেখা পড়লে প্রাথমিক একটা ধারণা আসে, ছেলেটা হয়তো শিবির(ছাত্রলীগও সেটা ভেবেছে। আমার ধারণা এই কারণেই তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেশী ছিল)। কাস্মীর ইস্যুতে আবরার সরব ছিল। প্রোফাইল পিকচারও চেঞ্জ করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ইলিশ রফতানি আর ফারাক্কা বাঁধ খোলা নিয়ে একটা তীর্যক পোস্টও দেখলাম। শেষ পোস্ট ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি নিয়ে। কিছুটা কটাক্ষ করে। লীগের ছেলেরা তার এমন বিরোধীতা হয়তো সহ্য করতে পারে নি। মতের অমিল হতেই পারে। পোস্ট নিয়ে যুক্তি, তর্ক হতে পারতো। মন্তব্য আর রিপ্লাইয়ের সুস্থ বিতর্ক হতে পারতো। সেটা হয়নি, বরং রুমে ডেকে নিয়ে দমন, পীড়নের নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
"শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি" শিরোনামে ছাত্রলীগ চললেও, বাস্তবে তার কোনটাই তো দেখি না(কোন দলের আদর্শই ঠিক নেই)। না আছে শিক্ষা, না শান্তি আর না প্রগতি। একটু উনিশ বিষ হলেই মার সালারে। আবরার ভাগ্যবান, তাই মরে গিয়ে মেধাবী দেশপ্রেমিক হতে পেরেছে। কিন্তু এমন হাজারো আবরার আছে যারা মারই খেয়ে যায়/নিপীড়নের শিকার হয়, দেশপ্রেমিক আর হতে পারে না।
বন্ধ হোক ছাত্ররাজনীতি, মুক্তি পাক ছাত্রসমাজ।


সংযুক্তি:
আবরার হত্যা: সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ
বেরিয়ে আসছে বুয়েটে নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা - bdnews24.com
‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের না চিনলে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলে’
আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
* আবরার হত্যার আগে থেকেই ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ ছিল বুয়েট ছাত্রলীগের!
*আসামির জবানবন্দিতে আবরার হত্যার ভয়ংকর বর্ণনা

র‌্যাগ নামের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করুন
* দানবের জন্ম- মুহম্মদ জাফর ইকবাল
তারা কি ‘খুনি’ হতে এসেছিল?
আবরারের মৃত্যু: র্যাগিং, শিক্ষক, পিতা এবং দেশের দায়
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×